ব্রেস্ট বা স্তন টিউমারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম, এখানে আজ ব্রেস্ট বা স্তন টিউমারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা কররো। চলেন কথা না বাড়িয়ে মুল আলোচনায় ফিরে যায়। স্তন বা ব্রেস্ট টিউমার। এটা যেকোনো বয়েসের বা যেকোনো শারীরিক বা মানসিক অবস্থার মহিলাদের এক অজানা আতঙ্ক বা আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হবেই বা না কেন, কারণ স্তন বা ব্রেস্ট টিউমার সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে পরবর্তীতে তা ক্যান্সার এর মতো জীবন ধ্বংসকারী অসুখ সৃষ্টি করে।
এর জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর এবং স্থায়ীভাবে স্তন বা ব্রেস্ট টিউমার নিরাময় করতে সক্ষম। নিচে ব্রেস্ট টিউমার (Breast Tumour) এর চিকিৎসার্থে ব্যবহৃত প্রধান কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা তুলে ধরা হলো :
কোনিয়াম (Conium) : স্তনের (এস্টিরিয়াসে), জরায়ুর ও পাকস্থলীর ক্যানসার, বিশেষ করে যদি ঐ স্থানগুলোতে আঘাত বা উপঘাতের ফলে রোগ উৎপন্ন হয় তবে কোনিয়ামে উপকার হবে। সকল প্রকার টিউমার, বিশেষ করে টিউমার সিরাস (Cirrhous) কঠিন অথবা যে কোন রকমের হোক না কেন যদি পাথরের মতো শক্ত হয় এবং ভার বোধ লাগে এবং যদি আঘাতের ফলে উৎপত্তি হয়ে থাকে তাহলে ঈড়হরঁস অব্যর্থ।
ব্রেস্ট টিউমার (Tumor in the breast) চিকিৎসায় ব্যবহৃত ৩টি প্রধান হোমিওহোমিওপ্যাথিক ওষুধ :
কোনিয়াম ও সাইলিসিয়া উভয় ওষুধেই স্তনের কঠিনতা আছে। কোনিয়াম ডান দিকের এবং সাইলিসিয়া বাঁদিকের স্তনের গুটিকায় চমৎকার উপযোগী।
কার্বো এনিমেলিস (Carbo Animalis) : এর মধ্যেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্তনের বাম পাশে ব্রেস্ট টিউমার হতে দেখা যায়। এতে স্তনে শক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গুটি বিশিষ্ট স্তনার্বুদ (mammary tumours) হয়ে থাকে। তরুণ অবস্থায় যদি স্তনে অস্ত্রাঘাত করার মতো বেদনা, প্রতি ঋতুকালে স্তনদ্বয় বড় হয়ে উঠে, বেদনা করে, স্পর্শকাতর হয় এবং সামান্য ঠোকাঠুকি লাগলে বা হাঁটলেও বেদনা বাড়লে কোনিয়ামই বিশেষ ভাবে উপযোগী। স্তন, জরায়ু অথবা অন্য কোন স্থানের কঠিন তন্তুযুক্ত টিউমারে বা সিরাস (Cirrhous) টিউমারে কোনিয়ামের বেদনায় জ্বালা, হূলবিদ্ধকর বেদনা বা চিড়িকমারা লক্ষণ থাকে।
ব্রেস্ট বা স্তন টিউমারের এর সেরা হোমিও ওষুধ সমূহ (Breast tumor treatment)
ফাইটোলাক্কা (Phytolacca) : স্তনের সন্দেহজনক ঢেলা (Suspicious Lumps)বা অর্বুদ (Tumours in the Breast) চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি শ্রেষ্ঠ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ। যদি ঐ প্রকার টিউমারের সাথে ব্রেস্ট বা স্তনে প্রচুর ব্যথা বিদ্যমান থাকে। এতে স্তন অত্যন্ত শক্ত, স্ফীত, গরম ও ব্যথা থাকে। স্তন টিউমারের সাথে বগলের গ্রন্থিগুলোতেও স্ফীতি ও বেদনা থাকে।
গ্রাফাইটিস (Graphites) : স্তনের মধ্যে পুরাতন শুকিয়ে যাওয়া ক্ষত চিহ্নের নীচে টিউমারের উৎপত্তি হলে সেই টিউমারের চিকিৎসায় গ্রাফাইটিসই কার্যকরী একটি হোমিওপ্যাথিখ ওষুধ। সাধারণত ক্ষতচিহ্ন গুলো কোন জীবাণু সংক্রমণ বা ফোঁড়া শুকিয়ে গিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এইরূপ অবস্থায় গ্রাফাইটিস ব্যবহারে টিউমার আরোগ্য হবার পাশাপাশি ক্ষতচিহ্ন মুছে যায়।
পালসেটিলা (Pulsatilla) : যে সমস্ত মহিলা প্রায়ই মাসিকের সমস্যায় ভুগতে হয় তাদের স্তন বা ব্রেস্ট টিউমার চিকিৎসায় পালসেটিলাই কার্যকরী। যদি মাসিক দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ হয়ে থাকে তার ফলশ্রুতিতে অনেকের স্তনে টিউমার বা টিউমার সদৃশ ঢেলা বা মাংসপিণ্ড দেখা যায়। এধরনের মহিলাদের মাসিক প্রায়ই দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যার সমাধান করে স্তন টিউমার নিরাময় করে থাকে।
ক্যালকেরিয়া ফ্লোর (Calcarea fluor) : স্তন পাথরের মতো শক্ত টিউমার চিকিৎসায় ক্যালকেরিয়া ফ্লোরকে প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।