যৌনি পুরাতন পীড়া
হোমিওপ্যাথিক মানুসিক রোগ ও যৌন চিকিৎসা
ডা: জে. এন. পাত্র
ডি. এম. এস (কলকাতা ) ও
ডা: আর. এন. চন্দ্র
এম, ডি হোমিও প্রাপ্তন চিকিৎসক কলকাতা।
নিদ্রা হলো পূর্ণ বিশ্রাম। শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের পর শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে; তখন প্রয়োজন হয় পূর্ণ বিশ্রামের। নিদ্রার ফলে শরীরের যন্ত্রসমূহ বিশ্রাম পায় ও পুনরায় যন্ত্রগুলি ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। নিদ্রা ও অনিদ্রার সঙ্গে নানারকম মানসিক লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে। সঠিক চিকিৎসায় সুনিদ্রা হয় এবং মানসিক লক্ষণগুলিও দূরীভূত হয়। মনে রাখা দরকার, সুনিদ্রা না হলে কোনো কঠিন পীড়ার আক্রমণ ঘটাও অসম্ভব নয়। অনেক সময় এই ধরনের পীড়া জটিল ও রীতিমতো ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে।
(১) সমস্যা : রাত্রে অনিদ্রা—দিনের বেলায় নিদ্রাবেশ।
সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করাতে হবে স্ট্যাফিসেগ্রিয়া ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২) সমস্যা : ক্রোধশীল স্বভাবযুক্ত রোগী।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যামোমিলা ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য ।
(৩) সমস্যা : হিংসাযুক্ত স্বভাবযুক্ত রোগী।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্ট্র্যামোনিয়াম ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য।
(৪) সমস্যা : খিটখিট করা স্বভাবযুক্ত রোগী।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে পালসেটিলা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(৫) সমস্যা : আনন্দময় স্বভাবযুক্ত রোগী।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে লাইকোপোডিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৬) সমস্যা : রোগী চমকে ওঠে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন একোনাইট ন্যাপ ৩০ বা পালকেরিয়া কার্ব ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৭) সমস্যা : সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত রোগী।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন কস্টিকাম ৩০। দিনে ২ বার সেব্য।
(৮) সমস্যা : রোগী নিস্তব্ধভাবে বা চুপচাপ থাকে।
সমাধান : এই সমস্যার সেবন করতে দিন নাক্স-মস্কেটা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(৯) সমস্যা : সাহসী ও নির্ভয় স্বভাবযুক্ত রোগী।
সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করতে দিন একোনাইট ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(১০) সমস্যা : হিতাহিত ও ভালোমন্দ জ্ঞান জনিত মানসিক অস্থিরতায় কাতর রোগী।
সমাধান : এমন সমস্যায় সেবন করতে দিন ফেরম-মিউর ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১১) সমস্যা : রোগীর ধর্ম বিষয়ে উন্মত্ততা।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হায়োসিয়ামস ৩০ বা স্ট্যামোনিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১২) সমস্যা : রোগীর প্রহার করা বা অত্যাচার করা স্বভাব।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ভিরেট্রাম অ্যালবাম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৩) সমস্যা : রোগী কোঁকায় ও নীরবে কাঁদে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে প্ল্যাটিনাম ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৪) সমস্যা : পাগলামির ছিটযুক্ত রোগী।
সমাধান : সেবন করাতে হবে ক্যালকেরিয়া কার্ব ৩০ বা ল্যাকেসিস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৫) সমস্যা : কোনো এক বস্তুর জন্য ভয়ানক লোভবিশিষ্ট রোগী।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে পালসেটিলা ২০০ বা ব্রায়োনিয়া ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য ।
(১৬) সমস্যা : অত্যন্ত কামুক স্বভাবের রোগী।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ল্যাকেসিস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৭) সমস্যা : প্রতিহিংসাপরায়ণ রোগী।
সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করাতে হবে এমোনিয়াম-কার্ব ৩০ বা ক্যালকেরিয়া-কার্ব ৩০ বা ন্যাট্রম-মিউর ৩০ বা নাইট্রিক এসিড ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৮) সমস্যা : গম্ভীর স্বভাবের রোগী।
সমাধান : এমন উপসর্গে রোগীকে সেবন করাতে হবে ফসফরিক এসিড ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৯) সমস্যা : অবাধ্য ও একগুঁয়ে স্বভাবের রোগী।
সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করাতে হবে ক্যালকেরিয়া-কার্ব ৩০ বা ইগ্নেসিয়া ৩০ বা লাইকোপোডিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২০) সমস্যা : রোগীর কল্পনাপূর্ণ মন।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্ক্রুকুল্যারিয়া ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য ।
(২১) সমস্যা : রোগী স্বপ্ন দেখে, চমকে ওঠে, জেগে গিয়েও কাঁপতে থাকে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ব্রোমিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(২২) সমস্যা : রাত্রে আদৌ নিদ্রা হয় না, সারারাত ছটফট্ করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন আর্স-আয়োড ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৩) সমস্যা : অনেকক্ষণ চুপচাপ পড়ে থাকার পর ঘুম আসে, পাতলা ঘুম।
সমাধান : এই সমস্যায় রোগীকে সেবন করাতে হবে ওপিয়াম ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৪) সমস্যা : শিশুর দাঁত ওঠার সময় অনিদ্রা।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে একটিয়া রেসিমোসা ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৫) সমস্যা : শিশু মাকে জড়িয়ে ধরে, যেন কতো ভয় পেয়েছে। এই উপসর্গের প্রকৃত কারণ কি তা জানা যায় না।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বোরাক্স ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(২৬) সমস্যা : রোগীর আদৌ নিদ্রা হয় না, সারারাত ছটফট করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্স-আয়োড ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৭) সমস্যা : রোগী ঘুমায়, ঘুমাতে ঘুমাতে দমবন্ধের মতো অবস্থা হয়। তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যাডমিয়ম-সলফ ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৮) সমস্যা : আদৌ ঘুম হয় না, ঘুম এলেই ভীতিকর স্বপ্ন দেখে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যালকেরিয়া-কার্ব ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(২৯) সমস্যা : সর্বদাই ঘুম-ঘুম ভাব হয়।
সমাধান ঃ এমন রোগীকে সেবন করাতে হবে একোনাইট ৬ বা ক্যালকেরিয়া কার্ব ৬ বা ডালকামারা ৬ বা স্ট্যামোনিয়াম ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য। •
(৩০) সমস্যা : রোগী মানুষ দেখে ভয় পায়।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে হায়োসিয়ামস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩১) সমস্যা : কোনো কিছু গ্রাহ্য করে না এমন স্বভাবের রোগী।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে সাইলিসিয়া ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩২) সমস্যা : ক্লান্তি ও হতাশায় জর্জরিত রোগী।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে অরাম-মেট ২০০। দিনে ১ বার সেব্য।
(৩৩) সমস্যা : লজ্জাজনিত মানসিক চঞ্চলতা।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে সালফার ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩৪) সমস্যা : রোগীর শপথ করা স্বভাব।
সমাধান : এমন উপসর্গে রোগীকে সেবন করাতে হবে এনাকার্ডিয়াম- ওরিয়েন্ট ২০০। প্রত্যহ প্রাতে সেব্য ।
(৩৫) সমস্যা : অপমানজনিত কারণে নানা প্রকার পীড়ার আক্রমণ।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্ট্যাফিসেগ্রিয়া ৩০ বা অরাম- মেট ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩৬) সমস্যা : রোগী অন্ধকারে থাকতে ভয় পায়।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ভ্যালেরিয়ানা ৩০ বা ক্যালকেরিয়া কার্ব ৩০ বা রাস-টক্স ৩০ বা পালসেটিলা ৩০ বা লাইকোপোডিয়াম ৩০ বা কষ্টিকাম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য। •
(৩৭) সমস্যা : জ্বরে উষ্ণ অবস্থায় মৃত্যুভয়।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে এসিড নাইট্রিক ৬ বা ইপিকাক ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩৮) সমস্যা : রোগীর অনিদ্রা, ঘুমালে ভয়ানক স্বপ্ন দেখে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বিউটিরিক এসিড ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩৯) সমস্যা : আহারের আগে ও প্রাতে ঘুম-ঘুম ভাব।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্ক্রকুল্যালিয়া ৩০। প্রত্যেহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য।
(৪০) সমস্যা : শেষ রাত্রে নিদ্রা হয় না।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে নাস্ক-ভম ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য। (বিপরীত : প্রথম রাত্রে পালসেটিলা ।)
(৪১) সমস্যা : চর্মপীড়া জনিত অত্যধিক চুলকানির জন্য অনিদ্রা, রোগী বিছানায় ছটফট করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে কফিয়া ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৪২) সমস্যা : অস্থির নিদ্রা, ভয়ানক ধরনের স্বপ্ন দেখে, ভয় পায়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্কাটেলেরিয়া ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৪৩) সমস্যা : অস্থিরতার জন্য অনিদ্রা।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যামোমিলা ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৪৪) সমস্যা : বিভিন্ন চিন্তার কারণে অনিদ্রা ৷
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যালকেরিয়া সলফ ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।