মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
banner

ব্যবস্থাপনার নীতি

আরোগ্য হোমিও হল / ৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:১২ অপরাহ্ন
হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য
ক্যানসার বইয়ের সূচি পত্র

ব্যবস্থাপনার নীতি (The Principles of Management)

“হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য”

ডাঃ অরবিন্দ সরকার

ব্যবস্থাপনার নীতি (The Principles of Management) :-
রোগীর শেষ অবস্থায় কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় যেগুলির বিশেষ ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা উচিত। যদি রোগী মরণ যন্ত্রনায় ছট ফট করতে থাকে বা অতিরিক্ত ব্যাথায় বিমর্ষ থাকে ব্যাথা কমানোর চিকিৎসা দিতে হবে। ইহাই হোমিও চিকিৎসকের বড় বিষয় যে রোগীর লক্ষণ দেখে তার শেষ অবস্থার চিকিৎসা নির্ধারণ করা। দরকার বোধে ফিজিকাল লক্ষণ দেখে মূল লক্ষণগুলি রেকর্ড করতে হবে।

যদি কখনও প্রয়োজন হয়, সাহায্যকারী হিসাবে শরীরে রক্ত প্রয়োজন হলে রক্ত দিয়ে জীবনী শক্তি বাড়াতে হবে। রক্তচাপ, তাপ, নাড়ীর গতি ও শ্বাস প্রশ্বাস ইত্যাদির প্রতি বিশেষ সতর্কতা রাখতে হবে। হোমিও ঔষধ সেখানেই বেশীর ভাগ কাজ করে যেখানে জীবনী শক্তি ভাল থাকে।

যেসব রোগীর মুখে আলসার বা ঘা দেখা দেয় শেষ অবস্থায় ঐ ঘাই মৃত্যু ঘটায়। মুখের এই ঘায়ের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। মুখের ঘা সারানোর জন্যে Calendula – Q ১০ থেকে ২০ ফোটা ১ কাপ জলে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। জিহ্বার ফাঙ্গাস সারানোর জন্য সোয়াব ব্যবহার করতে হবে। সর্বপরি লক্ষ্য রাখতে হবে রোগী কতটা মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। পরিবার বর্গ তার সেবা শুশ্রুসা বাসায় করতে পারবে কি পারবে না। বেডসোর হলে তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে, যে পাশ ভাল রয়েছে সে পার্শ্বে শোয়াতে হবে। Arnica -30,200 শক্তি মুখে খাওয়াতে হবে এবং ১ঃ৬ রেশিওতে Calendula Q দিয়ে ড্রেস করতে হবে।

পরিবারের প্রতিটি সদস্য (কই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে রোগী উৎসাহিত হয় তার রোগ ভালর দিকে যাচ্ছে। রোগী যেন কখনও একা না থাকে এবং বিমর্শ হয়ে না পরে। যদি হাসপাতালে রাখা হয় ডাক্তার নার্স এরা সময়মত রোগীর দেখাশুনা করতে হবে, রোগীর সাথে ভালভাবে ব্যবহার করতে হবে, যাতে তার ভাল হওয়ার উৎসাহ যোগায় এবং মনবল তৈরী করতে পারে। কোন অবস্থাতে তাকে বুঝান যাবেনা তার রোগ খারাপের পথে।

আরও পড়ুন – আর ২ (হৃদযন্ত্রের দক্ষতার গোল্ড ড্রপস)

শেষ অবস্থার লক্ষণ রাজী (Symptoms of terminal cases) :- হোমিও চিকিৎসকের নিকট ক্যানসার রোগী আসে সাধারন্ত শেষ অবস্থায়। ঐ অবস্থায় বিভিন্ন রকম লক্ষণ তৈরী হয় যা অত্যন্ত সকর্ততার সহিত নির্ধারণ করে তারাতারী রোগ মুক্তির জন্য সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। ক্যানসার লক্ষণের সাথে ব্যাথা সাধারণত থাকবেই যাহা অনুমান করা ও চিকিৎসা করা কঠিন নয়। সুনির্দিষ্ট ঔষধ নির্বাচন করতে হবে যা শুধু ব্যাথাই কমাবেনা যা আরোগ্যও করতে পারে। যে রোগীর জিহ্বা একদম নষ্ট হইয়া গিয়াছে এবং রেডিও থেরাপীর জন্য মাড়ী লেগে যায়, যেখান থেকে জিহ্বা পড়ে গেছে সেখানকার ঘায়ের জন্য যদি বেদনা বেশী বৃদ্ধি পায় এবং ব্যাথা যদি মাথা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। যে ব্যাথা কোন প্রকার এ্যালোপ্যাথিক বা হোমিওপ্যাথিতে না কমে। যার জন্য দিন-রাত্রী মাথা টিপা প্রয়োজন এবং চাকর নিয়োগ করা হয়ে থাকে। সমস্ত রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন কারন রোগী কথা বলতে পারে না। কাজেই তাকে দিয়ে লিখিয়ে জানতে হবে তার কষ্টের যন্ত্র ।

ব্যাথায় তার মুখ জ্বলে কি? তখন তার মুখে Calendula 20-30 ফোটা ২ কাপ জলে গোলায়ে বার বার ব্যবহার করতে হবে। এতে রোগীর মুখের গন্ধ এবং লালা পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। কুসুম গরম জলে মুখ ধুইলে যদি ব্যাথা কমে, Arsenic-200 Prescribed to be repeated as required, এতে ব্যাথাই কমবেনা লালা পড়া ও অন্যান্য লক্ষণও কমে যাবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে :- রোগীর পায়খানা প্রস্রাব যাতে যথারীতি হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ epsom salt (Magsulf) এক বালতী জলে গুলে পাতলা কাপর দিয়ে শরীর রগরায়ে রোগীকে স্নান করাতে হবে, যাতে ক্যানসার এর ঝলসানো চামড়া পরিষ্কার হয়ে যায়। যদি সম্ভব হয় রোগীকে বসাতে হবে আর বার বার এপাশ ওপাশ করাতে হবে, যাতে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে এবং বেড Sore না হয়। Arnica 200 ব্যবহার করলে Bed sore বা Soreness হবেনা।

আরও পড়ুন – র‌্যাক্স নং- ১ (সংক্রমণ এবং প্রদাহ)

ক্ষুধাহীনতা :- ক্যানসার রোগীর সাধারণ লক্ষণের মধ্যে ক্ষুধাহীনতা ও মন্দাক্ষুধা। অতি তাড়াতাড়ি খাদ্যে রুচি তার ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে জীবনীশক্তি দুর্বল হইয়া যাইবে ।

নসিয়া এবং বমি :- ইহা সাধারণতঃ হয় গ্যাস্ট্রো-ইন্টেষ্টাইনাল অবস্ট্রাকশন এর জন্য। হহা হইলে Nasogastric tubes এর দ্বারা সাকসন করা প্রয়োজন ।

কোষ্ঠবদ্ধতা :- এই লক্ষণ টিউমার হওয়ার সাথে সাথে হতে পারে। ইহা কোন Neoplasm এর কারণে হতে পারে যা পায়খানার রাস্তাকে অবরোধ করে। Opium in a suitable potency will regrass the tumour and encourage the passage of stool. যদি ইহা ক্যানসার এর জন্য হয় Alumina is the medicine. সাপজিটারী যতদুর সম্ভব বাদ দিতে হবে। বেশী আঁশ যুক্ত খাবার পায়খানা বাড়ায়। খাবার ও পানির তুলনায় পায়খানা প্রস্রাব যথাযথ পরিমাণ হয় কিনা তা প্রতিদিন সতর্কতা সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ডায়রিয়া :- টিউমার এর জন্য ডায়রিয়া হতে পারে। চ্যাপারো অ্যামারগো-Q প্রতিমাত্রায় ১ ড্রাম হিসেবে প্রত্যহ তিন বার দিতে হবে।

ডিসপেপসিয়া :- ইহা অত্যন্ত কষ্ট দায়ক লক্ষণ। যাতে খাদ্য গলদকরণ তো দুরের কথা সামান্য লালা পর্যন্ত গিলতে কষ্ট হয় । সাথে থাকে শ্বাস কষ্ট। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঔষধ দিয়ে উহা কমাতে হবে।

হিক্‌কা :- খাদ্যের বিপাকীয় দুর্বলতার জন্য ডায়াফ্রামের ইরিটেশন এর জন্য হিক্কা হয় । ইহার মূল কারণ রেনাল ফেইলর। ইহা খুবই সাবধানতার সহিত প্রতিহত করতে হবে।

কফ :- ইহা টিউমার এর জন্যই হয় বা বুক বা গলার ইনফেকশন এর জন্য হয় যাহা সুনির্দিষ্ট ঔষধে দ্বারা চিকিৎসা করতে হবে ।

DYSPNEA :- ইহা অত্যন্ত ঝামেলা পূর্ণ লক্ষণ। রোগী ভীষণ উদবিগ্ন হয়ে পরে এবং চিকিৎসকের নিকট তাড়াতাড়ি মুক্তি চায় ৷ ইহা সাধারণতঃ বুকের (Chest) Pleural effusion, intra- abdominal pressure or chest infection 43 G হয়। Oxizen দিয়ে সামান্য সময় উপকার পাওয়া যায়।

বার বার প্রস্রাব (Frequent Urination) :– ইহা সাধারণতঃ ** Neoplasm or therapy such as Radiation, Chemotherapy, Surgery or any infection. eff যাতে প্রস্রাব হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। বার বার প্রস্রাব আটকানোর ফলে কিডনী নষ্ট হতে পারে প্রস্রাবের ফিরে যাওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ০৩ (প্রদাহের চিকিৎসায় কার্যকর)

PRURITUS :- With increasing jaundice or skin involmant with tumour itching may develop. এর জন্য কোন অতিরিক্ত চিকিৎসার প্রয়োজন নেই ।

অনিদ্রা (Insomnia) :- This will be taken Care by the indicated remedy. After the administration of the remady if the patient is sleeping well and eating well the improvemeant is at signt This will indicate the correctness of the remady.

CONFUSION :- It is important to exclude metabolic causes include renal failure, hyperglycemia or abnormal electrolyte balance.

I give below a case of renal failure, sucessfully treated with homeopathic medicienes.

Example :-A patient suffering from uterine cancer was treated she developed renal failure. Her creatinine level rose up to 9.3 mg% and urea level 127.4mg%. She was delirious stuporous, Used to answer questions. very slowly though correctly but immeditely after that, stupor returned. Gradually went in, to coma.

The following Symptoms were considered:
= Uremic coma.
= Diffcult to open the eyelids.
= Hand jerking,
= Delirium answering slowly.
= Stupor; answers properly but stupor returns immediatly.

After giving Hyoscyamus-30, which was the indicated remedy, in hourly doses her creatinine level came down to 7.82 mg%, ureal level came down to 113.8mg%, Her kidney was revived to the normel state.

ANXIETY AND DEPRESSION : – These symptoms are commonly found in the termenal cases. It is possible in most of the cases that they are depresseb and anxioses because of some other physical trouble, such as bed sores, pain, dyspnea etc. These may be relived by attending to the physical and psychological problems of the paitemt.

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev