বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X)
Barium Acetica (3X-6X)
ক্যাটাগরি : উইলমার শোয়াবে ইন্ডিয়া বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X) হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।
কার্যকারীতা : ঊর্ধ্বমুখী অংশের কম্পনে কার্যকর।
বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X) ঔষধের ব্যবহার : পুরো বাম পায়ের নিচে ব্যথা, বসে থাকলে পায়ের ক্লান্তি বোধ, পায়ে ঝাঁকুনি, উরুর পিছনের অংশে ব্যথা, প্রতি ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পায় এবং সে ব্যথা পায়ে প্রসারিত হয়। জরায়ুর কশেরুকা থেকে ডান কানের পিছনে পর্যন্ত ব্যাথা প্রসারিত হয়।
বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X) ঔষধের লক্ষণ : আত্মবিশ্বাসের অভাব, পুরো বাম পায়ের নিচে ব্যথা। পেশী এবং জয়েন্টে লুম্বাগো এবং বাতজনিত ব্যথা। মাড়ির ও ফোলা বেদনা, এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল জুড়ে ব্যথা, সামান্য খাবারে বৃদ্ধি হয়, সকালের নাস্তা করলে বমি বমি ভাব শ্বাস-প্রশ্বাসকে কঠিন করে তোলে।
বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X) ঔষধ সেবন বিধি : ট্যাবলেটগুলি মুখে রাখুন এবং তাদের জিহ্বার নীচে দ্রবীভূত করতে দিন। প্রাপ্তবয়স্করা ও কিশোর-কিশোরীরা (১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী) ২টি ট্যাবলেট, প্রতিদিন সাকাল- রাত (দুইবার) অথবা রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুণ। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক থেকে দুই বার সেবন করতে হবে। লক্ষণগুলির উন্নতির সাথে সাথে ডোজ কম করুন। যদি ঔষধ সেবন করেও উপশম না হয় তবে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X) ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : অ্যালোপ্যাথি অথবা আয়ুর্বেদিক বা অন্যান্য ঔষধ থাকলেও হোমিওপ্যাথিক ট্যাবলেটগুলি সেবন করা নিরাপদ। হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি অন্যান্য ওষুধের ক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে না। এটি নিরাপদ এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X) ঔষধের সতর্কতা : আপনি যখন ওষুধ খান তখন খাবারের ১৫ মিনিট আগে বা ১৫ মিনিটের পরে ঔষধ খাওয়া উত্তম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X) ঔষধ গর্ভবতী বা বুকের দুধ বাচ্চা থাকলে ঔষধ খাওয়ার আগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে পরামর্শে সেবন করুন। তবে যে কোন ঔষধ নিজে খাওয়া ঠিক নয়। এতে করে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। সব সময় একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ।
বাধা নিষেধ : বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X) ওষুধ খাওয়ার সময় তামাক খাওয়া বা অ্যালকোহল পান করা ঠিক নয়।
বেরিয়াম অ্যাসেটিকা (৩X-৬X) ঔষধ সংরক্ষণ : আলো-বাতাস, সুগন্ধ-দগন্ধ থেকে দুরে শীতল ও শুস্কস্থানে, শিশুদের নাগাল এর বাইরে রাখুন।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।