জিঞ্জিবার অফিসিনেল ৬,৩০, ২০০, ১এম
Zingiber officinalis 6, 30, 200, 1M
ডা: উইলিয়াম বরিক
চলিত নাম : আদা (Ginger)
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “ জিঞ্জিবার (Zingiber)” হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
পরিপাকতন্ত্রের দুর্বলতা, রতিশক্তির ক্ষীণতা এবং শ্বাসযন্ত্রের উপদ্রবে ঔষধ ব্যবহৃত হয়। মন্ত্রগ্রন্থির ক্রিয়ার সম্পূর্ণ লোপ ।
মস্তক : আধ-কপালে শিরঃপীড়া, হঠাৎ চক্ষুর সম্মুখে অগ্নিলিঙ্গ দেখে মস্তকে বিশৃঙ্খলা ও শূন্যতা বোধ করে। ভ্রূর উপরে বেদনা ।
নাসিকা : শুষ্ক ও অবরুদ্ধ বোধ হয়। অসহ্য চুলকানি, লালবর্ণ পীড়কা।
আরও পড়ুন – এন – ০৫ (গ্যাসট্রিক ও পাকস্থলীর ড্রপস)
পাকস্থলী : খাদ্যবস্তুর স্বাদ, বিশেষতঃ রুটি এবং আগুনে সেঁকা রুটির স্বাদ বহুক্ষণ মুখে থাকে। পাকস্থলী পাথরের মত ভারি বোধ হয়। কাঁকুড় ও অবিশুদ্ধ জল খাওয়াজনিত পাঁড়া। অম্লত্ব (ক্যাল্ক, রোবিনিয়া)। নিদ্রাভঙ্গে পাকাশয়ে ভার বোধ, তৎসহ বায়ু সঞ্চয় ও গড় গড় শব্দ। অত্যন্ত পিপাসা ও শূন্যতা বোধ। পাকস্থলীগহর হইতে বক্ষাস্থি পর্যন্ত বেদনা, আহারে বৃদ্ধি।
উদরগহ : শূলবেদনা, উদরাময়, অতিশয় পাতলা মল। দূষিত জল পানহেতু উদরাময়,তৎসহ যথেষ্ট উদরস্ফীতি ও কর্তনবৎ বেদনা। মলদ্বারের পেশী শিথিল হইয়া পড়ে। গর্ভকালে মলদ্বার উষ্ণ, টাটানি ও বেদনাযুক্ত হয়। মলদ্বার লালবর্ণ ও প্রদাহযুক্ত। অর্শবলি, উষ্ণ, বেদনাপূর্ণ ও টাটান (এলো)।
মুত্রযন্ত্ৰ : পুনঃপুনঃ মূত্রেচ্ছা। মূত্রপথে হলবিদ্ধবৎ জ্বালাকর বেদনা। যন্ত্রণল্লী হইতে হরিদ্রাবর্ণ স্রাব। মূত্র ঘন, ঘোলাটে, তীব্র গন্ধযুক্ত —মৃল্লাব- রোধ। আন্ত্রিক (টাইফয়েড) জ্বরের পর মূত্র সম্পূর্ণ লোপ। মূত্রত্যাগের পর ফোঁটা ফোঁটা চোয়াইয়া পড়ে।
পুং-জননেন্দ্রিয় : লিঙ্গাগ্র-ত্বকে চুলকানি। কামপ্রবৃত্তি উত্তেজিত, কষ্টকর নিম্নোদ্রেক ; রেতঃপাত।
আরও পড়ুন – শিশুর ওলাউঠা বা পাতলা পায়খানা
শ্বাসযন্ত্র : স্বরভঙ্গ, স্বরযন্ত্রের নীচে চিড়িকমারা ব্যথা, শ্বাসক্রিয়া কষ্টকর। উদ্বেগশূন্য, হাঁপানি, প্রাতঃকালের দিকে বৃদ্ধি। গলদেশে চুলকাইবার মত অনুভূতি, বক্ষে খোঁচামারা ব্যথা। কাশি শুষ্ক, খকখকে, প্রাতঃকালে প্রচুর শ্লেম্মা উঠে।
হস্ত-পদাদি : সন্ধিগুলি অত্যন্ত দুর্বল বোধ হয়। পৃষ্ঠে খঞ্জতা বোধ। পদতল ও হস্ত-তালতে খিল ধরে।
সম্বন্ধ : তুলনীয় – ক্যালাডিয়াম।
দোষঘ্ন : নাক্স।
মাত্রা : ১ম হইতে ৬ষ্ঠ শক্তি ।
সতর্কতা : সঠিকভাবে ঔষধ সেবন না করলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। ডোজ বেশি ডোজ বিপজ্জনক হতে পারে এবং আতঙ্কিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। লিভার, কিডনি, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বয়স্কদের চরম সতর্কতার সাথে এই ঔষধটি ব্যবহার করা উচিত।
সেবন বিধি : অবস্থার উপর দুই ঘন্টা পর পর সেবন করা যেতে পারে। খাবারের আধাঘন্টা আগে ৪ থেকে ৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক পরিমাণ মত পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুণ। ঔষধ সেবনে কিছু উন্নতি হলে ঔষধ সেবনে পরিমান কমিয়ে দিনে দুইবার সেবন করুণ। অসুখের লক্ষণ গুলি সম্পুর্ণ অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত সেবন করুণ। অথবা চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে ঔষধ সেবন করতে হবে।
চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। ওষুধ খাওয়ার সময় তামাক খাওয়া বা অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।
অন্যান্য ঔষধ : আপনি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ, আয়ুর্বেদিক ইত্যাদির মতো অন্যান্য ওষুধে থাকলেও ওষুধ খাওয়া নিরাপদ।
অন্যান্য ঔষধে হস্তক্ষেপ : হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি কখনই অন্য ওষুধের ক্রিয়াকলাপে হস্তক্ষেপ করে না।
বিশেষ সতর্কতা : সাধারণত গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যপান করানোর সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়|
শর্তাবলী : মাদার টিংচার বা পটেন্সি হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : হোমিওপ্যাথি সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে কারণ এটি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। তবে প্রতিটি ওষুধ চিকিৎসকের নিয়ম মেনে খেতে হবে।
আরও পড়ুন – অ্যাডল-১ (মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেন)
ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর বেশি নয় একটি স্থির তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।
ঔষধের গুণগতমাণ : এটি একটি প্রাকৃতিক পণ্য, এটি কখনও কখনও সামান্য বৃষ্টিপাত অথবা মেঘলা হতে পারে, কিন্তু এটি পণ্যের গুণমান এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে না। যদি এটি ঘটে তবে পণ্যটি ব্যবহার করার আগে ভালভাবে ঝাঁকি নিন। একবার আপনি সীলটি ভেঙে ফেললে, ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার করা উচিত।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।