বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন

জিভের পীড়া ও মানসিক লক্ষণ

আরোগ্য হোমিও হল / ১৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:১২ অপরাহ্ন
সূচীপত্র
সূচীপত্র

জিভের পীড়া ও মানসিক লক্ষণ

হোমিওপ্যাথিক মানুসিক রোগ ও যৌন চিকিৎসা

ডা: জে. এন. পাত্র

ডি. এম. এস  (কলকাতা ) ও

ডা: আর. এন. চন্দ্র

এম, ডি হোমিও প্রাপ্তন চিকিৎসক কলকাতা।

জিভের পীড়া ও মানসিক লক্ষণ

জিভের পীড়া হলেই রোগীর মধ্যে উদ্বেগ, অস্থিরতা, চাঞ্চল্য, ভয় প্রভৃতি মানসিক উপসর্গ দেখা দেয়। রোগটি যে আদৌ সুলক্ষণযুক্ত নয় তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না—রোগীই কেবল তা অনুভব করতে পারে। পীড়া নিরাময় হলে মানসিক লক্ষণও আর থাকে না। পীড়া নিরাময় হলেই ওষুধ সেবন বন্ধ করে দিতে হবে। মনে রাখা দরকার, উক্ত পীড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পীড়াটিও নিরাময় হয়। 

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

(১) সমস্যা : জিভে ঘা।

সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করাতে হবে বোরাক্স ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(২) সমস্যা : জিভ শুকনো, জ্বালা করে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে একোনাইট-ন্যাপ ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৩) সমস্যা : জিভ দেখতে সাদা ছাই বর্ণের।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এন্টিম-টার্ট ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৪) সমস্যা : জিভ দেখতে মাখনের রঙের মতো।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৫) সমস্যা : জিভে দুধের মতো সাদা অবারণ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এন্টিম-ক্রুড ৪। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৬) সমস্যা : জিভে এরারুটের মতো সাদা আবরণ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সালফিউরিক এসিড ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৭) সমস্যা : জিভের ময়লা মণ্ডের মতো সাদা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এন্টিম-টার্ট ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(৮) সমস্যা : জিভের ময়লা পুরু কাদার মতো।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এন্টিম-ক্রুড ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

আরও পড়ুন –  শিশুর মুখমণ্ডলে ঘা

(৯) সমস্যা : জিভ মোটা, ক্ষতযুক্ত বা বেদনাযুক্ত।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ডিজিটেলিস ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৯) সমস্যা : জিভে সাদা ময়লার আবরণ, জিভ ঠাণ্ডা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হাইড্রোসিয়ানিক এসিড ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১০) সমস্যা : জিভে ফোস্কার মতো, সামনে গোটা গোটা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হেলিবোরাস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১১) সমস্যা : জিভ শুকনো, ফোলা ও ব্যথাযুক্ত।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এপিস-মেল ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(১২) সমস্যা : জিভের ডগায় জ্বালা করে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে কলোসিন্থ ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(১৩) সমস্যা : জিভ শুকনো, বেদনা থাকে, সাদা ময়লার আস্তরণ পড়ে, মুখের স্বাদের কোনো রকম তারতম্য ঘটে না।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্নিকা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১৪) সমস্যা : জিভ শুকনো, শক্ত, স্পর্শানুভূতিহীন জিভ।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে কলচিকম ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(১৫) সমস্যা : জিভ শুকনো, মোটা, জিভের মাঝখানটা সাদা কিন্তু দু’পাশ লাল।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ব্রায়োনিয়া ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।

(১৬) সমস্যা : জিভে পোড়ার মতো জ্বালা, দু’পাশ ফোলা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সাইকিউটা ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(১৭) সমস্যা : জিভ সাদা, দেখলে মনে হবে ছাল উঠে গেছে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যালকেরিয়া কার্ব ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

আরও পড়ুন –  হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (ঠান্ডা ঘা)

(১৮) সমস্যা : জিভে সাদা শ্লেষ্মার আবরণ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে চিনিনম-সল্ফ ৬। প্রত্যহ • সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১৯) সমস্যা : ময়লা জিভ, রুক্ষ, জ্বালাযুক্ত।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে চায়না ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(২০) সমস্যা : জিভের উপর ঘা হয়েছে অনুভব।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে কার্বো-ভেজ ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।

(২১) সমস্যা : জিভে হলদে আবরণ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে একোনাইট ৬ বা ফেরম-ফস ৬ বা এসিড-অকজ্যালিক ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(২২) সমস্যা : ময়লাযুক্ত জিভ।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে হাইপেরিকাম ৬। প্রত্যহ স্কালে ও রাত্রে সেব্য।

(২৩) সমস্যা : সাদা আবরণযুক্ত জিভ, স্থানে স্থানে ছাল ওঠা, জিভ লাল হয় ও বেদনা দেখা দেয়।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ট্যারাকসেকাম ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(২৪) সমস্যা : সজল জিভ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ইগ্নেসিয়া ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(২৫) সমস্যা : জিভ জলপূর্ণ কিন্তু সাদা আবরণযুক্ত।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এন্টিম-টার্ট ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(২৬) সমস্যা : জিভ সাদা, জ্বালাযুক্ত অথবা ঠাণ্ডা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যালি-মিউর ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(২৭) সমস্যা : সাদা আবরণযুক্ত জিভ, তাপ নেই অথচ তৃষ্ণাও নেই।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে বিসমথ ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

আরও পড়ুন –  এইচ আর – ৬০ (মুখে ঘা, আলসার ঘা চিকিৎসায় কার্যকর)

(২৮) সমস্যা : জিভের প্যাপিলিগুলি বড় হয়।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্রোকাস ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(২৯) সমস্যা : ক্ষুধাহীনতা, জিভের সামনের অংশ সাদা।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যান্থারিস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৩০) সমস্যা : জিভ শুকনো, লাল, ফোলা ও কোঁচকানো।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে মার্ক-কর ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৩১) সমস্যা : মুখে কোনো স্বাদ থাকে না, জিভ সাদা, পেট খালি বোধ হয়।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে লরোসিরেসাস ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৩২) সমস্যা : জিভ শুকনো, অসাড়, সাদা, মুখ আঠালো।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে নাক্স-মস্কেটা ২০০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৩৩) সমস্যা : সকালের দিকে জিভ সাদা ও শুকনো।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এসিড-নাইট্রিক ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৩৪) সমস্যা : জিভ ভারী ও জিভের পাশ ফাটা-ফাটা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে নাক্স ভম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৩৫) সমস্যা : জিভে সাদা আবরণ, জিভে কোনো স্বাদ থাকে না, সকালে জিভ ঠাণ্ডা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে জিঙ্ক-মেট ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৩৬) সমস্যা : জিভ সাদা, জিভের প্যাপিলিগুলি উঁচু উঁচু, মুখ ও গাল শুকনো।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ওলিয়েন্ডার ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৩৭) সমস্যা : জিভে সাদা আবরণ, জিভের অগ্রভাগ নীল।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্যাবাডিলা ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ৬০ (মুখে ঘা, আলসার ঘা চিকিৎসায় কার্যকর)

(৩৮) সমস্যা : জিভে সাদা শ্লেষ্মা, জিভের পিছনের দিক হলুদ বর্ণের, জিভ সামান্য বড়, জিভের পাশ গোলাপী বর্ণের।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে প্লাম্বাম মেট ২০০। প্রত্যহ প্রাতে সেব্য।

(৩৯) সমস্যা : ঈষৎ কটা রঙের এবং সাদা আবরণযুক্ত জিভ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্যাবাইনা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৪০) সমস্যা : শুকনো অপরিষ্কার জিভ।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে পডোফাইলম ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(৪১) সমস্যা : জিভ মোটা, জিভে সাদা ময়লা।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে র‍্যাফেনাস ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৪২) সমস্যা : জিভ শুকনো, জিভে পুড়ে যাওয়ার মতো জ্বালা ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সোরিণাম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৪৩) সমস্যা : জিভের ডগা ও পাশ লাল।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সালফার ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৪৪) সমস্যা : আঠালো শ্লেষ্মাপূর্ণ জিভ, জিভের মাঝখানে জ্বালা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে পালসেটিলা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।

(৪৫) সমস্যা : ঘাযুক্ত জিভ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সার্সাপ্যারিলা ৩০। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(৪৬) সমস্যা : জিভের সামনে গরম ও শুকনো।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে রিউমেক্স ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(৪৭) সমস্যা : জিভ শুকনো।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে একোনাইট ৬ বা আর্জেন্ট- নাইট্রিক ৬।

আরও পড়ুন –  মুখমন্ডল, মুখ এবং ঠোটের ক্যানসার

(৪৮) সমস্যা : জিভে কালো রঙের আবরণ

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৪৯) সমস্যা : লাল রঙের জিভ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে জিঙ্ক-মেট ৬ বা ট্যাবেকম ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৫০) সমস্যা : হলুদ রঙের জিভ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এগারিকাস ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৫১) সমস্যা : কটা রঙের জিভ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৫২) সমস্যা : ধূসর বর্ণের জিভ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে চায়না ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৫৩) সমস্যা : জিভের ডগা স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভব ও জ্বালা বোধ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে থুজা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৫৪) সমস্যা : জিভ ঠাণ্ডা (অর্থাৎ কঠিন ধরনের পীড়া লক্ষণ)।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে একোনাইট, আর্সেনিক, এপারিকাস, কুপ্রম, কলচিকম প্রভৃতি ওষুধের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পীড়া-লক্ষণের উপযোগী ওষুধ। পীড়ার তারতম্য অনুযায়ী ওষুধের শক্তি প্রযোজ্য। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৫৫) সমস্যা : জিভের ডগায় নীল ক্ষত চিহ্ন থাকে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্যাবাডিলা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।

(৫৬) সমস্যা : জিভ বাইরে থেকে ফাটা-ফাটা দেখা যায়।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক, বেলেডোনা, কার্বো- ভেজ প্রভৃতি ওষুধের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পীড়া-উপসর্গের উপযোগী ওষুধ। শক্তি নির্বাচন করতে হবে পীড়ার তারতম্য বুঝে। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

আরও পড়ুন – জিহ্বার ক্যানসার

(৫৭) সমস্যা : জিভের ডগা শুকনো।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে রাস-টক্স ৩০ বা থুজা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৫৮) সমস্যা : জিভে গরম বোধ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে একোনাইট ৬ বা আর্সেনিক ৬ বা এপিস-মেল ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৫৯) সমস্যা : জিভের ডগায় জ্বালা বোধ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে কার্বলিক-এসিড ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(৬০) সমস্যা : জিভ ভারী বোধ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এনাকার্ডিয়াম ওরিয়েন্ট ২০০। প্রত্যহ প্রাতে সেব্য। [এই উপসর্গের অন্যান্য ওষুধ : কার্বো-ভেজ, কলচিকম, লাইকোপোডিয়াম, হায়োসিয়ামস প্রভৃতি। ]

(৬১) সমস্যা : জিভ বাইরে বের করলে জিভের ডগা কাঁপে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে মার্ক-সল ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৬২) সমস্যা : জিভ বড় বলে মনে হয়।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সিপিয়া ২০০। প্রত্যহ রাত্রে ।

(৬৩)  সমস্যা : জিভ মুখের ভিতরে কাঁপে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এসিন্থিয়াম ২০০। প্রত্যহ রাত্রে দেব্য।

(৬৪) সমস্যা : জিভ মুখের বাইরে থাকে।

সমাধান : এই উপসর্গের উপযোগী ওষুধ একোনাইট, এসিন্থিয়াম, ভাইপেরা, ক্রোটেলাস প্রভৃতি ওষুধের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পীড়া উপসর্গের উপযোগী ওষুধ। পীড়ার তারতম্য অনুযায়ী শক্তি প্রযোজ্য। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৬৫) সমস্যা : জিভে বেদনা – যেন ক্ষত হয়েছে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে কেলি-কার্ব ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

আরও পড়ুন –  বোরাক্স (৩X-৬X)

(৬৬) সমস্যা : জিভের ডগা লাল।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক ৬ বা রাস-টক্স ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৬৭) সমস্যা : জিভ তালুর সঙ্গে লেগে থাকে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে নাক্স-মস্কেটা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৬৮) সমস্যা : জিভের ডগার মাঝখানে মাটি রঙের দাগ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ল্যাকেসিস ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৬৯) সমস্যা : জিভ থেকে রক্ত পড়ে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে কিউরারি ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৭০) সমস্যা : জিভ শুকনো, জিভে তিন কোণা লাল দাগ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে রাস-টক্স ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৭১) সমস্যা : জিভের ডগায় ক্ষত এবং তার চারধারে লাল রঙ—তৎসহ ব্যথা !

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সিকেলি-কর ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(৭২) সমস্যা : জিভের রঙ নীল।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক ৩০ বা কার্বো-ভেজ ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৭৩) সমস্যা : জিভ অপরিষ্কার, রঙ সাদা, জিভের পাশ শুকনো ৷

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ককিউলাস ইণ্ডিকা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৭৪) সমস্যা : জিভ অপরিষ্কার।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্ণিকা-মন্ট ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে।

(৭৫) সমস্যা : জিভ পরিষ্কার ও শুকনো ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে লাইকোপোডিয়াম ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

আরও পড়ুন –  কেন্ট ৪৭ (মুখের আলসারে কার্যকর)

(৭৬) সমস্যা : জিভ পরিষ্কার, লাল রঙ, শুকনো।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সিকেলি-কর ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৭৭) সমস্যা : জিভ অপরিষ্কার, সাদা রঙের আস্তরণ।

সমাধান : এই উপসর্গে প্রযোজ্য ওষুধ একোনাইট, এন্টিম-ক্রুড, ইপিকাক, পডোফাইলম, সালফার, স্ট্যাফিসেগ্রিয়া, ককিউলাস-ইণ্ডিকা, এগারিকাস, চায়না, চেলিডোনিয়াম, সিকেলি-কর, ক্রিয়াজোট, জিঙ্কাম-মেট প্রভৃতি। যে পীড়ার সঙ্গে জিভের উপরোক্ত লক্ষণ দৃষ্ট হবে এইসব ওষুধের মধ্যে থেকে সেই পীড়ার ওষুধ নির্বাচন করলে সত্বর পীড়া নিরাময়ের সম্ভাবনা থাকে। শক্তি পীড়ার তারতম্য বুঝে প্রযোজ্য। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৭৮) সমস্যা : জিভ অপরিষ্কার, মাঝে মাঝে দাগ থাকে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্ণিকা ২০০ বা ব্যাপিটিসিয়া ২০০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৭৯) সমস্যা : জিভে ক্ষত।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ইস্কিউলাস ৬ বা থুজা ৬। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য ।

(৮০) সমস্যা : জিভ অপরিষ্কার, কালো রঙের শুকনো কাদার মতো ময়লা।

সমাধান : এই উপসর্গের উপযোগী ওষুধ আর্সেনিক ৩০ বা হিপার সলফার ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৮১) সমস্যা : জিভের ডানদিকে ময়লা কিন্তু বাঁ দিক পরিষ্কার।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে লোবেলিয়া ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(৮২) সমস্যা : জিভ অত্যন্ত চওড়া।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে পালসেটিলা ২০০। প্রত্যহ প্রাতে সেব্য।

(৮৩) সমস্যা : জিভ চওড়া কিন্তু লকলকে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে চিনিনম-সল্ফ ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev