বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ অপরাহ্ন

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম

আরোগ্য হোমিও হল / ১৯৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ৬:২১ পূর্বাহ্ন

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম

(Natrum Muriaticum)

সাধারণ নাম- পটাশিয়াম ক্লোরাইড, কেলি ক্লোরেটাম।

উপাদন : Sodium Chloride Salt,
রাসায়নিক ফর্মুলা- NaCI

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ঔষধটির বিশেষত্ব : অতিময়, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ মাথা ব্যথা, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মাথা বেদনা। বিশেষ করে যে সব ছাত্রীরা সূর্যের তাপ মোটেই সহ্য করতে পারে না। তীব্র শিরঃপীড়া যাতে দৃষ্টি শক্তি লোপ পায়। সামান্য ঠাণ্ডা লাগলেই সর্দি হয়। নাক চোখ দিয়ে জল পড়ে ও হাঁচি হয়। এছাড়া বহুকাল স্থায়ী কোষ্ঠবদ্ধতা, নিয়মিত আহরাদি সত্বেও শিশুদের শীর্ণতা বিশেষ করে ঘাড়ের দিকটা, সবিরাম জ্বর, মহিলাদেও নানা প্রাকারের নিয়মিত ঋতুস্রাব, সাদা সাদা, স্ত্রীলোকদের ঋতুস্রাব ঘটিত ও পুরুষদের শুক্রক্ষয়হেতু রক্তহীনতা, কৃমির জন্য মুখে জল উঠে ও নাক চুলকায়, হাঁপানী, গলা সুড় সুড় করে কাশি, সর্দিগমি, জ্বরঠুঁটো, সন্ধিবাত, গলগণ্ড, মহুমত্র, শোথ, চুলের গোড়ায় দাদ, আমবাত, জ্বর খুশকি, পায়খানার সময় বিনা উত্তেজনায় বীর্যপাত, যোনির অভ্যন্তর শুকনা হেতু সহবাসে কষ্ট এবং নেট্রাম মিউরিয়েটিকামের অন্যান্য লক্ষণে কার্যকর।

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ঔষধটির ক্রিয়াস্থল : মানুসিক, মস্তক ও মস্তিক, চক্ষ, কর্ণ, নাসিকা, মুখমণ্ডল, মুখমধ্য, দন্ত, জিহ্বা, গলাভ্যন্তর, পাকস্থলী, উদর ও মল, উদরাময়, যকৃত, কৃমি, মুত্রযন্ত্র, পুনংজনেন্দ্রিয়, স্ত্রীজনেন্দ্রিয়, প্রসবের পর, গর্ভাবস্থা, শ্বাসযন্ত্র, রক্ত সঞ্চালন যন্ত্র, গলা ও পৃষ্ঠ, হস্তপদ, স্নায়ু, শোথ, ত্বক, দংশন, টিসু, জ্বর, টাইফয়েড জ্বর, নিদ্রা ইত্যাদিতে কার্যকর।

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ঔষধটির পরিচায়ক লক্ষণ :
১/ একাকী থাকিতে আলবাসে, কাহারও সহিত কথা বলিতে অনিচ্ছা প্রাকাশ করে। মানসিক অবসাদ, মনমরা ভাব, সহজেই অশ্রু পতনশীল স্বভাব (Weeping tendency), শান্তনা দিলে আরও বিরক্ত হয়।

২/ শ্বণ শক্তির হ্রাস।
৩/ উৎকৃষ্ট আহারাদি সত্বে ও শিশুদের শীর্ণতা রোগ, বিশেষতঃ গ্রীবাদেশের শীর্ণতা।

৪/ প্রাতঃকালে নিদ্রাভঙ্গেও পর প্রববেগে শিরঃপীড়া। সূর্যোদয় হইতে সূর্যান্ত পর্যন্ত শিরঃপীড়ার বৃদ্ধি। মনে হয় যেন মস্তক বিদীর্ণ হইয়া যাইবে। যেন সহ্র হাতুড়ি মস্তকে আঘাত করিতেছে। শিরঃপীড়া সহ নিদ্রালুতা। শয়নে, চুপ করিয়া থাকিলে এবং ঘর্ম হইলে উপশম।

৫/ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদিগের শিরঃপীড়া (ক্যাল্ক ফস)।

৬/ সর্দি গরমির ইহাই প্রধান ঔষধ।

৭/ বিকারে রোগী বিড়বিড় করিয়া প্রলাপ বকে (কেলি ফস)।

৮/ জিহ্বা পরিস্কার আঠা আঠা বুদ্ধদযুক্ত থুথুর ন্যায়, মানচিত্রের ন্যায় (mapped)।

৯/ যে কোন রোগের সহিত অনিবার্য নিদ্রা যাওয়ার প্রবৃত্তি থাকে। তন্দ্রালুতা।

১০/ অত্যান্ত লবণ খাওয়ার স্পৃহা (desire for salt) এবং রুটি ভক্ষণে অনিচ্ছা।

১১/ চক্ষের সর্বপ্রকার রোগেই চক্ষু হইতে অৎস্র হাজাজনক অশ্রু নির্গত হইলে উৎকৃষ্ট। চক্ষুজল আছে। একটি জিনিষকে দুইটি দেখায় (double bision) এবং কোন জিনিষের অর্ধভাগ মাত্র দেখা যায়। (hepiopia), পড়িতে গেলে অক্ষর সকর নড়িয়া বেড়ায়। আলোক অসহিষ্ণুতা। প্রাতঃকালে রোগ বৃদ্ধি।

১২/ সামান্য মাত্র ঠাণ্ডা লাগিলেই সর্দি হয়। নাসিকা হইতে জল পড়ে ও মধ্যে মধ্যে হাঁচি হয়। স্রাবে নাকের কোণ হাজিয়া যায়।

১৩/ প্রভূত লালাস্রাব অথবা জলীয় বমন সহ পাকস্থলী যে কোন অসুখ। আহারের পর দুর্বলতা ও আলস্য বোধ এবং পাকস্থলী ও যকৃৎ স্থানে একপ্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা ভোগ করে। অতিশয় ক্ষুধার্ত হয়, কিন্ত আহারের পরক্ষণেই পেট ভার হইয়া যায়।

১৪/ বিবিধ রোগের সহিত অশ্রুপতন, লালাস্রাব এবং অতি তৃষ্ণা এই ঔষধের উৎকৃষ্ট নির্বাচক লক্ষণ।

১৫/ অতিশয় কোষ্ঠবদ্ধতা ও শিরঃপীড়া। মানসিক অবসাদ ও মনমরা ভাব।
১৬/ আসাড়ে মল নির্গত হয়, বায়ু নিঃসরণ করিবার সময় মল কি বায়ূ নিঃসরণ হইবে বুঝিতে পারে না। মেজাজ অতিশয় খিটখিটে। তিক্ত ও লবণাক্ত আহারে স্পৃহা। মল জলবৎ, কাল এবং তৎসহ বেদনা, টাটানি ও কুন্থন থাকে। মল যে স্থানে লাগে হাজিয়া যায়।

১৭/ উদরী পীড়ার ভাল ঔষধ, বিশেষতঃ ম্যালেরিয়া ও কুইনাইনের অপব্যবহার হইলে। অতিশয় তৃষ্ণা, কিন্ত প্রস্রাব কম। কোষ্ঠবদ্ধতা।

১৮/ সুত্রবৎ কৃমি সহ মুখ দিয়া জল উঠা।

১৯/ বহুমুত্র, শর্করাবিহীন, জলবৎ মুত্রত্যাগ এবং তৎসহ অতিশয় তৃষ্ণা, মুখ দিয়া জল উঠা, শরীর শীর্ণ, মানসিক বিষণœতা। প্রস্রাব ত্যাগের পর জ্বালা। প্রস্রাবের বেগ ধারণ করিতে পারে না।

২০/ প্রমেহ রোগের প্রাচীন গ্লীট অবস্থায় জলবৎ স্রাব। প্রস্রাবের পর জ্বলা। নতুনবস্থায় অতিশয় জ্বালা থাকিলে।

২১/ একশিরা হইতে পরিস্কার জলবৎ স্রাব নিঃসরণ।

২২/ নানাপ্রকারের নিয়মিত ঋতুস্রাব এই ঔষধে দৃষ্ট হয়। ঋতুস্রাব কখনও বন্ধ, কখনও বিলম্বে, কখনও অল্পমাত্রায়, কখনও বা বহুদিন স্থায়ী হয় এবং যে স্রাব হয়, তাহা জলবৎ তরল ও জ্বালাজনক। সেই সঙ্গে রোগীএকাকী থাকিতে আলবাসে, কাহারও সহিত কথা বলিতে অনিচ্ছা প্রাকাশ করে। মানসিক অবসাদ, মনমরা ভাব, সহজেই অশ্রু পতনশীল স্বভাব (Weeping tendency), , শান্তনা দিলে আরও বিরক্ত হয়।

২৩/ যোনির অভ্যন্ত শুস্ক হওয়া বশতঃ রতিক্রিয়ার কষ্ট।

২৪/ প্রত্যেক দিন প্রাতঃকালে যোনিদেশে ভারবোধ এবং যোনির ভিতর দিয়া সমস্ত বাহি:ও হইয়া যাবে এইরুপ বোধ হয।

২৫/ শ্বেত প্রদরে জনিনেন্দ্রিয় হইতে জ্বালাজনক তরল স্বচ্ছ স্রাব নিঃসরণ এবং উহা যে স্থানে লাগে হাজিয়া যায়। ¯্রাবের পর জ্বালা ও টাটানি নেট্রাম মিউরের বিশেষত্ব।

২৬/ স্বচ্ছ জলের ন্যায় অথবা ফেনিল শ্লেম্মযুক্ত বমন। কখনও দুর্গন্ধপূর্ণ অথবা লবণাক্ত জল মুখ দিয়া উঠে।

২৭/ সর্বপ্রকার কাশিতে যখন স্বচ্ছ তরল ও ফেলিন শ্লেম্মা নির্গত হয়। গলা সুড়সুড় করিয়া কাশি (ফেরাম ফস)। কাশিবার সময় মুখ, নাসিকা, বিশেষতঃ চক্ষু হইতে অজশ্র অশ্রুপাত এবং স্রাব নির্গত হয় (ফেরাম ফস)। সমুদ্রতীরে অথবা লবণাক্ত স্থানে বাস জন্য কাশির বৃদ্ধি। অতিশয় পিপাশা। জিহ্বা পরিস্কার ও থুথু আবৃত।

২৮/ ক্রোধ, রুটি, অম্ল খাদ্য আহার, ক্ইুনাইনের অপব্যবহার, কষ্টিক দ্বারা কোন স্থান গন্ধ করা, শোক, দুঃখ, ভয়, যন্ত্রণাভোগ প্রভৃতি কারণে পীড়ার উৎপত্তি।

২৯/ মুখ মণ্ডল তৈল মাখানোর ন্যায় চকচকে দেখায় রোগীল চেহারা শীর্ণ, বিবর্ণ, রক্তহীণ ফ্যাকাশে এবং অতিশয় দুর্বল।

৩০/ হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনে সমস্ত শরীরেই উহার ঝাঁকি অনুভব করা যায়। নড়াচড়ায়, বিশেষতঃ বাম পার্শ্বের শয়নে উহার বৃদ্ধি।

৩১/ সর্বপ্রকার চর্ম পীড়ায় যখন জলবৎ তরণ স্বচ্ছ স্রাব নিঃসৃত হয়, তখন উৎকৃষ্ট।

৩২/ বৃশ্চিক, ভীমরুল, বোতলা প্রভৃতি দংশনে বাহ্য ও আব্যন্তরীণ প্রয়োগ প্রভৃতি।

৩৩/ জলবসন্তের প্রধান ঔষধ। চক্ষু ও নাসিকা হইতে জল পড়া এবং তন্দ্রা ও বিড়বিড়ে প্রলাপ থাকিলে। জিহ্বা শুস্ক, তৃষ্ণা। এইরুপ লক্ষণযুক্ত হাম।

৩৪/ রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া পীড়ার উৎকৃষ্ট ঔষধ (ক্যাল্ক-ফস)। শরীর হইতে রস, রক্ত, স্ত্রীলোকদিগের ঋতুঘটিত ও পুরুষদিগের রেতঃপাতজনিত পীড়াবশতঃ রক্তহীনতা হইলে। এই সঙ্গে পূর্ববর্ণিত মানসিক লক্ষণ সকল শরীরের শীর্ণতা, শিরঃপীড়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, হৃৎস্পন্দন, কোমরবেদনা, জরায়ুর স্থানচ্যুতি প্রভৃতি লক্ষণ থাকে।

৩৫/ সবিরাম জ¦রে শীতাবস্থাই প্রবল। সকলপ্রকার জ্বরই বেলা ১০/১১ টার সময় আসা নির্দিষ্ট। যে কোন প্রকার জ্বরই হউক না কেন, যদি ঐ সঙ্গে অতিশয় নিদ্রা ও তন্দ্রালুতা, শিরঃপীড়ায় অজ্ঞানাবস্থা, অত্যন্ত তৃষ্ণা, জলীয় বমন ও চক্ষু হইতে জল পড়া থাকে, তাহা হইলে নেট্রাম মিউর নির্দিষ্ট। কুইনাইনের অপব্যবহার এবং নানাপ্রকার কুচিকিৎসাজনিত জ্বর। ওষ্ঠে মুক্তার ন্যায় জ্বরঠুঁটো বাহির হয়। জিহ্বা পরিস্কার আঠা আঠা বুদ্ধদযুক্ত থুথুর ন্যায়, মানচিত্রের ন্যায় (mapped)|।

৩৬/ প্রাতঃকালে, বেলা ১০/১১ টার সময়, সমুদ্রতীরে, লবণাক্ত স্থানে বাস, রৌদ্র লাগায়, উত্তাপে, নড়াচড়ায় ও কুইনাইনের অব্যবহারের বিবিধি পীড়া।

৩৭/ খোলা বাতাসে, শীতল জলে ধুইলে ও দক্ষিণ পার্শ্বে শয়নে পীড়ার লক্ষণে হ্রাস।

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ঔষধটির  বৃদ্ধি- উপশম:
বৃদ্ধি : বর্ষাকালে, গীস্মকালে, শয়নে, মানসিক পরিশ্রমে, সমুদ্র তীরে ও লবণাক্ত স্থানে, প্রাতঃকালে, বেলা ১০/১১ টার সময় সূর্যতাপে, আগুনের তাপে, কুইনাই ব্যবহারের পর, বাম পার্শ্বে শয়নে, নিদ্রার পর সঞ্চালনে, চাপে, পূর্ণিমায়, লেখাপড়া করিলে বৃদ্ধি।

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ঔষধটির  উপশম : শীতল জলে স্লন করিলে, উদর পূর্ণ করিয়া আহার না করিলে, খোলা বাতাসে, ডন পার্শ্বের শয়নে, কোমর বেদনার কঠিন শয্যায় শয়নে হ্রাস।

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ঔষধটির  শক্তি : সাধারণত 12X শক্তিই অধিক ব্যবহৃত হয়। ইহার নীচে কোন শক্তি ব্যবহার না করাই ভাল 30X, 60X, 200X শক্তির প্রায় ব্যবহৃত হয়।

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ঔষধটি  বিশেষ বিশেষ পীড়ায় ব্যবহার : রক্তস্বল্পতা, শুস্কতা, মস্তিস্ক শূন্যতা, শিরঃঘর্ণন, শিরঃপীড়া, সর্দি কোরিয়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, দুর্বলতা ও পক্ষঘাত, গলক্ষত, হৃৎপিণ্ড পীড়া, জ্বরঠুঁটো, সবিরাম ও টাইফয়েড জ্বর, লিউকোরিয়া, স্ত্রীরোগ, শীতপিত্ত, অতিশয় ঘর্ম, যকৃত ও প্লীহা পীড়া,রৌদ্র লাগ, আঁচিল, স্নায়ুশূল, ব্রঙ্কাইটিস, একজিমা, লালাস্রাব, স্বরযন্ত্রেও পীড়া প্রভৃতি পীড়ায় ইহা ব্যবহৃত হয়।

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ঔষধটির সেবন বিধি : প্রাপ্ত বয়স্কারা ৫টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ অথবা ৪ বার। অপ্রাপ্ত বয়স্করা ৩টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ অথবা ৪ বার কুসুম কুসম গরম পানির সহিত সেবন করতে হবে অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেনব করুন।

নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ঔষধটির  বিঘ্ন ঔষধ : আর্সেনিক ও ফসফরাস।

সমাপ্ত

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev