বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন

জরায়ুর ক্যানসার

আরোগ্য হোমিও হল / ২৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৭:০৪ অপরাহ্ন
হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য
ক্যানসার বইয়ের সূচি পত্র

জরায়ুর ক্যানসার (Uterus Cancer)

হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য

ডা: অরবিন্দ সরকার

এটি সাধারণতঃ ৪০ থেকে ৫০ বৎসর বয়সের মেয়েদের মধ্যে দেখা যায়। বর্তমান কালের চিকিৎসায় কিউরেটিং পদ্ধতি ক্যানসার সৃষ্টির কারণ হতে দেখা গেছে অনেক সময়। আবার প্রসব কালীন যন্ত্রের ব্যবহারেও ইউটেরাস ও জরায়ুর ক্যানসারের কারণ হয়েছে। অবিবাহিত অপেক্ষা বিবাহিত মহিলাদের এই ক্যানসার বেশী হয়। এই রোগে সাধারণতঃ ভেজাইনার নিকটবর্তী জরায়ুর গ্রীবায় বেশী হয়। এটি দুই প্রকারের হতে পারে। ১) স্কিরাস শ্রেনীর ২) ফুলকপির আকারের(Cauli Flower) । এই ক্ষেত্রে অনেকে অপারেশন করেন তাতে আরোগ্য হয় না বরং মৃত্যু নিকটবর্তী হয় ।

লক্ষণ :- স্ত্রীলোক ৪০ থেকে ৫০ বৎসর এর মধ্যে অভিযোগ করে যে তার কম বেশী রক্তস্রাব হয় দুই ঋতুর মধ্যবর্তী সময়ে, তার সাথে সাথে কোমরের যন্ত্রনা, পেটের নিচের দিকে ঠেলামারা একটা চাপবোধ অনুভব করে। এই লক্ষণ গুলি পরীক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ন এবং এইগুলি এই রোগের সতর্কতা সুচক লক্ষন ।

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

প্রথমে Cervix এ জরায়ুর গ্রীবায় টিউমার উৎপন্ন হতে দেখি অথবা সারভিক্স বিবৃদ্ধি হতে দেখা যায় এবং সেখানে শক্ত গুটিকা মত অসমান অবস্থা দেখা যায়। জরায়ুর মুখ(osuteri) স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশী উন্মুক্ত দেখা যায়। এর ধারগুলি শক্ত, কুঞ্চিত, উচুমত দৃঢ়বদ্ধ অবস্থায় আছে মনে হয়। এই লক্ষণ একটি অন্যতম মূল্যবান লক্ষণ এবং এই রোগের একটি বিশিষ্ট লক্ষণ। যদি স্পেকুলামের সাহায্যে জরায়ুর মুখ লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন যে সেস্থানটি বিবৃদ্ধি যুক্ত, চকচকে, ফোলাগাড় লাল বর্ণের অথবা বাদামী বর্ণের দেখা যাবে। রোগ যত বৃদ্ধি পেতে থাকে পেলভিক ক্যাভিটি বা নিম্ন উদর গহ্বর অধিক থেকে অধিকতর ভর্তি হতে থাকে ঐ গ্রোথের দ্বারা। অতএব পেটের মধ্যে এমন স্থান থাকে না যাতে জরায়ুটি একটু নড়ান যায় অর্থাৎ জরায়ুটি অনড় হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন – যোনিপথে বা জরায়ু মুখে ইচিনেস এর কারণ, লক্ষণ ও করণীয়

যখন ক্ষত হতে আরম্ভ হয় তখন সেই স্থানটি অমসৃন, এবরো থেবরো, শক্ত, অসমান, ধারগুলি উচুমত হয় এর বহিরাংশ গাঢ় বাদামী রং এর অথবা ধুসর বর্ণের হয় এবং পাতলা লালচে রক্তাভ স্রাব হয় যা অত্যন্ত দূর্গন্ধ যুক্ত। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে জরায়ুর ক্যানসার রোগের ক্ষত সৃষ্টি হবার পর এর দূর্গন্ধর একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং রোগ নির্নয়ের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী ও সুনির্দ্দিষ্ট লক্ষণ। অনেক সময় আমি লক্ষ্য করেছি রোগীর গৃহে প্রবেশ করা মাত্রই ঐ দূর্গন্ধ পেয়েছি। পৃথিবীতে এই গন্ধ আর দ্বিতীয়টি নেই এবং যে কোন চিকিৎসক এই গন্ধ একবার শুঁকলে আর জীবনে ভুলবেন না ।
মুখ মন্ডলে ফেঁসো ফেঁসো ভাব, ঐ অদ্ভুদ দূর্গন্ধ, আংশিক শীনর্তা দেখে আর বিশেষ পরীক্ষা না করেই রোগ নির্ণয় করা যায়। কিন্ত এর পরেও যোগ দেওয়ার থাকছে প্রায়ই প্রচুর রক্ত যুক্ত স্রাব, ভ্যাজাইনা থেকে ঠেলে নিচের দিকে আসাবোধ, তলপেটে ভারীবোধ, তীব্রগুলি বিদ্ধবৎ যন্ত্রনা দুই পাশে ও তে। সময় রেকটাম ও ব্লাডারে একটা চাপবোধ হেতু বা দাই মলমুদ্রের বেগ আসে। নিচের পেটে একটা শক্ত র প্রচন্ড যন্ত্রনা, মাসিক ঋতু যদি বন্ধ না, হয় তাহলে এই অনিয়মিত এবং প্রচুর পরিমাণে ঋতু হয়। নিচের পেটে চন্ধ ভাব (Stiff-feeling) এই রোগের চরিত্রগত এবং লক্ষ রোগ নির্ণয়ের জন্য।

এর যন্ত্রনা জ্বালাকর, ছুরি বিদ্ধবৎ, কেটে ফেলামত এবং সাধারণতঃ রাতে বৃদ্ধিপায়। এই যন্ত্রনা পায়ুপথ ও দাবনা পর্যন্ত বিস্তারিত হয়। রোগের অগ্রগতিতে পাছা পর্যন্ত যন্ত্রনার বিস্তৃতি ঘটে। এই রোগ জরায়ুর উপর দিকে না গিয়ে ভ্যাজাইনাল ক্যানেল বা এসব দ্বারের দিকেই আসে। শেষ পরিণতিতে ভ্যাজাইনা আক্রান্ত হয় মূত্র থলি ও মলদ্বার আক্রান্ত হয় এবং প্রচার ও বাহো অসাড়ে নির্গত হতে থাকে।

জরায়ু ক্যানসারে চিকিৎসা :-
ডাঃ কেন্টের মতে- এলুমেন, এলুমিনা, এপিস, আর্জেন্ট-নাই, আর্জমেট, আর্স, অরাম, অরাম- মিউ- ন্যাট্রো, কোনিয়াম বিউফো, ক্যালক, কার্বো-এ্যানি, কার্ব-সা, কার্বো-ভেজ, চায়না, সিকুটা ক্লিমেটিস ক্রোমিয়াম, ক্রোটে-হরি, কন্ডুরাঙ্গো, ইল্যান্স, গ্রাফাইটিস, ম্যাগমিউ, মার্ক, প্রটো-আয়ো, মিউরেক্স, ন্যাট্রাম-কার্ব, ন্যাটোম-মিউ, নাই-এসি, ফস, ফাইটো, প্লাটিনা, রাস, স্যাবাইনা, সাজু, সিকেলি, সিপিয়া, সাইলি, স্ট্যাফি, সালফ্. ট্যারেটুলা থুজা,জিঙ্ক।

ফিরাস- এলুমিনা, আর্জ-মেটা, আর্স, অরাম, অরাম- মিউ- ন্যাটো, কোনি, ক্রিয়োজোট, লাইকো, ম্যাগ-মিউ-ফস, ফাইটো, সিপিয়া, স্ট্যাফি।
ভ্যাজাইনা- ক্রিয়োজোট।

ডাঃ- বরিকের মতে :- অরাম- মিউ- ন্যাট্রোনেটাম, কার্বো-এ্যানি, কার্সিনোসিন, ফুলিগো, হাইড্রাস, আয়োড, ল্যাপিস- এ্যাল, ন্যাট্রাম, কোকো, নাই-এসি, সিকেলি।

আরও পড়ুন – অরাম মিউর নেট ৩x (জরায়ু, স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ের কর্যকরী)

ডাঃ ফাটকের মতে :- এলুমেন, আর্স- আয়ো, অরাম, বেল, কার্বো-এ্যানি, চায়না, ক্লিমেটিস, কোনি, গ্রাফাইটিস, হাইড্রাস, আয়োড, ক্রিয়োজোট, ল্যাকে, লাইকো, ম্যাগমিউ, মার্ক, মিউরেক্স, ফস, প্লাটিনা, স্যাবাইনা, সার্সা, সিকেলি, সিপি, সাইলে, ট্যারেন্টুলা, থুজা।
নারের মতে :- এলুমেন, আর্জ-নাই, আর্স, আর্স-আয়ো, অরাম- মিউ-ন্যাট্রো, বেল, ব্রোমি, বিউফো, ক্যালক, কার্বো-ভেজ, সিঙ্কো, কোটলাস-হরি, কন্ডুরাঙ্গো, ইলান্স, গ্রাফাইটিস, হাইড্রাস, আয়ো, ক্রিয়োজোট, ল্যাকে, লাইকো, মার্ক, মিউরেক্স ন্যাট্রাম-কার্ব, ন্যাট্রাম-মিউ, নাই-এসি, ফস, ফাইটো, প্লাটি, স্যাবাইনা, স্যাংগু, সিকেলি, সিপিয়া, সাইলি, স্পাইজি, স্ট্যাফি, সালফ, থুজা, ট্যারেন্টলা, জিঙ্ক।

প্রথমাবস্থায়- বেল ।
জরায়ুর থেকে কালচে ও পচাঁ মতো রক্ত স্রাব- জ্বালাকর স্রাব- আর্স।
৫টি রোগীকে- ল্যাপিস–এলবা ।
ফুলকপির মত উদ্ভেদ- গ্রাফাইটিস, ক্রিয়োজোট, থুজা ।

ফুলকপির মত উদ্ভেদ অধিক রক্ত স্রাব- ফস।

জরায়ুর মুখের ঐ প্রকার উদ্ভেদসহ পিউবিসে চাপ- কোটেলাস হরি।
উড়ো যন্ত্রনা পাতলা স্রাব- কেলি-আর্স ।
রক্ত স্রাব সহ সারর্ভিক্সে হলে- থ্যালান্সি ।
সারভিক্স ফোলা শক্তসহ টিউবারকুলার নোডস এবং ফুলকপির আকারে উদ্ভেদ- গ্রাফাইটিস।
ঋতুবন্ধ কালে ও সময়ে- ল্যাকেসিস ।
ক্ষতকর কালচে স্রাব– লিউকোরিয়া সহ – আর্স ।
ফিকে রং এর স্রাব– আর্স ।
খুব পচা দূর্গন্ধ- সাইলি, আর্স ।
খুব যন্ত্রনা দায়ক — কলোসিন্থ ।

স্কিরাস শ্রেণীর :-
এলুমিনা, আর্জ-মেট, আর্স, অরাম-মিউ-ন্যাট্রো- কোনিয়াম ।
সারর্ভিক্সের স্কিরাস– ক্রিয়োজোট ।
স্কিরাস নরম হয়ে যায়-তার সাথে হাজাকারী শ্বেতস্রাব— ক্লিমেটিস।
স্কিরাস জ্বালাকর, হুলফুটানো, এবং খোচামারা যন্ত্রণা জারয়ার গ্রীবায়– কোনিয়াম ।
সাইকোসিস হেতু– থুজা।
জলবৎ স্রাব– আর্স।

ডাঃ জে, এইচ ক্লার্কের মতে – আর্জ-মেট, ক্যালেন্ডুলা, কার্বো- এ্যানি, গ্রাফাইটিস, কেলিকার্ব, ট্যারেন্টুলা, হিঃ থ্যালম্পি- বার্সা
প্যাসটোরি।
স্কিরাস- অরাম-মিউ-ন্যাট্রোনেটাম ।

ডাঃ লিলিয়েন্থাল এর মতে :-এপিস, আর্স, আর্স-আয়ো, অরাম-আর্স, অরাম-মিউ, বেল, ব্রোমিয়াম, ক্যালক, চায়না, কোনি, গ্রাফাইটিস, ক্রিয়োজোট, আয়োড, ল্যাকে, লাইকো, ম্যাগ- মিউ, ফস-এসি, ফাইটো, স্যাবাডিলা, সিপি, সাইলি, স্ট্যাফি, সালফ, ট্যারেন্টুলা-কিউ, জিঙ্ক, মার্ক- আয়ো, মিউরেক্স ন্যাট্রাম, ন্যাট্রাম মিউ, নাই-এসি, ফস।

অরাম-মিউ-ন্যাটো :- এটি জরায়ূর ফাইব্রয়েড টিউমারে মূল্যবান ঔষধ। বিশেষ করে যখন ভ্যাজাইনা থেকে হলদে রং এর মিউকাস স্রাব হয়, মূত্রস্রাব কমে যায়, জরায়ূর-মুখকম বেশী শক্তভাব হয়, ক্ষুধাহীনতা, বিসন্নতা এবং সূচ বেধা অথবা জ্বালাকর যন্ত্রনা হয় পেটে । এই প্রকার ক্ষেত্রে ডাঃ জোন্স- ৩x বিচূর১ মাত্রা প্রতিবার আহারের পর দিতে বলেছেন। সাধারণতঃ ৩x বিচূর্ন ৬,১২,৩০,২০০ শক্তি ।

আরও পড়ুন – জরায়ু সংক্রমণের ঘরোয়া সমাধান

বেলেডোনা (Belladonna) :- স্কিরাস শ্রেণীর শক্ত স্ফীতি, ক্যানসারাস আলসার, স্পর্শে জ্বালা করে, ক্ষতের মুখে রক্তের চটা পড়ে কালচে হয়, পূজ খুব কম, জরায়ু ক্যানসারে প্রথমাবস্থায় ভর্তি বোধ, নিচের দিকে ঠেলা মারা বোধ কোমরে যন্ত্রনা, রক্তাভ স্রাব গ্লান্ডসমূহের প্রদাহ। জোন্স বলেছেন- স্তনের ক্যানসারে বা টিউমারের যন্ত্রনা শয়নে বৃদ্ধি বিশিষ্ট লক্ষণ। এর যন্ত্রনা সবিরাম হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়। শক্তি-১x শক্তি অন্যথায় ৬, ১২,৩০,২০০ শক্তি।

এলুমেন (Allumen) :- জরায়ুর এবং রেকটামের ক্যানসার কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে প্রধান রোগ বৃদ্ধির অবস্থা। পায়খানা পাথরের
মত শক্ত। প্রতিদিন পায়খানা করার ইচ্ছা থাকে না। পেলভি এবং পেটের সংঙ্কুচিত অনুভূতি সহ শক্ত প্রবনতা। স্থিরাগ আতীয় শক্ত গ্লান্ডসমূহ। জরায়ুর ক্যানসারে প্রচুর সাদা মান থাকবে। রজস্রাব কম এবং জলের মত। (ক্লার্ক)।।

জরায়ুর ক্যানসার স্কিরাস জাতীয় শক্ত। (ডাঃ চুগা)।

এপিস-মেল (Apis-mell) :- জরায়ুর গ্রীবা ক্যানসার এর সাথে হুল বেঁধা ও জ্বালাকর যন্ত্রনা বিশেষত স্কিয়াস টিউমার এর ক্ষেত্রে অথবা উন্মুক্ত ক্যনসার এ। ওভারী প্রদেশে যন্ত্রনা, আচরণ কোমল অল্প পরিমানে কালো প্রস্রাব, এর চরিত্রগত শ্রেষ্ঠ লক্ষণ। (ডাঃ টি,এস, লায়ার)।

আর্সেনিক (Arsenic) :- জরায়ুর গ্রীবা এর ক্যানসার অত্যন্ত দুর্বলতা এবং ক্লান্তিসহ অস্থিরতা এবং তীব্র দৈহিক যন্ত্রন সহ ভয়ানক তীক্ষ্ণ জ্বালা যন্ত্রনা সমস্ত বৃদ্ধি মধ্যরাত্রে। তিক্ত, ক্রমশ ক্ষয় কারক এমন জ্বালা পূর্ন নির্গত। জলের মত হালকা অথবা কালো নির্গত কখন খুবই দূর্গন্ধযুক্ত। (ডাঃ টি, এম, লায়ার)।

আর্সেনিক আশ্চর্যরকম উপশমকারী ক্যানসার এর মত পীড়ায় যাহা ক্যানসার ঘটাতে পারে জরায়ুর এবং স্তনের প্লান্ড সমূহে জ্বালা, হুলফুটান যন্ত্রনা সমস্ত অদৃশ্য হয়ে যায়, অনারোগ্য কেসে, যদিও এটি উপশম কারী ঔষধের মধ্যে একটি। ((কন্ট)।

আরও পড়ুন – জরায়ুর মুখে ঘা বা সারভিক্সে সংক্রমনের লক্ষন

গর্ভাশয়ের ক্যানসারে যেখানে আর্সেনিক প্রয়োজন, আমরা দেখতে পাই অত্যন্ত ফোলা জরায়ুর ওমব এবং জরায়ুর মুখ শক্ত অবস্থা। অত্যাধিক জ্বালাজনক, তাঁর বেধা, যন্ত্রনা, অত্যন্ত দূর্গন্ধ পাতলা এবং গাঢ় বর্নের স্রাব। তার জীবন অসহা করে তোলে। অত্যন্ত দুর্বলতা এবং কৃষতার কারণে সে বার বার মূৰ্চ্ছা যায় । প্রচুর পরিমানে শ্বেত প্রদর, ক্ষয় কারক । (চৌধুরী)।

গর্ভাশয় এর ক্যানসার, জ্বালা সহ, গুলিবিদ্ধের মত, হুল ফুটানো যন্ত্রনা জরায়ুর প্রদেশে। যন্ত্রনা উপরের পেটে, মুখ শুকনা, তৃষ্ণা, বারবার পানি পান করে, তবুও গলা শুকনা। চলাফেরায় অধিকতর খারাপ অবস্থা। বৃদ্ধি-সন্ধ্যায়, রাত্রে, ঠান্ডাতে। উপশম- গরমে। জ্বালা, ক্ষয়কারক, তিক্ত নির্গত কখনও তীব্র দূর্গন্ধ। প্রধান শীর্ণতা, অত্যন্ত দুর্বলতর, চর্ম বর্নহীন মোমের মত, শুকনা এবং কর্কশ অথবা রুক্ষ । নিদ্রীত অবস্থায়ও যন্ত্রনা অনুভব করে।
(লিলিয়েস্থাল)।

কেলি-আর্সেনিক (Kali-Arsenic) :- ফুলকপির মত আঁচিল অথবা ক্ষুদ্র মাংস বৃদ্ধিতে জরায়ুর মুখে, উরন্ত বেদনা যা হঠাৎ আসে, খারাপ বা বিশ্রী গন্ধ নির্গত এবং পিউবিসের নিচে চাপ, ৩x ব্যবহৃত । (ডাঃ চুগা)।

অরাম (Arum):- জরায়ুর ক্যানসার, অত্যন্ত বিরক্তীকর দূর্গন্ধ নির্গত, পেটফাঁপা এবং হুলফুটানো, কাটার মত যন্ত্রনা জরায়ুর প্রদেশে অরাম দিতে বলেন। (টি, এস,হনি)।

জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ

জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ

অরাম-মিউরেটিকাম (Arum-Muriaticum) :- জরায়ুর এর গ্রীবার ক্যানসার, হুলফুটানো, কেটেফেলা, চেপেধরা, যন্ত্রना জরায়ুর প্রদেশে। অত্যন্ত তীব্র দূর্গন্ধনির্গত, উদগীরন উপরের দিকে বাতাস। টক বস্তু ছাড়া কিছুই চায়না। সর্বদা আত্মহত্যার চিন্তা। জরায়ুর বহিঃনিসরন শক্ত অবস্থা, আঘাত প্রাপ্তিবৎ, তীর বিদ্ধবৎ টেনে খেচেধরামত যন্ত্রনা । (টি,এস,লায়ার)।

ক্যালকেরিয়া – আর্সেনিকাম (Calcaria Arcenicum) :- জরায়ুর ক্যানসার জ্বালা যন্ত্রনা সহ জরায়ুতে এবং ভেজাইনাতে । তীব্র দূর্গন্ধ, রক্তাভ স্বেত প্রদর। চক চকে মেয়েলোক, আবহাওয়া ধাতুযুক্ত। (বরিক)।

ইহার ব্যবহারে জরায়ুর ক্যানসার আরোগ্য হয় যখন সেখানে জ্বালা এবং তিক্তকর তীব্র দূর্গন্ধ এবং রক্তাক্ত ধারা থাকে। ইহা প্রত্যার্পন করে রজস্রাব, যখন লক্ষণ সদৃশ্য। জ্বালা যন্ত্রনা জরায়ুতে এবং ভেজাইনাতে। (কেন্ট)।

ক্যালকেরিয়া-কার্বনিকাম (Calcaria Carbonicum) :- জরায়ুর ক্যানসার; দুই রজস্রাবের মধ্যে রক্ত নির্গতসহ মানষিক উদ্বেগ অথবা অত্যন্ত উদ্বেগ প্রবৃত্ত করে। ক্ষতচূর্নকর অথবা বিদীর্নকর অনুভব প্রজনন অঙ্গে, বিরাম হীন ভাবে যন্ত্রনা ভেজাইনাতে। মাথার উপরে ঠান্ডা অনুভব, প্রধান ঠান্ডা বাতাসে সংবেদনশীল এবং সহজে ঠান্ডা পায়। সমস্ত যাবেই প্রচুর পূজ, পচা ও সাদা দুধের মত । মাথায় খুব ঘাম। জয়ার প্রবনতা । (টি, এস, লায়ার)।

আরও পড়ুন – সিজার ও জরায়ু সমস্যা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য

পেটের বেদনা, বমি, মাথায় যন্ত্রনা, টিনিটাস, প্রস্রাব বন্ধ এবং উদরাময় এনাসারকা। মেদ প্রবনা এবং শ্লেষ্মা প্রধানা স্ত্রীলোকগনের পক্ষে বিশেষ উপযোগী। রোগিনীর পদদ্বয় অত্যন্ত ঠান্ডা, মনে হয় যেন রোগীনি ভিজা মোজা পড়িয়া আছেন। সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠতে মাথা ঘোরা। যথাসময়ের পূর্বে অত্যাধিক ঋতু স্রাব। জননেন্দ্রিয়ের অভ্যন্তরে জ্বালাকর টাটানি বেদনা, যোনিমধ্যে অবিরাম কনকনে বেদনা। সামান্য ঠান্ডা বাতাসেই অত্যন্ত অনুভবাধিক্য । (ভড়)।

ক্যালকেরিয়া আয়োডেটাম (Calcarea-Iodetum) :- ফাইব্রয়েড টিউমার জরায়ুর, ৩x দিনে দুবার সুপারিস করেন। (ডাঃ চুগা)।

পেটে বেদনা, বমি, মাথায় যন্ত্রনা, কানে গুন গুন গান, প্রস্রাব শূন্য এবং উদরাময়। এনাসারকা! রক্তশূন্যতা। গড মালা ধাতুর স্ত্রীলোকদের ব্যাধি। পেমফিগাস। বুলই ঘেরা একটি আংটি। প্রচুর চুলকায়। মুখায়ব প্রচুর ফোলা বিশেষ করে চোখের চারিপাশ। চুলকানির উদ্ভেদ উরুতে। মামরী যুক্ত।
(ডাঃ চুগা)

ক্যালথা-প্যালাসটারিস (Caltha-palustaris) :- কুপার, এটি ব্যবহার করে চমৎকার ফল পেয়েছেন জরায়ুর ক্যানসারে একটি মাত্রা টিংচার দিয়ে লম্বা বিরতীর পর। (ক্লার্ক)।

কার্বো-এ্যানিম্যালিস (Carbo-Animalis) :- ওমব এর ক্যানসার। ঋতুকালে কুচকিতে, পেটের মধ্যে জ্বালা, উরুর মধ্যে পর্যন্ত সম্প্রসারিত। প্রসব বেদনা পেলবিসে, সামান্য পিঠে যা উরু পর্যন্ত প্রসারিত। আঠাজাতীয় বিবর্ন রক্ত নির্গত। অনিয়মিত স্রাব । জরায়ুর গ্রীবা অত্যন্ত শক্ত, ফোলা। পাথরের ন্যায় শক্ত কর্কটক্ষত । মুখায়ৰ শুকনা, চর্মের মেটে রং, অত্যন্ত দুর্বল। (টি, এস,লায়ার)।

জরায়ুর ক্যানসার অনিয়মিত রজঃস্রাব সহ। দুর্বল, খালিবোধ পাকস্থলীর গভীর গর্তে। প্রসব বেদনা। তৃষ্ণা, ঠান্ডা পানিতে অনিহা। ক্ষুধাহীনতা, চর্মের রং মেটে বর্ন ।

কার্বো-ভেজিটেবলস (Carbo-vegetabilis) :- জরায়ুর ক্যানসার যখন-ভেরিকোস ভেইন প্রচুর পরিমাণে থাকে বাহিরের জননেন্দ্রিয়ে । অক্ষতিকর খাদ্যও হজম না হয়ে পেট ফাঁপে। জ্বালা পূর্ন যন্ত্রনা জরায়ুতে, শায়িত কর অবস্থা, প্রান্তদেশ ঠান্ডা । (টি, এস, হনি)।

কার্সিনোসিন (Carcinosin) :- জরায়ুর কার্সিনোমা, তীব্র দূর্গন্ধ নির্গত, রক্তক্ষরণ। যন্ত্রনা অত্যন্ত উপশমকারী এই ঔষধে। ক্যানসারের কৃষতা । (বরিক)।

ক্যামোমিলা (Chamomilla) :- রজ: স্রাব খুব তাড়াতাড়ি এবং প্রচুর হয়। রজঃস্রাবের মাঝে রক্ত নির্গত হয়। ঝিল্লীর রজঃকষ্ট। জোর করে ধরে থাকা এবং ক্লেশদায়ক যন্ত্রনা জরায়ু প্রদেশে যা অনুসরণ করে বড় ঢেলা নির্গত হওয়ার পর। সমস্ত অসুস্থতার কারণে রোগীনীর মনের অবস্থা এমন পরিবর্তন হয় যে, সে হয় মেজাজী, যেক্ষেত্রে সে ছিল অমায়িক, সে এখন খিট খিটে বা কামড়াইতে উদ্ধত। যন্ত্রনার সময় সে হয় ত্রুদ্ধ এবং বন্য । যন্ত্রনার বৃদ্ধি রাত্রে এবং মুক্ত বাতাসে। উপশম-ঘামের পর, দাড়ালে এবং হাটলে । (টি, এস, হনি)।

কুরারী (Curare) :- স্কিরাস জাতীয় জরায়ুর মুখে, ক্ষত হইতে নিশৃত জলীয় পদার্থ, ক্ষয়কারী নির্গত। যন্ত্রনা, কোমল আচরন জরায়ুর গ্রীবা। তীক্ষ্ণ অজ্ঞান, সূচফোটা যন্ত্রনা জরায়ুর গ্রীবাতে । (বরিক) ।

ফ্রাক্সিনাস-আমেরিকানা (Fraxinus Americana) :- ইহা নির্দেশিত জরায়ুর ক্যানসারে বিশেষত ফাইব্রয়েড সহ কোমল অনুভূতি। স্পর্শে বেদনা দায়ক এবং ভারী বোধ জরায়ুতে। (ক্লার্ক)।

গর্ভাশয়ের টিউমার- কোমল অনুভূতি সম্পন্ন। আক্ষেপ পায়ে অধিকতর খারাপ অবস্থা দুপুরের পর এবং রাত্রে। জলের মত পাতলা এবং তোতা যেত গুদ। (বরিক)।

ফুলিগো (Fuligo) :- গর্ভাশয়ের ক্যানসার, গর্ভাশয় থেকে রক্তক্ষরন সহ এবং জরায়ু থেকে রক্তস্রাব। দুঃখ ভারাক্রান্ত এবং আত্মহত্যার চিন্তা।

আরও পড়ুন – জরায়ু ইনফেকশনের লক্ষণ, করনীয় ও হোমিওপ্যাথি ঔষধ

গ্রাফাইটিস (Graphites) :- যোনিদার গরম যন্ত্রনাপ্রদ, লিফ্যাটিক ভেসলাস এবং মিউকাস ফলিকুল সমূহ ফোলে, জরায়ুর গ্রীবা শক্ত এবং ফোলাসহ টিউবারকুলোসিস নোডস এবং ফুল কপির আকারের বিবৃদ্ধি, পেট খুব ভারী বোধ হয় নড়াচড়ায় তার সাথে দুর্বলতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং যন্ত্রনার বৃদ্ধি। ঋতু বিলম্বে আসে, ঋতু অব্যবহিত পূর্বে, আবির্ভাব কালের যন্ত্রনা, স্রাব কালচে জেলাযুক্ত দূর্গন্ধযুক্ত রক্ত। ছুঁচ বেঁধা, তাঁর বেধামত জ্বালাকর বেদা মত গোটা পেট থেকে দাবনা পর্যন্ত যন্ত্রনা । যন্ত্রনা, কোষ্ঠবদ্ধ, ফেকাসে চেহারা, বিষন্ন, উৎকন্ঠিত মানষিক অবস্থা, কোষ্ঠ কাঠিন্য। ওভারীর সংগে সংযুক্ত রোগে প্রায়ই উপকারী হয়। শক্তি- ৫, ১২, ৩০, ২০০ থেকে উচ্চতর। (জোন্স)।

আয়োডিয়াম (Iodium) :- জরায়ুর ক্যানসার। প্রত্যেকবার মলত্যাগকালে জরায়ু থেকে রক্তস্রাবসহ পেটে কেটে ফেলা যন্ত্রনা এবং কোমরের নিচে যন্ত্রনা, ঋতুকালে দারুন দুর্বলতা, বিশেষ করে সিড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠতে গেলে। দীর্ঘস্থায়ী জরায়ুর রক্তস্রাব, স্তন শুকিয়ে যায়, ঝুলে যায়। খুবই গরম কাতর, সর্বরোগই গরমে বৃদ্ধি, সার্বিক শীর্নতাসহ সম্পূর্ন দুর্বলতা, প্রচন্ড বমি আহারে বাড়ে, পাকস্থলীর মধ্যে দপ দপানি অনুভব হয়। জরায়ুর ক্যানসার, হলদে হাজাকর লিউকোরিয়া। এছাড়া গরম কাতরতা, অতি ক্ষুধা, অতিশীর্নতা, অতি অস্থিরতা, দুর্বলতা আহারে উপশম প্রভৃতি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ স্মরণে রাখতে হবে। শক্তি- ৬, ১২, ৩০, ২০০ থেকে উচ্চতর। (জোন্স)।

জরায়ুর গ্রীবার ক্যানসার। কেটে ফেলা যন্ত্রনা পেটের মধ্যে, কোমর এবং সামান্য পিঠে। প্রতিবার পায়খানার সাথে জরায়ুর রক্তস্রাব। জরায়ু শক্ত। বেদনাহীন দুই স্তনেই অত্যন্ত ভারীবোধ। স্তন শুকিয়ে যায়, নিচের দিকে ঝুলে যায়। ক্ষয়প্রাপ্ত পরে থাকে দুরে ম্যমারি থেকে। রোগী বৃদ্ধি অনুভব করে বাহিরের গরমে, পারদের অপব্যবহারে পর । (টি, এস, হনি)।

জরায়ুর ক্যানসার। ঋতুস্রাব একবার খুব দেরীতে একবার খুব তাড়াতাড়ি, স্রাব পুরাপুরি হয় না, তীব্র যন্ত্রনাদায় প্রচুর পরিমাণে। অনেক শারীরিক কষ্ট, দুর্বলতা, বুক ধর ফর করে, স্রাবের পূর্বে স্রাবের পর এবং স্রাবের সময়। শ্বেত প্রদর ক্রমশ ক্ষয় কারক অঙ্গে, ক্ষৌমবস্ত্রে, তিক্ত, প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি
ঋতুকালে। জরায়ুর রক্তক্ষরন পুনরায় প্রতিবার পায়খানার সময় । স্তন ভারীবোধ, শুকনা, ঝুলে থাকে। নিলচে লাল গোটা বা নোডস্ যাহার আকৃতি হেজাল বাদামের মত (Hagalnat) দুই পার্শ্বের স্তনে। শুকনা কালো দাগ আগায় । (টি, এস, হনি,)।

জরায়ুর ক্যানসার অত্যাধিক রক্তক্ষরণ সহ। অধিকতর খারাপ অবস্থা গরমে এবং অতিরিক্ত ক্ষুদায় । (দে)

ইহা নিদর্শন করে জরায়ুর গ্রীবার ক্যানসারাস অধপতন। সাধারনতঃ একটি অবস্থা যার সহযোগী জরায়ু থেকে রক্তক্ষরন এবং পুরাতন শ্বেত প্রদর ।
(কেন্ট)।

কেলি-আর্সেনিকাম(Kali-Arsenicum) :- কলিফ্লাওয়ার আঁচিল বা ক্ষুদ্র মাংসবৃদ্ধি জরায়ুর মুখে উরন্ত যন্ত্রনা বা হঠাৎ বেদনা । চাপবোধ জরায়ু মুখের নিচে দূর্গন্ধ বা বিরক্তীকর নির্গত সহ । ঋতুস্রাব বন্ধ । বুকের দুধ সম্পূর্ন আটকা । (ক্লার্ক)

কেলি-কার্ব (Kali-carb) :- গর্ভাশয়ের ক্যানসার মাজার চারিপার্শ্বে যন্ত্রনাসহ ডান পার্শ্বের দাবনা ও হাটুতে সম্প্রসারিত। স্ত্রীলোকদের রতিক্রিয়ায় অত্যন্ত অনিচ্ছা। কোমল আচরনের অনুভুতি। প্রথম ঋতুস্রাবে কষ্ট। ঋতু বন্ধ এনাসারকা এবং জলউদরী সহ। পাকাশয় জনিত লক্ষণ এবং উদ্বিগ্ন যুক্ত ঘুম ঋতু স্রাবের সময়। শ্বেত প্রদর, কোমরে তীব্র যন্ত্রনা সহ যেন প্রসব বেদনা। হলদে চুলকানি যুক্ত শ্বেত প্রদর। দুধ প্রবাহের সময় খোচামারা, সূচ বেঁধা যন্ত্রনা । (ক্লার্ক)।

আরও পড়ুন – র‌্যাক্স নং- ৭৬ (মহিলাদের সমস্যা)

কেলি-আয়োডাম (Kali- lodum) :- এটি ব্যবহার্য সিফিলিটিক গীট বা নোড্স এবং টিউমার স্তনের এবং জরায়ুর ক্ষেত্রে। ইহা প্রচুর পরিমানে গামেটাস টিউমার যাহাতে স্নায়ু টিস্যু জড়িত! জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমারের ক্ষেত্রে জানা যায় কেলি আয়োড আরোগ্যকারী। (চৌধুরী)।

ক্রিয়োজোট (Kreosote):- জরায়ুর ক্যানসার! তীর বেঁধা, ছুচফোটান যন্ত্রনা যোনি মধ্যে, জ্বালা, ফোলা, ল্যাবিয়ার ভিতরে ও বাইরে। কাল জমাট প্রচুর রক্তস্রাব অথবা ঝাঝালো গন্ধযুক্ত, ক্ষতকারী রক্ত স্রাব। কোমরে যন্ত্রনা। যন্ত্রনা রাত্রে বৃদ্ধি। ঋতু কালে শীত বোধ করে সব সময়, দেহের বর্ণ ফ্যাকাশে, বিষণ্ন খিট খিটে, ফুলকপির মত উদ্ভেদ, অত্যন্ত দুর্বলতা, নিদ্রাহীনতা, পাকস্থলী যেন খুব আঁটি সাটি, কাপড়ের চাপ সহ্য করতে পারেনা, পাকস্থলীর বাম দিকে শক্ত ব্যাথা। জরায়ুর ক্যানসারে কোষ্ঠকাঠিন্য, টাটানি ব্যাথা, ক্ষতবৎ লোবিয়া ও ভালভার মধ্যে তার সাথে ঐ স্থানে প্রচুর চুলকানি এবং জরায়ুর গ্রীবায় ক্ষত কর যন্ত্রনা। ৬ x বিচূর্ন ৩ গ্রাম মাত্রায় প্রতিবার খাবার পর এবং রাত্রে শোবার কালে দিতে বলেছেন। শক্তি ৬, ১২, ৩০, ২০০।

ল্যাকেসিস (Lachesis):- জরায়ুর ক্যানসার এটি ঋতুবন্ধ কালে বেশী হয়, যন্ত্রনা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যতক্ষন পর্যন্ত না প্রচুর রক্তস্রাব হয়ে উপশম হচ্ছে। ছুরি দিয়ে পেটের মধ্যে খোচাদিচ্চে এমন প্রচন্ড যন্ত্রনা যা চেপে ধরলে উপশম হয়। হাঁচি বা কাঁশী হলে যন্ত্রনা বৃদ্ধি পায়। ডাঃ জোন্স ওভারির ক্যানসার যেখানে শক্ত, ফোলা, যন্ত্রনা বামওভারী থেকে ডানদিকে যায় যন্ত্রনা ক্রমশ বাড়তে থাকে, অধিক থেকে অধিকতর যতক্ষন না রক্ত স্রাব হচ্ছে যোনি পথে, এই অবস্থা পূনঃ পূনঃ ঘটতে থাকে। শক্তি ১২, ৩০ ২০০ থেকে উচ্চতর।
(ডাঃ জোন্স)।

জরায়ুর ক্যানসার ঋতুবন্ধ (মেনুফেজ) তে অথবা ইহার প্রভাবে বার বার গর্ভাশয়ের রক্তস্রাবসহ। যে অংশে ফোলা সেখানকার যন্ত্রনা, যা স্পর্শ সহ্য করতে পারেনা এবং চেপে ধরলে উপশম হয়। যন্ত্রনার সময় এত তীব্রতা যেন ছুরি ঠেলে ঢুকাইতেছে। অপ্রতুল এবং দেরীতে ঋতু স্রাবের পূর্বে ইপিসটেক্সিস হয়। (টি, এস, হনি)।

গর্ভাশয়ের ক্যানসার বিবৃদ্ধি ঋতুর শেষ পর্যায় বার বার যন্ত্রনা বাড়ে যতক্ষণ প্রচুর রক্ত স্রাব না হয়। তীব্র যন্ত্রনা যেন ছুরি পেটের মধ্যে ঠেলে ঢুকাইতেছে। চাপ সয্য করতে পারে না। (লিলিয়েস্থান)।

ল্যাপিস-এ্যালবাস (Lapis – Aibus ) :- জ্বালা, তীর বেঁধা, হুলফুটানো যন্ত্রনা স্তনে এবং জরারায়ুতে। গর্ভাশয়ের কার্সিনোমো ৷ দৈহিক যন্ত্রনা পূর্ন ঋতুস্রাব হঠাৎ যন্ত্রনা এত তীক্ষ্ম যে, সে মুচ্ছিত হয়। ঋতুর সময় যন্ত্রনা, ক্লান্তিসহ। তীক্ষ্ম যন্ত্রনা ঋতু প্রবাহিতের পূর্বে। ভালভার প্রুরাইটিস। (ক্লার্ক)G

জরায়ুর মধ্যে অসহ্য যন্ত্রনা এবং হুল বিশ্বের ন্যায় বেদনা! প্রচুর পরিমাণে কালো দূর্গন্ধ রক্তস্রাব। গন্ডমালা ঋতুতে অধিকতর উপযোগী । (ভর)G

স্তনের এবং জরায়ুর ক্যানসার মলা মাতুর নারীগনের জ্বালাকর, তীর বেঁধা, হুলফুটানো গল্পনা। প্লান্ড সমূহের টিউমার। ক্যানসার যতক্ষন পর্যন্ত উন্মুক্ত হয়ে গত সৃষ্টি না হয়। ডাঃ জোন্স বলেন, এই ঔষধটি জরায়ুর ম্যালিগন্যান্ট ব্যাধিতে নির্দেশিত হয়, যখন ঐ যন্ত্র থেকে কাল ও অত্যন্ত দূর্গন্ধ তার হইতে থাকে তার সাথে আক্রান্ত স্থানে প্রচন্ড জ্বালা থাকে তখন ল্যাপিস ৬x বিচূর্ন প্রত্যহ ৩ বার দেয়। শক্তি৬x বিচূর্ন ৬,১২,৩০ (ডাঃ- জোন্স)।

অরাম-আর্সেনিকাম (Arum – Arsenicum) :- জরায়ুর ক্যানসারে ঔষধটি বিশেষ উপযোগী। সঙ্গম ক্রিয়ার বাসনা অধিক, যোনি কপাটে উদ্ভেদ। জরায়ুর এবং ডিম্বাশয়ের প্রদাহ, যোনি কপাটের চুলকানি, প্রদর হাজাকর। অতি দূর্গন্ধময় প্রদর স্রাব, ঘন সাদা হলদে বর্ণের প্রদর স্রাব । (কেন্ট)।

আরও পড়ুন – র‌্যাক্স নং- ৭৬ (মহিলাদের সমস্যা)

লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) :- জরায়ুর গহ্বর ক্যানসার। কুচকি পর্যন্ত টানা, জ্বালা, অবিরাম যন্ত্রনা পুরাতন যোনী শুকনা রোগ। যোনির মধ্যে চাপবোধ, সামনে ঝোকা। যোনী দিয়ে বাতাস নির্গত। পিঠে সামান্য যন্ত্রনা, পা পর্যন্ত প্রসারিত। আটকানো বা কারারুদ্ধের মত পেট ফাঁপা, গুর, গুর শব্দ সহ বাম হাইপোকন্ড্রিয়ামে। প্রসাবে লাল বালু কনার মত তলানী। অঙ্গের কম্পন যখন জাগরিত বা ঘুমের মধ্যে। রোগের বৃদ্ধি সাধারণতঃ বিকাল ৪ টা থেকে ৮ টা। (টি, এস, লায়ার)।

ম্যাগনিসিয়াম-মিউরেটিকাম (Magnesium-Muriaticum) :- জরায়ুর, জরায়ু গহ্বর এর ক্যানসার। স্কিরাস জাতীয় শক্ত জরায়ু । গর্ভাশয়ের খেচুনি দাবনা পর্যন্ত প্রসারিত এবং কখনও কখনও স্বেত প্রদর। কালো জমাট বাধা রক্ত, ঋতুর সময় নির্গত বসলে অধিক পরিমাণ হাটার চাইতে। বড়, শক্ত, কষ্টকর পায়খানা, যাহা খন্ড খন্ড হইয়া ভাঙ্গিয়া পরে, বাহির হওয়ার সময়। জরায়ুর আক্ষেপ। রোগীনির মাথায় যন্ত্রনা মনে হয় তাহাতে ফুটন্ত জল রহিয়াছে। জরায়ুতে সংকোচন বেদনা। জরায়ু হইতে প্রসাবের ন্যায় বেগ আসে। কোষ্ঠ নিয়মিত বা সহজ হইবার পরে, এই ঔষধের ক্রিয়া কিছুদিন চলতে দিলে কঠিন অর্বুদ ও অদৃশ্য (টি, এস, লায়ার) হইবে ।

স্কিরাস জাতীয় শক্ত জরায়ুতে। ঋতু খুবই শ্রীঘ্র এবং প্রচুর। ঋতু বন্ধ । কালো জমাট বাধা রক্ত ঋতুর সময়। কোমরে বেদনা সহ, মুখমন্ডল ফেকাসে বর্ণ। নিস্তেজ। ঋতুর সময় বমি, পায়ে ব্যাথা। জরায়ুর আক্ষেপ, কখনও ব্যাথা দাবনা পর্যন্ত প্রসারিত। স্বেত প্রদর বিশেষতঃ চলাফেরায় অথবা পেটের মধ্যে আক্ষেপের পূর্বে, পায়খানার পরে পরেই। (ক্লার্ক)।

মার্ক-সলুবিলিস (Marc-Solubilis) :- জরায়ুর গহ্বরে ক্যানসার সিফিলিটিক কলঙ্কসহ। যোনির স্থানচ্যুতি নিম্নদিকে। ইঙ্গুইনাল গ্লান্ডসমূহের ফোলা । (টি, এস, লায়ার)।

জরায়ুর ক্যানসার যোনির নিম্ন দিকে স্থানচ্যুতি সহ। ইঙ্গুইনাল গ্লান্ড সমূহ সমবেদনা অনুভব করি ক্যানসারের পীড়াতে। লক্ষণ সমূহের বৃদ্ধি মধ্যরাত্রে এবং ঠাণ্ডায় সেঁতসেঁতে আবহাওয়ায় । (টি, এস, হলি)।

মার্ক অনেকের মধ্যে একটি উপশমকারী জরায়ুর এবং স্ত নের ক্যানসারে। ইহা এপিথেলিওমা দমন করে এবং কখনও আরোগ্যও করে। (কেন্ট)।

মিউরেক্স (Murex) :- জরায়ুর বেদনা ক্ষত যুক্ত। স্নায়ুবিক বেদনা উপরে উঠে যখন রোগীনি শোয় এবং উপশম যখন বসে। ইহা তাহাকে ক্লান্ত করে ফেলে পুরাপুরিভাবে। সবুজ উত্তেজক সাদা স্রাব নির্গত। পাছা থেকে দাবনা পর্যন্ত যন্ত্রণা। পরীক্ষা করা আঙ্গুলের সামান্য স্পর্শে রক্ত ক্ষরণ। তীর বা বলম বিশ্বের মত জরায়ুতে যন্ত্রনা যাহা মিউরেক্স প্রদানের নির্দেশ কারী নিদর্শন। স্বেত প্রদর নির্গত হইতেই থাকে হই।ও একটি অসাধারণতা, ইহা আসে দিনের বেলায় এবং রাত্রে অদৃশ্য হয়। একটি অসাধারণ ফ্যাকাশে কৃষকায় মুখায়ব আসে। তাহার নিদর্শন সাধারণ শরীর ভাঙ্গিয়া এই অবস্থা হয়েছে। (চৌধুরী)।

জরায়ুর কার্সিনোমাসহ, মানষিক বিমতা, জরায়ুর যন্ত্রনা যেন কিছু দিয়ে জরায়ু কাটছে, ছুরি ঢোকান, দপদপানি যন্ত্রনা জরায়ুর । স্রাব ক্ষতকর হেতু যোনিদ্বার থেকে দাবনা পর্যন্ত ক্ষত হয় ও ফোলে, জ্বালা করে চুলকায়। পেটের মধ্যে খুব খানিবোধ সহ অজ্ঞান হযে যায়। গভীরভাবে অহেতুক আতঙ্কগ্রস্থ। শক্তি ৬x ৬, ১২, ৩০, ২০০ শক্তি।

ন্যাট্রাম-কার্বনিকাম (Natrium Carbonicum) :- জরায়ুর গ্রীবা শক্ত। জরায়ুর মুখের আকৃতি নষ্ট হয়। হাইপোগ্যাসট্রিয়ামে চাপ যেন জননেন্দ্রিয়ের সমস্ত যন্ত্র প্রসব দ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসবে। সূর্য তাপে মাথার যন্ত্রনা, মানষিক শ্রম থেকে। প্রচুর স্নায়ুবিক দুর্বলতা এবং উদ্বেগ। (লিলিয়েস্থাল)।

নাইট্রিক এসিডাম (Nitric Acidum):- জরায়ুর ক্যানসার সিফিলিসসহ পারা দোষের বিষাক্ত ধাতুর মহিলাগনের। মূত্র অত্যন্ত দূর্গন্ধ যুক্ত, ঝাঝানি গন্ধ যেন ঘোড়ার মূত্রের মত। মধ্য রাত্রের পর বৃদ্ধি কুঁচকির গ্লান্ড পর্যন্ত টাটানি ব্যাথা যন্ত্রনা । প্রচন্ড আপেক্ষিক যন্ত্রনা যেন পেট ফেটে যাবে, তার সাথে সর্বদাই ঢেকুর, সবই যেন প্রসব দ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসবে, এমন চাপবোধ। তার সাথে কোমর থেকে দাবনা পর্যন্ত যন্ত্রনা । (টি, এস, লায়ার)।

শরীরে উপদংশ বা পারদ দোষ থাকিলে ইহা অধিকতর নির্দিষ্ট হইয়া থাকে । তীব্র দূর্গন্ধ প্রস্রাব। জরায়ুর ককটিকার সংগে সঙ্গে কুঁচকির গ্রন্থি গুলিও আক্রান্ত হয়। তীব্র খুল্লীবিৎ বেদনা, মনে হয় যেন উদর বিদীর্ন হইয়া যাইবে, সেই সঙ্গে অবিরত উদগার উঠা। তীব্র চাপ বোধরূপ বেদনা, মনে হয় যেন সমস্তই যোনিদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে কোমরে বেদনা । (লিলিয়েস্থাল)।

আরও পড়ুন – র‌্যাক্স নং- ৮০ (জরায়ু টিউমার)

নিমফিয়া-অডোরাটা (Nymphaea odorata) :- জরায়ুর ক্যানসার এর বেশ সংখ্যক আরোগ্য হয়েছে। ডাঃ এল, জি জোন্স এম, ডি, বলেন এটি আরোগ্যকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয় রক্তের এবং জরায়ুর ক্যানসার এর ক্ষেত্রে। আমার বক্তব্য আরোগ্যের ক্ষেত্রে ইহা অধিকতর শ্রেষ্টতা লাভ করেছে। (ডাঃ চূগা)।

ন্যাট্রাম-কার্বনিকাম (Natrium Carbonicum) :- জরায়ুর গ্রীবা শক্ত। জরায়ুর মুখের আকৃতি নষ্ট হয়। হাইপোগ্যাসট্রিয়ামে চাপ যেন জননেন্দ্রিয়ের সমস্ত যন্ত্র প্রসব দ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসবে। সূর্য তাপে মাথার যন্ত্রনা, মানষিক শ্রম থেকে। প্রচুর স্নায়ুবিক দুর্বলতা এবং উদ্বেগ।
(লিলিয়েস্থাল)।
নাইট্রিক এসিডাম (Nitric Acidum) :- জরায়ুর ক্যানসার সিফিলিসসহ পারা দোষের বিষাক্ত ধাতুর মহিলাগনের। মূত্র অত্যন্ত দূর্গন্ধ যুক্ত, ঝাঝানি গন্ধ যেন ঘোড়ার মূত্রের মত। মধ্য রাত্রের পর বৃদ্ধি কুঁচকির গ্লান্ড পর্যন্ত টাটানি ব্যাথা যন্ত্রনা । প্রচন্ড আপেক্ষিক যন্ত্রনা যেন পেট ফেটে যাবে, তার সাথে সর্বদাই ঢেকুর, সবই যেন প্রসব দ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসবে, এমন চাপবোধ। তার সাথে কোমর থেকে দাবনা পর্যন্ত যন্ত্রনা ।
(টি, এস, লায়ার)
শরীরে উপদংশ বা পারদ দোষ থাকিলে ইহা অধিকতর নির্দিষ্ট হইয়া থাকে । তীব্র দূর্গন্ধ প্রস্রাব। জরায়ুর ককটিকার সংগে সঙ্গে কুঁচকির গ্রন্থি গুলিও আক্রান্ত হয়। তীব্র খুল্লীবিৎ বেদনা, মনে হয় যেন উদর বিদীর্ন হইয়া যাইবে, সেই সঙ্গে অবিরত উদগার উঠা। তীব্র চাপ বোধরূপ বেদনা, মনে হয় যেন সমস্তই যোনিদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে কোমরে বেদনা । (লিলিয়েস্থাল)।

নিমফিয়া-অডোরাটা (Nymphaea odorata) :- জরায়ুর ক্যানসার এর বেশ সংখ্যক আরোগ্য হয়েছে। ডাঃ এল, জি জোন্স এম, ডি, বলেন এটি আরোগ্যকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয় রক্তের এবং জরায়ুর ক্যানসার এর ক্ষেত্রে। আমার বক্তব্য আরোগ্যের ক্ষেত্রে ইহা অধিকতর শ্রেষ্টতা লাভ করেছে। (ডাঃ চূগা)।

ফাইটোলেক্কা (Phytolacca) :- ক্যানসার জরায়ুর, ঋতুস্রাব অধিক, বার বার এবং প্রচুর পরিমানে। সামান্য যন্ত্রনা যুক্ত, বন্ধ্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য সিফিলিটিক কলঙ্ক। জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমার বসিয়ে দিতে এটি অদ্বিতীয় । জরায়ু ক্যানসারের আরোগ্য ক্ষমতাকে সর্বদাই বিশ্বাস করি। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বন্ধুগণ এর লক্ষণ সমূহ আমাদের জানিয়েছেন। শক্তি ১x ৩, ৬, ৩০, ২০০, থেকে উচ্চতর। (এল, জি, জোন্স)।

রাস-টক্সিকো ডেন-ড্রোন (Rhus toxico – Dendron) :- জরায়ুর ক্যানসার। অত্যন্ত বেদনাগ্রস্থ যোনিদ্বার বাধা দেয় আলিঙ্গন করা। ঋতু স্রাব হয় প্রচুর, দীর্ঘ স্থায়ী এবং হালকা রং, কামড়ানো যন্ত্রনা । (টি, এস, লায়ার)।

সাবাল সেরুলেটা (Sabal – Serulata) :- গর্ভাশয়ের পীড়া, টিউমার, বাম পার্শ্বের প্রতি আসক্তি, মানসিক উদাসীন এবং ক্রোধ প্রবনতা, গর্ভাশয়ের টিউমার। (ক্লার্ক)।

সেনিকুলা (Sanicula) :- গর্ভাশয়ের টিউমার-মুরগীর ডিমের মত বাম পার্শ্বে জরায়ুর গহ্বরে, সার্ভিক্সের উপরে । পিছনের দিকে যন্ত্রনা উন্নতি সাধন যখন প্রদাহ প্রতিষ্টিত। বেদনাগ্রস্থ জরায়ুর যন্ত্রনা বিস্তারিত নিচের পেট পর্যন্ত । (ক্লার্ক)।

সোলেনাম-টিউবারওসাম (Solenum-Tuberosum):– টিউমার সার্ভিক্স ইউটেরাই। (ক্লার্ক)।

সিপিয়া (Sepia) :– ক্যানসার জরায়ুর গহ্বরের। শক্ত, ফোলা, ক্ষত জরায়ুর মুখে অথবা গহ্বরে এবং যোনিদ্বারে। দৈহিক বেদনা গ্রন্থ। শক্ত জরায়ুর মধ্যে। সব যেন প্রসব দ্বার দিয়ে ঠেলে বেরিয়ে আসবে এমন চাপ বোধ। কাটার মত যন্ত্রনা, পেটে খালিবোধ, কোষ্ঠ বদ্ধতা, মানসিক উদাসীনতা, উদরের ন্যায় স্ফীতি, হলুদ জিন নাকের সেতুর উপর দিয়ে। বৃদ্ধি অনুভব করে গাড়ীতে চড়লে। ঋতুস্রাব কম। যৌন মিলনে অনিহা, দুঃখ এবং উদাসীনতা। (টি, এস, লায়ার)।

আরও পড়ুন – সিপিয়া Q হোমিওপ্যাথি মাদার টিংচার 

সাইলিসিয়া (Silicea) :- জরায়ুর ক্যানসারে নিয়মিত ঋতুর মাঝে রক্তস্রাব সহ পুনঃ পুনঃ ঠান্ডা হয়ে যায়। বাদামী পূজ যুক্ত ক্ষতকর দূর্গন্ধযুক্ত লিউকোরিয়া। জরায়ুর গহ্বরে ক্যানসার। যৌন মিলনের সময় বমি হইতে চায়। উদরাময় নচেৎ কোষ্ঠবদ্ধতা ঋতুর পূর্বে। ঋতুর বৃদ্ধি পুনঃ পুনঃ পীড়ার প্রকোপ, বরফের মত ঠান্ডা সমস্ত শরীর ঋতুর সময়ে। স্তন শক্ত বেশীর ভাগ লক্ষণ দেখা দেয় নতুন চন্দ্রে। (ট, এস,লায়ার)।

স্ট্যাফিসেগ্রিয়া (Staphysagria) :- জরায়ুর ক্যানসার, ইলহিউমেরয়েড, দুঃখ, খিট খিটে মেয়েলোকদের। উদ্বেগ, ভবিষ্যতের ভয়। খেচুনি যুক্ত যন্ত্রনা যোনিতে পেটের দুর্বলতা অনুভব যেন ফোটা ফোটা পরে। প্রচুর দাঁতের যন্ত্রনা । রোগ জটিল সিফিলিটিক অথবা পারদের বিষাক্ততার কারণে যদি নাইট্রিক এসিড দিয়ে অকৃতকার্য হয়। ভালবার যন্ত্রনা এবং যোনিতে। রক্তের প্রবাহ প্রজননেন্দ্রিয়ের থেকে সন্ধিক্ষণ নিকটবর্তী বয়সে।
(টি, এস, হনি)।

ট্যারেনটুলা (Terentula) :- গর্ভাশয়ের ক্যানসার। ঋতু স্রাব শীঘ্র এবং প্রচুর। জরায়ুর যন্ত্রনা এবং খেচুনি। তীব্র যৌন উত্তেজনা, পুনঃ পুনঃ বৃদ্ধি যৌন মিলনে। যৌনাঙ্গের হাইপারমিয়া এবং হাইপারস্থিমিয়া। ফাইব্রাস টিউমার জরায়ুর, দুঃসহ যন্ত্রনা, রক্ত নির্গত বা শ্বেত প্রদর পরিবর্তিত অবস্থায়। (ক্লার্ক)।

জরায়ুর মুখের ক্যানসারাস ক্ষত, শক্ত গ্রীবা এবং ফান্ডাস। পুরাতন যোনী প্রদাহ দানা দানা যুক্ত(গ্রানুলেশন)। (টি, এস, লায়ার)।

টিউমার, জরায়ুর ফাইব্রাস, দুঃসহ যন্ত্রনা সহ, হয় রক্তস্রাব নয় শ্বেত প্রদর পরিবর্তিত অবস্থায়। (ক্লার্ক)।

ফেলাসপি-বারসা (Thalspi-Bursa) :- জরায়ুর ক্যানসার। তীব্র রক্তক্ষরণ, গর্ভাশয়ের শূলবেদনা এবং আক্ষেপ, ফলাফল গর্ভপাত, মেনুফেজের পরে সার্ভিক্সের অথবা ফাইব্রয়েড ক্যানসার। পুনঃ পুনঃ এবং প্রচুর পরিমাণে ঋতু স্রাব বিশেষ সেই মহিলা যাদের ঢিলা ঢালা গঠন। কালো, জমাট বাধা রক্তক্ষরণ। যেত প্রদর রক্তাভ কালচে। বিরক্তিকর দূর্গন্ধ ঋতু স্রাবের পূর্বে এবং কয়েকদিন পরে। বাদামী সবুজ রক্তস্রাব অজ্ঞাত পেটের যন্ত্রনাসহ। সার্ভিক্স ফোলা নরম কিন্তু ক্ষতহীন। (ক্লার্ক)।

আরও পড়ুন – র‌্যাক্স নং- ৮০ (জরায়ু টিউমার)

থুজা (Thuza) :- গর্ভাশয়ের ক্যানসার। স্থানীয় এবং ভিতরের উভয় ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ আরোগ্যকারী, যদি সাইকোটিক দোসই রোগের উৎস হয়। কলি ফ্লাওয়ার বা ফুলকফির ন্যায় উদ্ভেদ, উহা হইতে সহজেই রক্তপাত হয়, উহা অত্যন্ত তীব্র, ঝাঝালো, দূর্গন্ধযুক্ত। বাহ্য স্ত্রী অঙ্গ অথবা মলদারে আঁচিল বা স্লেষ্মাগুটি বা কন্ডাইলোমেটা যোনিমধ্যে ক্ষত। বাহ্য স্ত্রীঅঙ্গে টাটানি বেদনা। বাহ্য স্ত্রীঅঙ্গে এবং জরায়ুতে খিচুনির ন্যায় বেদনা, জরায়ুর অর্বুদ এবং কর্কটক্ষতে খুজা একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। (টি, এস, হনি)।

থাইরোইডিনাম (Thyroidinum) -: গর্ভাশয়ের ফাইব্রয়েড। অতিরিক্ত স্থূলতা। এটি ভাল কাজ করে, ফেকাসে রোগীর জন্য অতিরিক্ত পাণ্ডুবর্নের রোগীর চাইতে। গ্লান্ড সমূহ ফোলা, পাথরের মত শক্ত । (বরিক)।

ফসফরাস (Phosphorus):- লম্বা পাতলা স্ত্রীলোকের ব্যাধিতে উপযোগী। পেটে শূন্যতা বোধ। পৃষ্ঠ বাহিয়া উত্তাপের সঞ্চালন। কুকুরের বৃষ্টার ন্যায় শুষ্ক সরুমল। পেটে কর্তন বত বেদনা, সেই সঙ্গে সময় সময় বমিও হয়। আহারের পর প্রচুর পরিমাণ উদগার উঠে। জরায়ুর গ্রীবার কর্কট প্রচুর পরিমাণে রক্ত স্রাব হয়, প্রবল ভাবে আসতে থাকে পরে সামান্য সময়ের জন্য কমে। ফ্যাকাশে মাটির মত দেহের বর্ণ, শীর্নতা, প্রচন্ড পিপাসা, ঠান্ডা পানের আকাঙ্খা, অস্থিরতা, বজ্র বিদ্যুৎ, ঝড় হলে খুবই ভীতু শব্দ কাতর।

রেডিয়াম-ব্রোমাইড (Redium Bromide) :– বাতরোগ গ্রস্থা রোগীনিদের জরায়ুর কর্কট রোগে বিশেষ উপযোগী। অনিয়মিত বা বিলম্বিত ঋতুস্রাব, কষ্টরজ। রোগীনী অন্ধকারে বা একাকী থাকিতে ভয় পায়। সর্বদা বিপদের অশঙ্কা, সমান্য করণে উত্তেজনা।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev