পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হলে করণীয় কী?
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হলে করণীয় কী নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
পিরিয়ডের সময় অনেক নারীই অতিরিক্ত রক্ত¯্রাব সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু অনেকেই এটা স্বাভাবিক বলে ধরে নেন। ইহার কারণ, কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত হিসেবে ধরা হয়, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা জানা নেই অনেক মহিলার। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার পিরিয়ডের সময় রক্তপাতের পরিমাণ কম বেশী বা আলাদা হয়। তবে যদি গড় হিসাব করা যায় একটি ঋতুচক্র মোটামুটি ভাবে দিন পাঁচেক স্থায়ী হওয়ার কথা। মোট রক্তপাতের পরিমাণ ২-৩ টেবিল চামচের বেশি হওয়ার কথা।
যদি দেখেন প্রতিবার সাতদিন স্থায়ী হচ্ছে ঋতুকাল, একবার ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই আবার শুরু হয়ে যাচ্ছে, প্রতি ঘণ্টায় ঘন্টায় প্যাড বা ট্যাম্পন পালটাতে হচ্ছে, রক্তের চাকা বেরোচ্ছে, রাতে ঘুমের মাঝে উঠে দেখছেন প্যাড ভিজে গিয়ে জামাকাপড় অথবা বিছানায় দাগ ধরছে, তা হলে বুঝতে হবে আপনার অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা আছে।
এমন সমস্যা একদিনে তৈরি হয়নি। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যা এর জন্য দায়ী। তাই একের বেশি সাইকেলে এই ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুণ।
বেশি রক্তপাত বা মেনোরেজিয়ার কারণ :
(১) ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যই ইউটেরাসের ভিতরের লাইনিং বা এন্ডোমেট্রিয়াম গঠন করে থাকে। মাসিক বা ঋতুচক্রের সময়ে এই এন্ডোমেট্রিয়ামটাই নির্গত হয় আপনার শরীর থেকে, কিছুদিনের মধ্যে আবার গড়ে ওঠে। হরমোনের কোনো গোলমাল হলে এন্ডোমেট্রিয়াম মোটা হয়ে যায়, এর ফলে রক্তপাতও বেশি হয়।
(২) ওভারিতে কোনো সমস্যা হলে, ইউটেরাসে ফাইব্রয়েড বা পলিপ তৈরি হলে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।
(৩) অনেক সময়ে নন-হরমোনাল ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস শরীরে প্রবেশ করালে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।
(৪) প্রেগন্যান্সির মধ্যে রক্তপাত হলে বুঝতে হবে যে কোথাও কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেই এ সমস্যা হচ্ছে ।
মেনে চলুতে হবে কিছু সাবধানতা :
(ক) অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য চিকিৎসকে দেখানো বা তার পরামর্শ মেনে চলতে হবে এর পাশাপাশি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
(খ) খুব বেশি রক্তক্ষয় হলে ক্লান্তিবোধ করে, নিয়মিত কাজকর্ম বা কোন ভারি জিনিস চাঁড়তে পারবে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে বিশ্রাম নিন, জোর কওে কোন কাজ করতে যাবেন না। অতিরিক্ত শরীর চর্চা থেকে দুরে থাকুন কয়েকদিন।
(গ) খুব বেশি রক্তপাত হলে আপনার কোষগুলো যথেষ্ট অক্সিজেন নাও পেতে পারে। সে ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে একেবারেই দেরি করবেন না।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।