মহিলাদের সাদা স্রাব কেন হয়, কী করবেন
আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম, এখানে আজ নারীদের সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া কোন রোগী না কোন রোগ না। এর ফলে কি করবেন, এটি থেকে কোন ক্ষতি হবে না হবে না। কোন সময় চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে তা নিয়ে আলোচনা কররো। চলেন কথা না বাড়িয়ে মুল ফিরে যায় আলোচনায় যায়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা: দীনা লায়লা হোসেন জানাছেন বিশেষ করে দেখা যায়, সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া নিয়ে নারীরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। অধিকাংশ অনেক নারীর ধারণা, সাদা স্রাবের কারণে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় ও স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে।
ডা: দীনা লায়লা হোসেন বলেন, সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া নারীদের এটি সাধারণ ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে করে অন্য কোনো রোগের আশঙ্কা ছাড়াই যোনি থেকে এটি নির্গত হয়ে থাকে। একজন নারীর ঋতুস্রাবের ওপর নির্ভর করে সেই নারীর স্বাভাবিক স্রাব, রঙ, পরিমাণ ও ঘনত্ব। স্রাব একটি স্বচ্ছ তরল পদার্থ, যা যোনিকে আর্দ্র ও পিচ্ছিল রাখে এবং যোনিতে জীবাণুর সংক্রমণে বাধা সৃষ্টি করে। যৌন আর্দ্র রাখার জন্যই মহান সৃষ্টিকর্তা প্রাকৃতিকভাবে সাদা স্রাব দিয়েছেন। সাধরণত একজন নারীর বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেনোপোজ পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কনারীদের জীবনে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের ওপর স্রাব হয়।
ডা: দীনা লায়লা হোসেন আরও বলেন, নারীদের ঋতুস্রাবের প্রথম দিন থেকে পরবর্তী মাসিকের আগ পর্যন্ত তার সম্পন্ন মানসিক অবস্থার ওপর স্রাবের পরিমাণ, মান ও ধরনে পরিবর্তন আসে। এর ফলে একেক সময় একেক ধরনের সাদা স্রাব হয়। সুতরাং লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাব নারীদের একটি স্বাভাবিক অবস্থা। এর জন্য আলাদা চিকিৎসার কোন প্রয়োজন নেই।
ডা: দীনা লায়লা বলেন, যদি কোন নারীর অধিক বা অস্বাভাবিক মাত্রায় সাদা স্রাব হচ্ছে এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে— এমন হলে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমরা চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত কিছু বিষয় জেনে রাখা দরকার। তার মধ্যে রয়েছে, সাদা স্রাবের কারণে খারাপ কোনো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কিনা, তার রঙ কেমন, তরলের পরিমাণ, ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হচ্ছে কিনা ইত্যাদি। এসব বিষয়ে উপর নির্ভর করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে আবারও বলছি, লিউকোরিয়া নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। কিছু ব্যতিক্রম বাদে এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। প্রত্যেক মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্য একই রকম হয় না। যাহার ফলে স্রাবও কমবেশি হতে পারে। এ নিয়ে ভয় বা চিন্তার কিছু নেই। সুত্র -ডক্টর টিভি।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।