মাসে দু’বার ঋতুস্রাব হওয়াটা কি স্বাভাবিক? এর কারণগুলি কী-কী?
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের মাসে দু’বার ঋতুস্রাব হওয়াটা কি স্বাভাবিক? এর কারণগুলি কী-কী? তা নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
এক মাসে দুই বা তার বেশি ঋতুস্রাব হওয়া, এক-দু মাস ছাড়া একবার ঋতুস্রাব হওয়া- এই ধরনের সমস্যাকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে দেরি না করে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
একজন মেয়ের ২৫ থেকে ২৮ দিনের ব্যবধানে ঋতুস্রাব হয়। যদিও ৩৫ দিনের কম সময় কালকেও স্বাভাবিক হিসাবে গণ্য করা হয়। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ভর করে একজন মহিলাদের হরমোন ও শারীরিক অবস্থার ওপর। যার ফলে প্রত্যেক নারীর ঋতুস্রাবের সময় একে অপরের থেকে আলাদা হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অর্থাৎ ২৫ থেকে ২৮ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ঋতুস্রাব হলে সেটা কোনও অসুবিধা হয় না। কিন্তু অনেকের একই মাসে দু’বার ঋতুস্রাব হয়। আবার কারোর তিনবারও হয়। এই বিষয়টি কি উদ্বেগের কারণ? চলুন জানা যাক।
একজন নারীর মাসে দুই বা তার বেশি ঋতুস্রাব হওয়া, এক-দু মাস ছাড়া একবার ঋতুস্রাব হওয়া- এই ধরনের ঘটনাকেই অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণা সাবধান হওয়ার দরকার। ঋতুস্রাব মেয়ের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার কোনও গন্ডগোল হলেই, অন্যান্য শারীরিক অবস্থার মতই সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ মেয়ের দেহে ঋতুস্রাব জনিত কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা ভবিষ্যতে বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণে, ওভারিতে টিউমার ও ওভারিয়ান ক্যান্সারের সম্ভাবনা খুব বেড়ে যায়। এমনকি ভবিষ্যতে গর্ভধারণেও বড় সমস্যা দেখা দেয়। তাই সময় থাকতেই এই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যার চিকিৎসা করানো উচিত।
কিন্তু এ ধরণের ঘটনা কেন ঘটে? এর পিছনে বিভিন্ন কারণ নিন্মে দেওয়া হলো :
কোন নারী যদি মেনোপজের দিকে এগিয়ে যান, সেই ক্ষেত্রেও আপনি এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এতে ভয় পাওয়া কোন কারণ নেই। তবে মেনোপজের সময় মানব দেহে একাধিক পরিবর্তন আসে। সুতরাং আপনার বয়স যদি ৫০ এর আশেপাশে হয়, তাহলে আপনি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এছাড়া স্থূলতা (মোটা লাদুস লুদুস) এ জন্য অনিয়মিত ঋতুস্রাবের একটি বড় কারণ। এই ক্ষেত্রে ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এছাড়াও যদি ওভারিতে সিস্ট থাকে অথবা থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলেও মাসে দু’বার ঋতুস্রাব হতেও পারে। অন্যদিকে, এই সম্যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তপাতও হয়। সেই ক্ষেত্রেও অবশ্যই সচেতন হন, আর নয়তো ভবিষ্যতে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেবে। আবার মানসিক চাপের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাসে দুইবার ঋতুস্রাব হওয়াটার আরও দুটি কারণ :
অনেক সময়ে কোনও কোনও মাসে এই দু’বার ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত গর্ভাবস্থা এবং দ্বিতীয়টা হল গর্ভপাত। আমরা মনে করে থাকি গর্ভাবস্থা মানেই ঋতু¯্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া। কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার পরে মাঝখানে অনেক সময় রক্তপাত হয়। বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে। যৌন মিলন বা ওয়ার্ক আউট করার পরেও এটি ঘটে থাকে। অন্যদিকে, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে যোনিপথে রক্তপাত হওয়া এটা সাধারণ ব্যাপার। তবে এটি আবার গর্ভপাতের লক্ষণও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করুণ।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।