বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন

ডিসমেনোরিয়া (বাধক)- গুরুত্ব দিতে হবেই

আরোগ্য হোমিও হল / ১৪৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:৩০ অপরাহ্ন
ডিসমেনোরিয়া (বাধক)- গুরুত্ব দিতে হবেই

ডিসমেনোরিয়া (বাধক)- গুরুত্ব দিতে হবেই
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো একজন ডিসমেনোরিয়া (বাধক)- গুরুত্ব দিতে হবেই তা নিয়ে আজকের আলোচনা, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

পিরিয়ড বা মাসিকের সময়ের ব্যথাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ডিসমেনোরিয়া বলে। ডিসমেনোরিয়া সাধারণত দুই প্রকার।
(১) প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া ও (২) সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া।

(ক) প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া : সাধারণত কম বয়সী মেয়েদের এই সম্যা হয়। যদি বয়স হিসাব করে দেখা যায় পঁচিশের আগে ডিসমেনোরিয়া হয়। মাসিক পিরিয়োডের সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা শুরু হয়। এ ব্যধাটি সাধারণত ২৪ ঘণ্টা থাকে। ব্যথার তীব্রতা এতই থাকে যে ব্যথার চোটে রোগীনির বমি হয়ে যায়। মেয়ে ঘেমে একাকার হয়ে যায়। স্কুল পোড়–য়া শিশু মেয়েরা স্কুল মিস করে। ওয়ার্কিং মহিলারা কাজে যেতে পারেন না। ব্যথা এত বেশি থাকে যে রোগীনিকে পেইনকিলার খেতে হয়।

ঔষধ সম্পর্কে জানুন – মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ

(খ) সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া : এর নানাবিধ কারণ রয়েছে, যেমন- ফাইব্রয়েড, পলিপ, এন্ডোমেট্রিওসিস, এডেনোমায়োসিস, জরায়ুর ইনফেকশন ইত্যাদি।

কীভাবে ডায়াগনোসিস করা যায় : ডিসমেনোরিয়া হলে ডায়াগনোসিস করার অনেক উপায় আছে। সে জন্য আপনাকে চিকিৎসকের কাছে অথবা বিশেষ করে গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। মহিলারা প্রকৃতি গতভাবেই একটু বেশি সহনশীল হয়। স্বাভাবিক মাসিকের ব্যথাটা তারা পেট চেপে ধরেই শেষ করে দেয়। পরিবারের লোক জনতে জানতে বা বুঝতে দেয় না। কোনো পরিবারের বউটি মেয়েটি যখন বলে তার ব্যথা মানেই আসলেই সিরিয়াস ব্যথা। প্লিজ তার কথায় মনোযোগ দিন, পদক্ষেপ নিন। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করুন।

ঔষধ সম্পর্কে জানুন – এইচ আর – ২১ (মাসিক সমস্যায় কার্যকর)

মনে রাখবেন, পিরিয়ড অথবা মাসিক রিলেটেড ব্যথার কথা পরিবারের লোক জনকে জানানোর আগে এমন অনেক ব্যথাই অল্প বিস্তর তারা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করেছে। আর যখন মহিলাটি একেবারেই সহ্য করতে পারছে না, তখনই কেবল সে এটি বলছে।
লেখক
গর্ভবতী, প্রসূতি, স্ত্রী ও গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।


আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev