ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, প্রতিরোধ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
মানব শরীরে হাড়ভাঙ্গা বেদনা নিয়ে এ জ্বরের আক্রমণ করে। এই কারনে এই জ্বরের নামকরণ হয়েছে ডেঙ্গু জ্বর বা হাড়ভাঙ্গা জ¦র। এই রোগটি সর্বপ্রথম স্কটল্যান্ডের ডান্ডিতে মহামারী আকারে আক্রমণ করে তাই এ জ্বরকে ডান্ডি জ্বর বলেও ডাকা হয়ে থাকে।
ডেঙ্গু কি : ডেঙ্গু হচ্ছে একটা ভাইরাস। এডিস ইজিপটি নামক স্ত্রী মশা দ্বারা মানব শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায়। এই মশা ডেঙ্গু ভাইরাসের জীবাণু বহন করে। এরা সাধারণত স্বচ্ছ বা বদ্ধ পানিতে ডিম পেড়ে বংশ বিস্তার করে থাকে। এটি ভাইরাস জনিত রোগ হ’লেও কোন ছোয়াচে রোগ নয়। তবে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কামড়ানো মশা কোনো সুস্থ ব্যাক্তির শরীরে কামড় দিলে এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ : সামান্য শীত ও চোখমুখে লালিমাসহ প্রবল জ্বরের আক্রমণ। জ্বর ১০২ হতে ১০৫ ডিগ্রী পর্যন্ত হতে পারে। ডেঙ্গুর লক্ষণ সব সময় একভাবে প্রকাশ পায় না। এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
নিম্নে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ দেওয়া হলো –
জ্বর ও ঠান্ডা লাগা পেশি, হাড় বা জয়েন্টে ব্যাথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যাথা, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, গায়ে লাল রঙের ফুসকুড়ি ওঠা, প্রচণ্ড পেট ব্যাথা, ক্রমাগত বমি হওয়া, মাড়ি বা নাক থেকে রক্ত পড়া, প্রস্রাবে রক্ত, মলে বা বমিতে রক্ত, ত্বকের নিচে রক্তপাত, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
এছাড়াও চক্ষুগোলকের উপরিভাগে, চক্ষুগোলক, কোমড় বেদনা করে। রোগী যন্ত্রনায় কাতর হয়ে পরে। জিহ্বা শুষ্ক, ময়লাবৃত, কোষ্ঠবদ্ধতা, চোখ রক্তবর্ন ধারন করে। মুখে ফোলা ভাব দেখা দেয়। এইরুপ অবস্থা দুই তিন দিন চলতে পারে। চতুর্থ দিনে পুনরায় জ্বর রেড়ে যায়। এর সাথে হামের মত উদ্ভেদ দেখা যায়। ২/৩ দিন পরে আবার মিলিয়ে যায়। কিন্তু জ্বর শেষে অত্যন্ত দুর্বলতা, অক্ষুধা, মানসিক অবসাদ দেখা দেয় । ডেঙ্গু জ্বরে উত্তাপের তুলনায় নাড়ীর গতি অত্যান্ত কম থাকে। রক্তে স্বেত কনিকার অভাব দেখা দেয় ও এসিনোফিলের পরিমান বেড়ে যায়। অনেক সময় এই অসুখের সাথে ইন্ফুয়েঞ্জা ও বাত জ্বরের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে খুব সমস্যা হয়।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ :
একেনাইট নেপিলাস : প্রবল জ্বর,অস্থিরতা,শিরপীড়া, প্রবল জল পিপাসা এক কথায় একোনাইটের চরিত্রগত লক্ষণ থাকলেই তখনই একেনাইট নেপিলাস ঔষধের প্রয়োজন হয়।
বেলেডোনা : প্রবল জ্বর,মাথা বেদনা,শির:পীড়া,ধমনী লাফানো,চোখমুখ লাল,অঘোর অচেতন ভাব ।আবৃত অংগে ঘর্ম দেখা দিলে বেলেডোনার প্রযোজন হয়।
ব্রাইয়োনিয়া এলব : সর্বশরীরে বেদনা, রোগীর মাথা বেদনা, প্রবল পিপাসা, কোষ্ঠব্ধতা, নড়াচড়ায় রোগের বৃদ্ধি, চুপ করিয়া থাকার ইচ্ছা, কথা বলিতেও অনিচ্ছা । এই লক্ষণ থাকলে ব্রাইয়োনিয়া প্রয়োগ করা যাবে।
ইউপটেরিয়াম পার্ফোরেটাম : ইউপটেরিয়াম পার্ফোরেটাম ঔষধটি ডেঙ্গু জ্বরের অদ্বিতীয় ঔষধ। এই রোগের লক্ষণে যে কোন অবস্হায় প্রয়োগ করিলে আশানুরুপ ফল পাওয়া যায়। এক কথায় ডেঙ্গু জ্বরের পেটেন্ট ঔষধ বলা হয়ে থাকে।
রোগ আরোগ্য ক্ষেত্রে কখনও কখনও লক্ষণ ভেদে ব্যাপটিসিয়া ও রাস টক্সও প্রয়োজন হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধগুলিও প্রয়োজন হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর আরোগ্য হওয়ার পরে রোগীর যখন দুর্বলতা, অক্ষুধা, মানসিক অবসাদ, নিদ্রাহীনতা প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দিলে তখন এসিড ফস, কার্বভেজ, নাক্স ভুমিকা ইত্যাদি ঔষধ ব্যবহৃত করা যেতে পারে।
ডেঙ্গু রোগীর জন্য করণীয় :
বর্তমানে দেশ-বিদেশে ডেঙ্গু রোগ মহামারী আকার ধারণ করায় যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রতিকারের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি ও করণীয় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল ।
প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা : প্রাথমিক অবস্থায় নিম্নোক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ সনাক্ত করা যায়। যেমন – (ক) সিরাম আইজিজি (খ) সিবিসি (গ) সিরাম আইজিএম (ঘ) ডেঙ্গু এনএস ওয়ান এন্টিজেন।
ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা – (১) ডেঙ্গু ক্ল্যাসিক্যাল (২) ডেঙ্গু হেমোরেজিক (৩) ডেঙ্গু শক-সিনড্রোম।
ক/ ডেঙ্গু ক্ল্যাসিক্যাল : ডেঙ্গু ক্ল্যাসিক্যালে আক্রান্ত হলে প্রথমে প্রচন্ড জ্বর হয়, যা ১০৪০-১০৬০ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। জ্বর দুই থেকে সাতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সেই জ্বরের সাথে প্রচন্ড মাথা ব্যথা, চোখের পেছনের অংশে ব্যথা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশীতে ব্যথা, হাঁড়ের জয়েন্ট গুলোতে প্রচন্ড ব্যথা করে এবং সাথে শরীরে হাল্কা র্যাশ ও চুলকানী হতে পারে।
ডেঙ্গু ক্ল্যাসিক্যাল হলে করণীয় : ডেঙ্গু ক্ল্যাসিক্যাল রোগী খুব বেশী মারাত্মক নয়। এতে মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই বলেই চলে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে এবং বেশী বেশী করে তরল খাদ্য খেতে হবে। যেমন – ওরাল স্যালাইন, শরবত, ফ্রেস ফ্রুট জুস ও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ডেঙ্গু যেহেতু একটি ভাইরাস জনিত রোগ, তাই এলোপ্যাথিক এন্টিবায়োটিক ঔষধের কোন কার্যকরী ভূমিকা নেই। তাছাড়া ডেঙ্গু ভাইরাসের এন্টিভাইরাস এখনও আবিষ্কৃত হয়নি।
হোমিও চিকিৎসা : কোন রোগীর যদি অতিরিক্ত জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয় তা হলে (যদি ডেঙ্গু পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ হয়) তাহ’লে রোগের লক্ষণ অনুযায়ী একোনাইট ন্যাপ, আর্সেনিক এলবাম, এ্যানথ্রাক্সিনাম, আর্নিকা মন্ট, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া এলবাম, জেলসিমিয়াম, ওসিমামক্যান, ইউপেটোরিয়াম পার্ফ ইত্যাদি ঔষধ দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ঔষধের শক্তি ও মাত্রা রোগীর জীবনীশক্তির ওপর নির্ভর করে সূক্ষ্ম মাত্রা প্রয়োগ করবেন।
খ/ ডেঙ্গু হেমোরেজিক : ডেঙ্গু হেমোরেজিক স্তরে জ্বর কমে যাওয়ার দুই থেকে তিন দিন পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল র্যাশ বা রক্তের বিন্দুর ছাপ দেখা দিতে পারে। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে মুখের মাড়ি, নাক দিয়ে আপনা আপনি রক্তক্ষরণ হয়, কাশি বা বমির সাথে রক্ত আসতে পারে, ইনটেস্টাইনাল হেমোরেজের কারণে কালো কালো রঙের পায়খানা হয়, মুখমন্ডল ফুলে যায়, ফুসফুসের মধ্যে পানি জমতে পারে ও পেটে পানি জমে ইত্যাদি। রক্ত পরীক্ষা করলে দেখা যায়, প¬াটিলেট কাউন্ট অনেক কমের ফলে শরীরের বিভিন্ন দ্বার দিয়ে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয়।
করণীয় কী : ডেঙ্গু হেমোরেজিক স্তরে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে রক্ত শূন্যতা এবং প¬াটিলেট দ্রুত কমে যাওয়ার ফলে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বেশী থাকে। এ অবস্থায় রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে রোগীর শরীরে রক্ত দিতে হবে এবং নরমাল স্যালাইন (ডিএ ০.৫%) বা প¬াজমা শিরাপথে পুশ করাতে হবে। এ সময়ে রোগী মুখে কোন তরল খাদ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পরবর্তীতে রোগীর শারীরিক উন্নতি হ’লে ফ্রেস ফ্রুট জুস, তরল খাদ্য স্যুপ ও বিশুদ্ধ পানি পান করবে।
চিকিৎসা : ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে বা ক্লিনিকে কোন অভিজ্ঞ রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাম সিরাম ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করে প্রয়োজনে রক্ত বা প্লাটিলেট দিতে হবে। আর রোগের লক্ষণ অনুযায়ী – এপিস মেল, এসিড নাইট্রিক, চিনিমাম আর্স, চায়না, ক্রোটেলাস হর, হ্যামামেলিস ও ল্যাকেসিস ঔষধ দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ঔষধের শক্তি ও মাত্রা রোগীর জীবনী শক্তির উপর নির্ভর করে সূক্ষ্ম মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে।
গ/ ডেঙ্গু শক সিনড্রোম : ডেঙ্গু শক-সিনড্রোম স্তরে ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর, রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য লক্ষণের সাথে রোগীর হঠাৎ রক্তচাপ কমে যায়, নাড়ীর গতি বৃদ্ধি পায়, হাত-পা শীতল হয়ে আসে, রোগী একেবারে নিস্তেজ হয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রে রোগীর মুখমন্ডল বিবর্ণ ও ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এ অবস্থায় রোগী অজ্ঞান হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রোগীর রক্তস্বল্পতা এবং দ্রুত প¬াটিলেট কমে যাবার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন- প্রবাহ কমে যাওয়ায় অজ্ঞান হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
করণীয় ও চিকিৎসা : এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, রক্ত বা প্লাটিলেট, স্যালাইন (ডিএ ০.৫% বা ০.১০%) বা প্লাজমা শিরাপথে দিতে হবে। আর রোগ লক্ষণ অনুযায়ী – আর্নিকা মন্ট, এসিড নাইট, চায়না, ক্যাস্ফর, কার্বোভেজ, জেলসিমিয়াম, ডিজিটেলিস ঔষধ দেয়া যেতে পারে। ঔষধের শক্তি ও মাত্রা রোগীর জীবনী শক্তির উপর নির্ভর করে সূক্ষ্ম মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে।
ডেঙ্গুর আক্রান্ত রোগীর জটিলতা : ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা যদি রোগীর শরীরের বিভিন্ন ভাইটাল অঙ্গ যেমন – হৃৎপিন্ড, যকৃত, কিডনী ইত্যাদি আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো মায়োকার্ডিটিস বা হৃদযন্ত্রের প্রদাহ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী যদি সময়মত যথাযথ চিকিৎসা না দেওয়া হয় তাহা হলে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশী। বিশেষত যাদের হৃৎপিন্ডের সমস্যা আছে যেমন – (শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া) ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্রই রক্ত পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, কার্ডিয়াক এনজাইম টেষ্ট, ট্রাপোনিন ওয়ান ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে যে, মায়োকার্ডিটিসে আক্রান্ত হয়েছে কি-না।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় : ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে হলে সর্বপ্রথম মশার কামড়ের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। ‘এডিস মশা’ সাধারণত স্বচ্ছ অল্প পানিতে যেমন – টবের পানি, বাসার ভেতরে জমে থাকা পানি, ফ্রিজের পেছনে জমে থাকা পানি ইত্যাদিতে ডিম পাড়ে। এ জন্য ফুলের টব সহ বাসার ভেতরে বা বাইরে বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি দুই-চার দিন পরপর পরিস্কার করতে হবে। এডিস মশা সাধারণত সকালে-সন্ধ্যাতে বেশী কামড়ায়। অন্যান্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় মশারী টানাতে হবে। প্রয়োজনে মশার কয়েল, এরোসল স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের মশা কামড়ানোর সময় ওরা মশা মারতে পারে না তাই সব সময় ফুলহাতা শার্ট, পায়জামা, হাত পায়ে মোযা পরিধান করাতে হবে।
ডেঙ্গুতে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে সচেতন হন :
ডেঙ্গুতে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্থ করা যায় যে, ডেঙ্গুতে বেশী আতঙ্কিত না হয়ে রেজিষ্ট্রার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ধৈর্য সহকারে হোমিও ঔষধ সেবন করলে বা নিয়মিত সেবা নিলে সুস্থ থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ এগিয়ে আসুন :
ডেঙ্গু কি : ডেঙ্গু হচ্ছে একটা ভাইরাস। এডিস ইজিপটি নামক স্ত্রী মশা দ্বারা মানব শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায়। এই মশা ডেঙ্গু ভাইরাসের জীবাণু বহন করে। এরা সাধারণত স্বচ্ছ বা বদ্ধ পানিতে ডিম পেড়ে বংশ বিস্তার করে থাকে। এটি ভাইরাস জনিত রোগ হ’লেও কোন ছোয়াচে রোগ নয়। তবে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কামড়ানো মশা কোনো সুস্থ ব্যাক্তির শরীরে কামড় দিলে এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়।
ক/ ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর। যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
খ/ ডেঙ্গু জ্বর শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধার মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইক – কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।