বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন

চোখের পীড়া

আরোগ্য হোমিও হল / ১৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সূচীপত্র
সূচীপত্র

চোখের পীড়া

হোমিওপ্যাথিক মানুসিক রোগ ও যৌন চিকিৎসা

ডা: জে. এন. পাত্র

ডি. এম. এস  (কলকাতা ) ও

ডা: আর. এন. চন্দ্র

এম, ডি হোমিও প্রাপ্তন চিকিৎসক কলকাতা।

 

চোখের পীড়া

(১) চোখ লাল হয়, ফোলে, জ্বালা করে, সূর্যের  আলো সহ্য হয় না।

ঔষধ : আর্স -মেট ৬ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২) চোখে বেদনা, চোখ দিয়া জল পড়ে, বাতির আলো সহ্য হয় না।

ঔষধ :  অসমিয়ম ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩) ঠান্ডা জনিত চোখ ওঠা, ফোলে, লাল হয়, প্রদাহ হয়, জ্বালা করে, করকর করে।

ঔষধ : একোনাইট-নেপিলাস ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

(৪) চোখে আঘাত লাগার ফলে কোনো উপসর্গ।

ঔষধ : আর্টিমিসিয়া ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৫) চোখের পাতা ফোলে, চোখে ভয়ানক জ্বালা, যন্ত্রণা, হাজাকারক ও গরম স্রাব।

ঔষধ : আর্সেনিক অ্যালবাম ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৫) চোখের তারায় বেদনা, ভুর কাছে বেদনা, মাথা ব্যথা করে।

ঔষধ : সিমিিিসফিউগা ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৬)  চোখে তীব্র বেদনা, ডান চোখে অধিক।

ঔষধ : রেডিয়ম-ব্রোম ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৭) চোখের পীড়া-সহ গ্ল্যান্ড ফোলা।

ঔষধ : মার্ক-বিণ-আয়োড ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৮) চোখের পাতায় প্রদাহ, কুটকুট করে।

ঔষধ : মার্ক-সল ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য) ।

(৯) চোখ ওঠে, রাত্রে চোখের পাতা জুড়ে যায়।

ঔষধ : মার্ক-সল ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

আরও পড়ুন – আর ৭৮ (চোখে ছানি ড্রপস)

(১০) ডান চোখে বেদনা-সহ মাথা ধরা।

ঔষধ : এজাডিরেক্টা ৬ (৩ ঘন্টা অন্তর সেব্য)।

(১১) চোখ লাল হয়, চোখে পিচুটি পড়ে, চোখ জ্বালা করে।

ঔষধ : আর্জেন্ট-নাইট্রিক ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১২) ভয়ানক ধরনের শিরঃপীড়া ও সেই সঙ্গে চোখে বেদনা।

ঔষধ : প্যাসিফ্লোরা ৪ (৩/৪ ঘন্টা অন্তর সেব্য)।

(১৩) আঁতুড়ে শিশুর চোখ ওঠে।

ঔষধ : মার্ক-সল ৬x (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৪) চোখে পুড়ে যাওয়ার মতো প্রদাহ।

ঔষধ : ক্যান্থারিস ৬ (৩/৪ ঘন্টা অন্তর সেব্য)

(১৫) চোখের দুই পাতাই ফোলা।

ঔষধ : হিপার সলফার ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৬) চোখ রক্তবর্ণের, বেদনা থাকে, জ্বালা- যন্ত্রণা থাকে, জল পড়ে, করকর করে।

ঔষধ : বেলেডোনা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৭) চোখের ছানি অস্ত্র করার পর কিছু চূর্ণ পদার্থ ভেতরে থেকে যায়।

ঔষধ : সেনেগা ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ৬৪ (চোখের ছানি চিকিৎসায় কার্যকর)

(১৮) চোখের পাতার ধার লাল বর্ণ হয়।

ঔষধ : সলফার ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৯) চোখের উপরের পাতা ফোলে।

ঔষধ : ফসফরাস ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৯) চোখ-মুখ-নাক দিয়ে জল পড়ে, জ্বালা করে, করকর করে।

ঔষধ : এলিয়ম-সিপা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(২০) চোখের পাতা নাচে।

ঔষধ : ক্রোকাস ৬ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২১) চোখের ভিতর হুল ফোটায়, করকর করে।

ঔষধ : সালফার ৬ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২২) চোখের ভিতর জ্বালা করে, কুটকুট করে, ঠান্ডা জল লাগলে যন্ত্রণার বৃদ্ধি।

ঔষধ : সালফার ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৩) চোখের উপরাংশে দপদপানি বেদনা।

ঔষধ : থেরিডিয়ন ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৪) চোখে বেদনা, নাকের ডগা লাল, চোখ ফোলে।

ঔষধ : স্যালিক্স-নায়গ্রা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৫) চোখের মাঝখানে ভাসা ক্ষত, জল পড়ে, প্রদাহ হয়, জ্বালা করে।

ঔষধ : গ্র্যাফাইটিস ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

আরও পড়ুন – কেন্ট ৩৯ (চোখের জ্বালা রোগে কার্যকর)

(২৬) চোখের পাতার ধারে প্রদাহ।

ঔষধ : গ্র্যাফাইটিস ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৭) চোখে জ্বালা-যন্ত্রণা, কর কর করে, সন্ধ্যার পর উপসর্গের বৃদ্ধি।

ঔষধ : জিঙ্কাম-মেট ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৮) প্রমেহ দোষ হেতু চোখে প্রদাহ।

ঔষধ : থুজা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৯) চোখের পাতায় আঁচিল, চোখের পাতায় টিউমার, চোখের ভিতরে আঁচিল।

ঔষধ : থুজা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩০) চোখ দিয়ে ভয়ানক জল পড়ে, আলো সহ্য হয় না, মাথাব্যথা থাকে।

ঔষধ : ফেলান্ড্রিয়াম ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩১) চোখের ভিতর ভীষণ বেদনা, ডান অক্ষি- গোলকে ছিঁড়ে ফেলার মতো বেদনা।

ঔষধ : প্রুণাম-স্পাইনোসা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩২) কোনো একটি বস্তুকে দুটি দেখে।

ঔষধ : অরাম মেট ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩৩) দিবান্ধ রোগী, সূর্য ওঠার পর আর কিছু দেখতে পায় না।

ঔষধ : বোথ্রপস ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩৪) রোগী চোখে কুয়াশার মতো দেখে।

ঔষধ : ক্যানাবিস-স্যাটাইভা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

আরও পড়ুন – সিনেরারিয়া মারিটিমা (চোখের ছানি পড়ায় কার্যকর)

(৩৫) রোগী জিনিসপত্র হলদে দেখে।

ঔষধ : এলিউমিনা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩৬) চোখে ছানি, ক্ষীণ দৃষ্টি।

ঔষধ : ন্যাপথালাইন ৬x (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩৭) চোখের কোণে শোষ ঘা।

ঔষধ : পেট্রোলিয়াম ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩৮) ডান চোখে আলো চকচক করে।

ঔষধ : কমোক্লেডিয়া ৬ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩৯) চোখের দৃষ্টি ঝাপসা।

ঔষধ : ক্যালকেরিয়া-ফ্লোর ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪০) কুয়াশার ভেতর দিয়ে দেখছে এমন দৃষ্টি।

ঔষধ : ক্রোকাস ৬ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪১) দৃষ্টিশক্তি কম, চোখের সামনে যেন কালো কালো পোকা উড়ছে।

ঔষধ : ফসফরাস ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪২) হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়, ঝাপসা দেখে।

ঔষধ : সিপিয়া ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪২) চোখের সামনে অসংখ্য কালো কালো বিন্দুর মতো দেখে।

ঔষধ : প্যারাফিন ৬ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪৩) চোখে নানা রকম রঙ দেখে।

ঔষধ : কার্বোনিয়ম-সলফ্ ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪৪) কোনো বস্তুর ডান অর্ধাংশ দেখতে পায় না।

ঔষধ : লিথিয়াম-কার্ব ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪৫) অত্যধিক কুইনাইন সেবনের কারণে চোখে অন্ধকার দেখে।

ঔষধ : চায়না ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪৬) বহুমূত্র রোগীর চোখে ছানি।

ঔষধ :  সিকেলি-কর ২০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪৭) রোগী দুরের জিনিস দেখতে পায় কিন্ত কাছের জিনিস দেখতে পায় না।

ঔষধ : ফাইজসটিগমা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

ঔষধ : ফাইজসটিগমা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪৮) অন্ধকার দর্শন, চোখে নানা প্রকার রঙ দেখতে পায়।

ঔষধ : বেঞ্জিনাম নাইট্রিকাম ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪৯) চোখে কিছু দেখতে পায় না অথবা সামান্য ধোঁয়ার মতো দেখে।

ঔষধ : ল্যাকেসিস ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

আরও পড়ুন –  এন – ৭৮ (চোখের ছানি পড়া ও নানাবিধ চোখের ড্রপস)

(৫০) চোখের পাতায় শুষ্ক মামড়ি।

ঔষধ : গ্র্যাফাইটিস ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৫১) চোখ দিয়ে জল পড়ে।

ঔষধ : মার্ক-সল ৬ বা ইউফ্রেসিয়া ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৫২) চোখে শোষ ঘা।

ঔষধ : এসিড-ফ্লোর ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৫৩) চোখের পাতায় পক্ষাঘাত।

ঔষধ :  কস্টিকাম ৩০ বা কোনিয়াম ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

বি. দ্র. : চোখের পীড়ার যে সব উপসর্গের কথা এখানে বলা হয়েছে সেই সব উপসর্গের সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এইসব ওষুধ ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। সেজন্য সুচিন্তিতভাবে ওষুধ নির্বাচন করা দরকার। তবে এই পুস্তকে উল্লিখিত উপসর্গসমূহকে যদি প্রধান উপসর্গ বলে মনে হয় তাহলে এইসব ওষুধ প্রয়োগেও উপকার হবে।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev