বায়ো কম্বিনেশন ১৪ (জ্বর-সর্দি)

Bio Combination 14 (fever-cold)।

আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো বায়ো কম্বিনেশন ১৪ (জ্বর-সর্দি)বায়োকেমিক হোমিওপ্যাথিক ট্যাবলেট নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

ক্যাটাগরি : বায়ো কম্বিনেশন, হোমিওপ্যাথি বায়োকেমিক ট্যাবলেট ।

বায়ো কম্বিনেশন ১৪ পরিচিতি : Bc 14, Bio Comb 14, Bio Comb 14 এই নামেও পরিচিত।

ব্যবহার : হাঁচি এবং নাক থেকে পাতলা স্রাব, চোখ জল, কাশি ও শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, মাথা ব্যথায় ব্যবহার হয়। রোগের সমস্ত পর্যায়ে সহায়তা করে। ঐতিহ্যগতভাবে সমস্ত ধরণের প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

বায়ো কম্বিনেশন ১৪ কম্পোজিশন হোমিওপ্যাথি ট্যাবলেটের লক্ষণ :
জ্বর, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া উপশম করে। শরীরের দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে, শক্তি ও কষ্ট সাশ্রয় করে। রক্তনালী ও ধমনীর দেয়ালকে শক্ততা বা শক্তি প্রদানে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ৯৯ (সর্দি এবং ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জায় কার্যকর)

বায়ো কম্বিনেশন ১৪ কম্পোজিশন হোমিওপ্যাথি ট্যাবলেটের মুল উপদান।
(১) ক্যালিয়াম মিউরিয়াটিকাম 3x (Kalium muriaticum 3x)।
(২) ক্যালিয়াম সালফিউরিকাম 3x (Kalium sulphuricum 3x)।
(৩) ফেরাম ফসফরিকাম 3x (Ferrum phosphoricum 3x)।

আরও পড়ুন – কেন্ট ০৩ (সর্দি এবং কাশি রোগে কার্যকার)

বায়ো কম্বিনেশন ১৪ কম্পোজিশন হোমিওপ্যাথি ট্যাবলেটের কার্যকারিতা :

(ক) ক্যালিয়াম মিউরিয়াটিকাম 3x (Kalium muriaticum 3x) : সর্দি এবং কাশি উপশম করে, দীর্ঘস্থায়ী নাক, গলা ব্যথায় ভালো কাজ করে।

(খ) ক্যালিয়াম সালফিউরিকাম 3x (Kalium sulphuricum 3x) : নাক থেকে স্রাব, পুঁজ ধারণকারী, চোখ লাল হয়, কাশি ঝাঁকুনি, যড়ধৎংবহবংং ছাড়াও হলুদ শ্লেষ্মা, ব্রণ, কানের সংক্রমণ এবং পেট ব্যথা সহ কাশি এবং সর্দি নিরাময় করে।

(গ) ফেরাম ফসফরিকাম 3x (Ferrum phosphoricum 3x) : তাপমাত্রার ধীরে ধীরে শুরু হয়, ফ্যাকাশে, সহজে ফ্লাশিং, গোলাপী গাল ও বেদনাদায়ক, ছোট, সুড়সুড়ি কাশি, শুষ্ক কাশি সহ বুকে ব্যথা করে।

আরও পড়ুন – কেন্ট ০৮ (ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরে কার্যকর)

বায়ো কম্বিনেশন ১৪ সেবন বিধি : প্রাপ্তবয়স্করা : প্রতি তিন ঘন্টা অথবা দিনে চারবার ৪ টি ট্যাবলেট, শিশুরা ১ থেকে ২ ট্যাবলেট দিনে ৪ বার কুসুম কুসুম গরম পানির সঙ্গে সেবন করতে হবে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।

চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন

সর্তবলী : বায়ো কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি বায়োকেমিক ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য।

আরও পড়ুন – কেন্ট ৬৪ (জ্বর ও কাশিতে কার্যকর)

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালে বাহিরে রাখুন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন।এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।