সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন

মানসিক রোগ

আরোগ্য হোমিও হল / ০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:০৬ অপরাহ্ন
সূচীপত্র
সূচীপত্র

মানসিক রোগ

মন সংক্রান্ত যাবতীয় রোগকে বলে মানসিক রোগ’। যে-সব ব্যক্তি মানসিক রোগের শিকার হন তাঁদের মধ্যে নানা রকমের বাহ্যিক লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। যেমন- রোগী সর্বদাই বিমর্ষ হয়ে থাকে; লেখার সময় শব্দ বা অক্ষর ভুল করে; কথা বলতে বলতে কথার খেই হারিয়ে ফেলে অর্থাৎ কি কথা বলছিল তা ভুলে যায়, বিড় বিড় করে কি সব বকে তার বিন্দু-বিসর্গও বোঝা যায় না; কাঠকয়লা প্রভৃতি অখাদ্য খেতে চায়; নিজের লিঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া করে; অশ্লীল কথাবার্তা উগ্র ভাব প্রদর্শন করে প্রভৃতি। কোনো রোগের সঙ্গে এইসব মানসিক লক্ষণ বলে, দৃষ্ট হলে উক্ত রোগীকে কেবলমাত্র মানসিক লক্ষণ বিবেচনা করে ওষুধ প্রদান করলে সেই রোগটিও অনেক সময় নিরাময় হয়। এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানসিক রোগসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

আমরা এই পুস্তকখানিতে মানসিক লক্ষণসমূহের চিকিৎসা বিষয়ে আলোচনা করবো। সর্বাগে একটা কথা মনে রাখা দরকার যে, হোমিওপ্যাথি রোগের চিকিৎসা নয়-রোগীর চিকিৎসা। অর্থাৎ রোগীকে যদি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করা যায় তাহলে সেই রোগীর দেহে রোগের চিহ্নমাত্রও থাকে না।

ভালো রান্নার জন্য কেবল ভালো রাঁধুনী হলেই হবে না—উপকরণগুলিও ভালো হওয়া চাই। রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এই নিয়মটি খাটে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও ওষুধ—উভয়ই ভালো হওয়া দরকার। অনেক দিনের পুরনো ওষুধে কোনো উপকার না পাবারই কথা—কেননা, ওষুধের গুণ নষ্ট হলে সে ওষুধে কোনো কাজ হয় না। আবার ঐ একই সঙ্গে রোগীরও সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা থাকা দরকার। নিয়মিত ওষুধ সেবন করা এবং আনুষঙ্গিক নিয়মকানুন যথাযথ পালন করা রোগীর অবশ্য কর্তব্য।

মানসিক রোগাক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে উত্তাপ লাগানো উচিত নয়—সব সময় তাকে স্বাভাবিক ঠাণ্ডার মধ্যে রাখতে হয়। উত্তাপ লাগালে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং তার ফলে রোগীর অবস্থা মন্দের দিকে যায়। কোনো উত্তেজক খাদ্য বা পানীয় রোগীর পক্ষে হিতকর নয়। রোগীর পরিচর্যার দিকেও তীক্ষ্ণ নজর রাখা দরকার।

মনে রাখতে হবে, মানসিক রোগ মানে মানসিক বিকৃতি। ঐ বিকৃত অবস্থাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাকেই বলে মানসিক চিকিৎসা।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev