বায়ো কম্বিনেশন ১৯ (জয়েন্ট ব্যথা)

Bio Combination 19 (Joint Pain).

ক্যাটাগরি: বায়ো কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি বায়োকেমিক ট্যাবলেট।

বায়ো কম্বিনেশন ঔষধ পরিচিতি : Bc 19, Bio Comb 19, Bio Comb No 19 নামেও পরিচিত।

আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো বায়ো কম্বিনেশন ১৯ (জয়েন্ট ব্যথা) হোমিওপ্যাথি ঔষধ কি তা নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

বায়ো কম্বিনেশন ১৯ এর কার্যকারিতা : জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা, শক্ত ঘাড় এবং শক্ত গলা, হাঁটু এবং পিঠে ব্যথা, লুম্বাগো সায়াটিকা, লেখক এবং খেলোয়াড়ের ক্র্যাম্প করতে উপশ্রম করতে কার্যকর।

বায়ো কম্বিনেশন ১৯ ঔষধের ব্যবহার : আর্থ্রাইটিস এবং বাতজনিত ক্লান্তি, জয়েন্টগুলোতে ফোলা বা পেশী দুর্বলতায় কার্যকর। পিঠ ও হাঁটুর ব্যথা এবং কাঁধের নাড়াচাড়া এবং মোচড়ানোর ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে। জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা, অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। হাঁটু, ঘাড়, কাঁধ এবং অন্যান্য এলাকায় কঠোরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা উন্নত গতিশীলতা ও নমনীয়তার জন্য অনুমতি দেয়। আর্থ্রাইটিস এবং রিউম্যাটিজমের এমন অবস্থা যা জয়েন্ট এবং পেশীতে ব্যথা হতে মুক্তি দেয়। জয়েন্ট এবং পেশী শক্ত হওয়া এবং ব্যথার সাথে যুক্ত প্রদাহজনিত এবং জ্বরজনিত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথার সাথে যুক্ত ক্লান্তি বা পেশী ক্লান্তি দুর করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ২০ (সায়াটিকার চিকিৎসায় কার্যকর)

বায়ো কম্বিনেশন ১৯ মূল উপাদান :
(ক) ক্যালিয়াম সালফিউরিকাম 3x (Kalium sulphuricum 3x)।
(খ) ফেরাম ফসফরিকাম 3x (Ferrum phosphoricum 3x)।
(গ) ম্যাগনেসিয়া ফসফোরিকা 3x (Magnesia phosphorica 3x)।
(ঘ) নেট্রাম সালফিউরিকাম 3x (Natrum sulphuricum 3x)।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ৩১ (অস্টিওআর্থারাইটিস, রিউম্যাটিজম এবং গাউট চিকিৎসায় কার্যকর)

বায়ো কম্বিনেশন ১৯ বায়োকেমি ঔষধের কার্যকারিতা :
(১) ক্যালিয়াম সালফিউরিকাম 3x (Kalium sulphuricum 3x) : নিম্ন অঙ্গের ভারীতা। ত্বকের চুলকানি। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ঝাঁকুনি। হাত ও নীচের অঙ্গ এবং পায়ের অসাড়তা। ঠান্ডার সময় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা করে। অঙ্গে শক্ত হয়ে যাওয়ায় ব্যথা। পেশীতে ক্র্যাম্প। হাঁটু এবং পায়ে ব্যথা।

(২) ফেরাম ফসফোরিকাম 3x (Ferrum phosphoricum 3x) : কাঁধে ব্যথা সহ শক্ত হওয়া, ব্যথা বুকে কব্জি পর্যন্ত প্রসারিত। হাত ফোলা এবং বেদনাদায়ক, শক্ত ঘাড়।

(৩) ম্যাগনেসিয়া ফসফোরিকা 3x (Magnesia phosphorica 3x) : বাহু ও হাতে দুর্বলতা, আঙুলের ডগা শক্ত ও অসাড়। সাধারণ পেশী দুর্বলতা। বাহুর মধ্যে ক্র্যাম্প, সায়াটিকা, পা খুব কোমল। ডার্টিং ব্যাথা।

(৪) নেট্রাম সালফিউরিকাম 3x (Natrum sulphuricum 3x) : হাঁটু শক্ত হওয়া, জয়েন্ট ফেটে যাওয়া, স্যাঁতসেঁতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় আরো বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ৬২ (পেশী দুর্বলতা ও জয়েন্টের ব্যথায় কার্যকর)

বায়ো কম্বিনেশন ১৯ বায়োকেমিক ঔষধের উপকারিতা:
(১) কোন প্রদাহ সৃষ্টি না করে জয়েন্ট ও পেশীতে ব্যথা নিরাময় করে।
(২) ঘাড় এবং কাঁধের ব্যথার শক্ততা নিরাময় করে।
(৩) হাঁটু শক্ত হওয়া, বাতজনিত জয়েন্টে ফাটল যা স্যাঁতসেঁতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় আরও খারাপ হলে তা উপশ্রম করে।
(৪) ঠাণ্ডা ও ত্বকের চুলকানির সময় নীচের অঙ্গগুলির ভারী হওয়া থেকে মুক্তি দেয়।
(৫) ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ঝাঁকুনি, হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া এবং পেশীতে খিঁচুনি নিরাময় করে।

আরও পড়ুন – কেন্ট ১৫ (বাত রোগে কার্যকর)

বায়ো কম্বিনেশন ১৯ সেবন বিধি :
২১প্রাপ্তবয়স্করা : প্রতি তিন ঘন্টা অথবা দিনে চারবার ৪ টি ট্যাবলেট, শিশুরা ১ থেকে ২ ট্যাবলেট দিনে ৪ বার কুসুম কুসুম গরম পানির সঙ্গে সেবন করতে হবে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

আরও পড়ুন – এন – ১১ (রিউমেটিজম বাত ও গেটে বাত রোগে ড্রপস)

চিকিৎসকের পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন

সর্তবলী : বায়ো কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি বায়োকেমিক ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য।

ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালে বাহিরে রাখুন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন।এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।