বালিকাদের সাদা স্রাবের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম, এখানে আজ বালিকাদের সাদা স্রাবের কারণে হয়ে থাকে, ইহার লক্ষণ কি? ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আজের নিয়ে আলোচনা কররো। এটা সবার জনা দরকার। চলেন কথা না বাড়িয়ে মুল আলোচনায় যায়।
নারীদের জরায়ু থেকে বা যোনিপথ দিয়ে যে সাদা রস নিঃসরণ হয়ে যোনি পথকে ভেজা রাখে সেটাই সাদা স্রাব। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ঋতু¯্রাবের স্রাবের আগে ও পরে, স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সময় ও অভ্যুলেশনের ডিম্বক্ষরণ সময় মহিলাদের যোনিপথে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি পরিমাণ স্রাব নির্গত হয়, তাকে আমরা লিকোরিয়া (Leucorrhoea) সাদা স্রাব অথবা অতিরিক্ত সাদা স্রাব বলা হয়। এর সঠিক চিকিৎসা ও কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এ অসুখটি ভাল হয়।
বালিকাদের সাদা স্রাবের কারণ :
(ক) যোনি পথে ট্রাইকোমোনাস ক্যানডিডিয়া অথবা মোনিলিয়া জীবাণু দ্বারা কোন ভাবে সংক্রমণ হলে।
(খ) কপার টি পরার সময় কোন ভাবে ভিতরে জীবাণু প্রবেশ করে।
(গ) পুরাতন আমাশয় বা কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ।
(ঘ) গর্ভপাত বা স্রাবের পর জীবাণু সৃষ্টি বা সংক্রমণ হলে।
(ঙ) মাসিকের কাপড় অপরিষ্কার থাকলে অথবা নোংরা পানিতে ধৌত করলে বা অপরিষ্কার থাকলে।
(চ) অপরিষ্কার বা অন্য জনের ব্যবহৃত কাপড় পরিধান করলে ।
(ছ) মানসিক দুশ্চিন্তা অথবা অশান্তিতে ভুগলে ।
আরও পড়েন –
বালিকাদের সাদা স্রাবের লক্ষণ :
(১) যোনি থেকে প্রচুর সাদা রস ক্ষরণ হতে থাকে বা ঘন দই-এর মত অথবা ঘোলের মত সাদা দেখায়।
(২) যোনিতে চুলকায় আবার অনেক সময় ফুলে উঠে।
(৩) কোন কোন সময় স্রাবে দুর্গন্ধ অথবা ফেনার মত দেখাতে পারে।
(৪) ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে বা প্রসাবে কষ্ট দেখা যায়।
(৫) যৌন মিলন কালে জ্বালাপোড়া করতে পারে।
(৬) পরীক্ষা করলে যৌনির সারভিক্সের মুখে ফোস্কা গলানোর মত লালচে দেখায়।
(৭) অনেক সময় মলদ্বার ও বার্থলিন গ্রন্থিতে ব্যথা হতে পারে।
(৮) গর্ভকালে যৌন মিলন বন্ধের কারণে এটা বেশি হতে পারে।
(৯) রোগী খুব রুগ্ন ও খিটখিটে স্বভাবের হয়।
বালিকাদের সাদা স্রাবের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা : হোমিও চিকিৎসা একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা। ঔষধের লক্ষণের সাথে রোগীর লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcaria Carb) : বালিকা যারা বিদ্যালয়গামী মেয়েদের সাদা স্রাব বা শ্বেত প্রদর বা দুধের মত সাদা স্রাবে ইহা অব্যর্থ মহৌষধ। এদের বয়সে কম হওয়ায় এ সময় বালিকারা ততটা বুঝতে পারে না। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বালিকাদের পায়জামায় যৌনাঙ্গ বরাবর অংশে দাগ পড়ে। অনেক সময় স্রাবের সহিত যোনি প্রদেশে জ্বালা করে ও চুলকায়। মোটা থল থলে মেদপূর্ণ রোগিনী, নিদ্রা কালে মাথার ঘামে বালিশ ভিজে, শীতে কাতর হয়- এই ধাতুর রোগিনীদের ক্ষেত্রেও এ ঔষধটি শ্বেতপ্রদরে অত্যাধিক উপকারী।
ঔষধ সেবন বিধি : ক্যালকেরিয়া কার্ব শক্তি ৬ বা ৩০ অথবা ২০০ সকাল বিকাল দুই মাত্রা।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।