মায়াজম (Miasams)
“মোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য”
ডাঃ অরবিন্দ সরকার
মহাত্না ডাঃ হ্যানিম্যান এর অবিস্কৃত হোমিও বিজ্ঞানের মতানুসারে মায়াজমই হচ্ছে রোগের উৎস।
সোরা : একমাত্র আদি রোগ প্রববিনী “সকল রোগের জনরী”। সোরা মানব শরীরে কার্যগত বিশৃঙ্খালা ব্যাথিত যন্ত্র গত পরিবর্তন আনতে পারে না। এই দোষ শরীরে থাকলে জীবনী শক্তি দুর্বল হয় যায়।
সাইকোটিক : এটি শরীরের যন্ত্রগত পরিবর্তন ঘটায়ে যে কোন যন্ত্রের বৃদ্ধি বা সংকোচিত করতে পারে। আঁচিল বা আবযন্ত্রের সাইকোসিস দোষ হতেই হয়।
সিফিলিটিক : দোষে মানব শরীরে ক্ষত্রের সৃষ্টি হয় যাহাতে পচন ধরানই উহার লক্ষণ।
টিউবার কুলার : পিতৃ-মাতৃ দেহে সোরা ও সিফিলিস যদি সংমিশ্রণ ঘটে তবেই সন্তানের দেহে ঐ সংমিশ্রনের অবস্থাটি টিউবার কুলার দোষে রুপান্তরিত হয় এবং সেই শরীরে বিকাশিত লক্ষণসমুহ যদি অদৃশ্য বিধানে চাপা দেওয়া হয় তবেই রাজ যক্ষা বা ক্ষয় রোগ বা থাইসিসের ক্ষেত্রটি তৈরি হয়।
ইহা সত্য যে সুস্থ মানব দেহ কুয়াশাচ্ছন্নভাবে মায়াজম দ্বারা আবৃত। মায়াজম স্বাস্থ্যবান একটি মানুষকে বিদীর্ণ করে দেহটি নিস্পেষিত করে দেয়। জীবনি শক্তি হয় দুর্বল ফলে মায়াজম হয় আরও উৎসাহিত।
সোরা, সাইকোটিক, সিফিলিটিক এবং টিউবারকুলার যখন দুই বা ততোধিক একত্রিত হয়ে মানব দেহে অবস্থান করে তখনই দেহের অভ্যান্তরে দারুণ বিশৃঙ্খালা সৃষ্টি হয়। এই বিশৃঙ্খলা গ্রন্থ ও জটিল মায়াজম গ্রন্থ মাতা-পিতার সন্তান সন্ত-তিতে জন্মগতভাবে অতি অবশ্যই এই মায়জম খুবই গভীর ভাবে, গভীর স্তরে প্রবেশ করে এবং এই বংশানু ক্রমিক ভাবে প্রাপ্ত মায়াজম শিশুকাল থেকেই নানা অস্বভাবিক লক্ষণ চিহৃ সমুহের দ্বারা প্রকাশ পেতে থাকে।
এই বাইরে প্রকাশমান বিশৃঙ্খলাকে শিশুকালেই যখন বিসদৃশ বিধানের চিকিৎসার দ্বারা চাপা দেওয়া হয়; তখন আভ্যান্তরীণ অবস্থা আরও জটিল হতে থাকে। জীবনী শক্তি দেহের মূল্যবান যন্ত্র গুলিকে গুরুতর ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য, একটি আভ্যান্তরীণ ভারসাম্য রক্ষার্থে কতগুলি লক্ষণ ও চিহ্ন বাইরে প্রকাশ করে যেমন টিউমার, অর্শ, ফিশ্চুলা, এগজিমা ইত্যাদি। এ গুলি যখন অপারেশন দ্বারা প্রকাশিত চিহ্ন সমূহকে তুলে ফেলা হয় বা বাহ্য প্রয়োগে জীবনীশক্তি কর্তৃক বহিস্কৃত চর্মের উদ্ভেদগুলি অবলুপ্তি ঘটান হয় বা অন্ত প্রবিষ্ট করিয়ে দেওয়া হয় তখন জীবনশক্তি যে আভ্যান্তরীণ ভারসাম্য রক্ষার জন্য বাইরে লক্ষণ ও চিহ্ন সমূহ প্রকাশ করে ছিল তাকে অস্বাভাবিক পন্থায় সরিয়ে দেওয়া বা চাপা দেওয়ার ফলে দেহাভ্যতরস্থ বিশৃঙ্খলা অনেক বেশী বেড়ে যায় এবং ঐ চাপা দেওয়া জটিল ক্রনিক মায়াজম তখন দেহের যে কোন মূল্যবান যন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং তাদের গঠনগত পরিবর্তন ঘটায়। আবার অনেক সময় ঐ চাপা দেওয়া জটিল মায়াজম সমূহ দেহের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে দেহাত্যন্তর নানা রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়, যার ফলে ক্যানসার রোগ প্রবনতার বা ক্যানসার সৃষ্টির সহায়ক হয় ।
Dr.H.Allen Chronic miasms বইতে লিখেছেন We written extensively upon the subject of three chronic miasms Psora. Syphillies & Sycosis and their symptomatology as single maisms, but we have siad but little about mixed miasms, except what had been in Vo-1, of this work. We cannot go deeply in to this phase of the subject, but hope to later on. After the 3rd Vol. on chronic miasms, Syphaitis has been written, we intend to write a work on the mixed miasms of which Pseudo Psora in one so fully written on Vol -1. Dr, Herrings, in his introduction to the organon translated by Charles J. Hempel says. Hahneman distinguishes the veneral miasms as Syphillies and Sycosis and also subdivides psora with pseudo-psora. The regular school has generally recognized the fact that tertiary syphillies is not true syphillies and we know it-is not as we have to resort not infrequently to anti psoric remodies to cure it ‘We can not take up this phase of the subject farther we simply wish to call your attention to the fact, as it is these combinations with psora that makes the practice of medicine and disease stubborn, intricate and difficult to understand’. It is these combinations known as mixed miasms from which our malignancies develop such as cancer, lupus, burrowing abcesses, sinuses, tubercular infiltration, growths and all countless forms of malignancies. For instance the specifice secondary infiltration of Sycosis comes when psora and pseudopsora blend fully with the sycotic element in the secondary stage. Again we see the fibrous changes in the kidneys, liver ete. In the tertiary stage of that miasms sycosis. The same may be said of the malignant tubercular changes of cancer and lupus. The condoilomata are formed from the mixed veneral combination Sypillies and sycosis, but the sybject is so extensive and covers so much of pathology that we can not enter it here.
এর সংক্ষিপ্ত মর্মার্থ হলো, আমরা পৃথকভাবে সোরা সাইকোসিস সিফিলিস সম্বন্ধে এবং তার লক্ষণ সমূহ সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে লিখেছি। কিন্তু সমস্ত মায়াজমগুলির একত্র সম্মিলিত অবস্থার বিষয়ে কিছুই বলিনি। চার্লস, জে, হেম্পল রচিত অর্গাননের ভূমিকায় ডাঃ হেরিং বলেছেন, হ্যানিম্যান সিফিলিস, সাইকোসিসকে যৌন মায়াজম রূপে পৃথক করেছেন। তার সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন সিডো-সোরাকে। এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ আবিস্কার করেছেন যে, টারসিয়ারী সিফিলিস প্রকৃত সিফিলিস নয়, আমরা এটা জানি এবং আমরা প্রায়ই অনেক রোগীকে এন্টিসোরিক ঔষধ দিয়ে আরোগ্য করি । “আমরা এই বিষয় নিয়ে বিশেষ কিছু আলোচনা করতে চাইনা ”। আমরা শুধু আপনাদের দৃষ্টি এই বিষয়টির দিকে আকর্ষণ করতে চাই যে, এই যে সোরার সংগে ঐ দুইটি মায়াজমের সংমিশ্রণে যে সব জটিল ব্যাধির সৃষ্টি করে তা প্রাকটিস অব মেডিসিনের ভাষায় বোঝান খুবই কঠিন ।
এই সংমিশ্রণকে মিশ্র মায়াজম হিসাবে জ্ঞাত হওয়া যায়, যার দ্বারা মারাত্মক বা ক্ষতিকর ব্যাধির সৃষ্টি ঘটে যেমন-ক্যানসার লিউপাস, দেহাভ্যন্তরস্থ ক্ষতিকর ফোড়া, পূঁজযুক্ত নালী শোষ, টিউবারকুলার বিষের অনুপ্রবেশ ও পরিব্যাপ্তি এবং গননাতীত মারাত্মক শ্রেণীর পরিবর্তন ও গ্রোথের সৃষ্টি হয়। উদাহরণ স্বরূপ; সাইকোসিসের সেকেন্ডারী প্রদাহ উপস্থিত হয় যখন সোরা এবং সিউডো সোরা সাইকোসিস উপসর্গের সেকেন্ডারী স্টেজে পরিপূর্নভাবে সংমিশ্রিত হয়। পুনরায় আমরা দেখতে পাই কিডনী, লিভার, ফাইব্রাস বা তান্তব পরিবর্তন ঘটে, সাইকোসিস মায়াজমের টার্সিয়ারী ষ্টেজে । ঠিক একই প্রকার ঘটতে থাকে মারাত্মক টিউবারকুলার পরিবর্তন সমূহ ক্যানসার ও লিউপাস ইত্যাদি রূপে। সিফিলিস ও সাইকোসিস এর সংমিশ্রনে কন্ডাইলোমেটা তৈরী হয়। বিষয়টি অত্যন্ত ব্যাপক এবং এর দ্বারা অসংখ্য প্রকার রোগের উৎপত্তি ঘটতে পারে যে, এখানে বলে শেষ করেত পারিনা ।
তাহলে আমরা একথা নিঃসংশয়ে ধরে নিতে পারি যে, বংশগত সূত্রে প্রাপ্ত মায়াজম এর প্রকাশ রূপকে নানাবিধ পন্থায় চিকিৎসা চাপা দেওয়ার ফলেই ক্যানসার এর উৎপত্তি ঘটে।
আমরা এতক্ষণ সোরা, সিফিলিস, সাইকোসিস এবং টিউবারকুলার মায়াজম নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেছি। ডাঃ মহিমা রঞ্জন মূখপাধ্যায় তার “ক্যানসার গবেষণা ” বইতে আরও একটি মায়াজমের নাম করেছেন যার নাম দিয়েছেন “কার্সিনোমা মায়াজম।” এই মায়াজমে বিশেষ প্রকাশমান রূপে বর্তমান বিশ্বে দেখা যাচ্ছে যার করাল ছায়ার সমস্ত বিশ্বজন আতঙ্কিত।
কার্সিনোমা অথবা ক্যানসার এবং কার্সিনোমা মায়াজমের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে কার্সিনোমা মায়াজম আমি তাকেই আখ্যায়িত করতে চাই যে রোগীটির ক্যানসার প্রকাশ হবার অনেক আগে থেকেই দেহাভ্যন্তরে একটা ক্যানসার হবার প্রবণতা বহন করে। অনেক চিকিৎসক এটিকে Pre-Cancerous stage নামে আখ্যা দিয়েছেন। আমি বলতে চাই শিশুটি তার বাব-মার কাছ থেকে বংশগতভাবে এমনই একটি সংমিশ্রিত মায়াজম জনিত দোষ পেয়ে থাকে যে, সেই শিশু জন্মকাল থেকেই কার্সিনোমা মায়াজম বহন করে আসছে। সুযোগ-সুবিধা ও উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতি ইত্যাদি আনুকূল্য পেলে রোগবিষ দেহের যে যন্ত্রটিকে দুর্বল পাবে সেখানেই প্রকাশ পাবে। আর উক্ত মায়াজম বহন করে চললেও যদি সদৃশ বিধানে চিকিৎসার দ্বারা উপরোক্ত প্রকার সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেও পরিস্থিতিট আসার সুযোগ না পায় তাহলে ঐ শিশুর ভবিষ্যত জীবনে ঐ ভয়ঙ্কর ভ্যাথিটি খখনও হতে পারে না।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।