হোমিওপ্যাথিক মানুসিক রোগ ও যৌন চিকিৎসা
ডা: জে. এন. পাত্র
ডি. এম. এস (কলকাতা ) ও
ডা: আর. এন. চন্দ্র
এম, ডি হোমিও প্রাপ্তন চিকিৎসক কলকাতা।
চর্মপীড়ার সঙ্গে নানারূপ মানসিক লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে। কেবলমাত্র চর্মপীড়াটি আরোগ্য করা গেলেই মানসিক লক্ষণও দূর হয়। কিছু কিছু চর্মপীড়া সহজেই সেরে যায়, আবার কিছু কিছু কোনোভাবেই সারতে চায় না। রোগী বা রোগিণীর মধ্যে তখন ভয় বা আশঙ্কার জন্ম হয়। প্রশ্ন : এ পীড়া সারবে তো? এটা কি অন্য কোনো জটিল পীড়ার পূর্ব-লক্ষণ? কেন পীড়াটি সারছে না? পীড়াটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লে কী হবে? এই সব প্রশ্ন রোগী বা রোগিণীকে বার বার উত্যক্ত করে। পীড়া নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত এইসব মানসিক লক্ষণ থেকেই যায়।
(১) খোস-পাঁচড়া, দাদ, নিম্নাঙ্গের একজিমা।
ঔষধ :এসিড-ক্রাইসো ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২) গর্মী পীড়াগ্রস্ত ব্যক্তির চর্মে উদ্ভেদ, নখ কুঁকড়ে যায়, নখে ঘা, হাত-পা ফাটে, অন্ডকোষ ও লিঙ্গের স্থানে চুলকায়।
ঔষধ : সার্সাপ্যারিলা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩) হাত-পায়ের তলায় ও অণ্ডকোষে ভয়ানক চুলকানি।
ঔষধ : এন্টিম-সলফ্ ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪) হাজা বা পাঁকুই রোগ।
ঔষধ : এগারিকাস ৬ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য এবং উক্ত মলম বাহ্যিক প্রযোজ্য)।
(৫) শীতকালে গায়ে দাদের মতো উদ্ভেদ, অত্যন্ত চুলকায়।
ঔষধ : এলিউমিনা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৬) খোস, পাঁচড়া, চুলকানি।
ঔষধ : এচিনেসিয়া ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৭) খোস-পাঁচড়া প্রতি বছর শীতকালে দেখা দেয়।
ঔষধ : এলো ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৮) খোঁস-পাচড়া—ভয়ানক চুলকায়, পুরাতন দাদ।
ঔষধ : এনথ্রাকোকার্লি ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)
(৯) হাতে একজিমা, শুক্লপক্ষে বাড়ে ও কৃষ্ণপক্ষে কমে যায়।
ঔষধ : ক্লিমেটিম ইরেক্টা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(১০) পায়ের তলা ফাটে, পায়ে কড়া।
ঔষধ : এনাকার্ডিয়াম অক্সিডেন্টালিস ২০০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১১) মাথায় একজিমা, মামড়ি পড়ে।
ঔষধ : ক্যালকেলিয়া কার্ব ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১২) মাথার পুঁজপূর্ণ ফুস্কুড়ি, চাবড়ার মতো মামড়ি পড়ে।
ঔষধ : সাইকিউটা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৩) বুকে, পিঠে, ঘাড়ে, হাতে উদ্ভেদ বের হয়—চুলকায়।
ঔষধ : এন্টিম ক্রুড ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৩) ফোস্কার মতো উদ্ভেদ—জ্বালা ও চুলকানি।
ঔষধ : এমন কার্ব ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৪) মাথার পুঁজভরা স্ফোটক।
ঔষধ : এরান্ডো ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৫) কানের পিছন দিকে একজিমা।
ঔষধ : ঔষধ : এরান্ডো ২০০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৬) চামড়ায় টোপ-ওঠা ফোস্কার মতো উদ্ভেদ।
ঔষধ : এনাকার্ডিয়াম ওরিয়েন্ট ৩০ ঔষধ : (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৭) কালো বা নীল রঙের উদ্ভেদ।
ঔষধ : এলান্থাস ২০০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৮) খোস-পাঁচড়া—ভয়ানক দুর্গন্ধ, কপালে ও মাথায় অধিক উদ্ভেদ।
ঔষধ : আর্সেনিক ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৯) গায়ের চামড়া শুষ্ক, খসখসে- অত্যন্ত চুলকায়।
ঔষধ : এলিউমিনা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২০) বসন্তের গুটির মতো গর্তযুক্ত উদ্ভেদ।
ঔষধ : এন্টিম টার্ট ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২১) আঙুলের পশ্চাৎ পৃষ্ঠে একজিমা, হাতে একজিমা।
ঔষধ :ক্রিয়োজট ২০০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২২) গর্ভাবস্থায় স্ত্রী-জননেন্দ্রিয়ের উপর উদ্ভেদ—ভয়ানক চুলকায়।
ঔষধ : ক্যালেডিয়াম ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৩) অন্ডকোযে, উরুতে ও ঘাড়ে হাজা ঘা।
ঔষধ : ওলিয়েন্ডার ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৪) হাঁটুর নীচে ও অন্ডকোযে একজিমা, জল লাগলে চুলকানির বৃদ্ধি।
ঔষধ : ন্যাট্রম-মিউর ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৫) হাতের চেটোর উল্টো পিঠে একজিমা, চামড়া মোটা হয়।
ঔষধ : গ্র্যাফাইটিস ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৬) চর্মে কোনো প্রকার উদ্ভেদ নেই অথচ ভয়ানক চুলকায়।
ঔষধ : ডলিকস ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৭) চর্মপীড়া, ভয়ানক চুলকায়, রক্ত পড়ে, জ্বালা করে।
ঔষধ : কফিয়া ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৮) আমবাত বা আমবাতের মতো উদ্ভেদ।
ঔষধ : কোপেবা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৯) শরীরে লাল বর্ণের দাগ, প্রথমে মুখে হয় —পরে (৭/৮দিন বাদে) সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, ফোলে, জ্বালা করে, অন্ড- কোযে প্রদাহ ও ক্ষত অসহ্য চুলকানি ।
ঔষধ : ইউকর্বিয়ান ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩০) মুখে, লিঙ্গে ও অন্ডকোষে একজিমা।
ঔষধ : ক্রোটন ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩০) সন্ধিস্থলে ও চামড়ার ভাঁজে রসপূর্ণ উদ্ভেদ, অত্যন্ত দুর্গন্ধ ও চুলকানি।
ঔষধ : হিপার সলফার ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩১) চর্মপীড়া—শীতকালে বৃদ্ধি।
ঔষধ : পেট্রোলিয়াম ৩০ বা এলিউমিনা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩২) চর্মপীড়া—শীতকালে উপশম।
ঔষধ : ক্যালি বাইক্রোম ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
আরও পড়ুন – কেন্ট ৩৪ (চর্ম রোগে কার্যকর)
(৩৩) কানের চারপাশে ইরাপশন—রস পড়ে।
ঔষধ : ক্রিয়োজোট ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৪) দাদ—ভয়ানক চুলকায় ও জ্বালা করে।
ঔষধ : মেজেরিয়ম ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৫) পায়ের তলায় ও গোড়ালিতে ভীষণ চুলকানি—যত চুলকায় তত বাড়ে।
ঔষধ : লিডম ৬ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৬) শরীরের নানা স্থানে উদ্ভেদশূন্য চুলকানি।
ঔষধ : এজাডিরেক্টা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
ঔষধ : ম্যাগ্নেসিয়া-কার্ব ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৮) চর্মপীড়া, অসহ্য চুলকানি।
ঔষধ : এসিড-ফ্লোর (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৯) একজিমা, খুব চুলকায়, বগলের ঘামে রসুনের গন্ধ।
ঔষধ : অসমিয়ম ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪০) সন্ধ্যায় গায়ের কাপড় খুললেই ভীষণ চুলকায়।
ঔষধ : এসাইমিনা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪১) শরীর একটু গরম হলেই চুলকায়, চুলকালে রক্ত বেরিয়ে পড়ে।
ঔষধ : সোরিণাম ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪২) সারা শরীর চুলকায়—রোগী চুলকাতে চুলকাতে ছিঁড়ে ফেলে, ঘাড়ে অধিক চুলকানি।
ঔষধ : নিকোলাম ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪৩) লাল বর্ণের উদ্ভেদ বা ফোস্কা—ক্রমশঃ পুড়ে যাবার মতো হয়—পুঁজ জমে, মানড়ি পড়ে।
ঔষধ : রাস-টক্স ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪৪) ফোস্কার মতো উদ্ভেদ—বর্ষায় বৃদ্ধি।
ঔষধ : নার্সিসাস ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)
(৪৫) শরীরের স্থানে স্থানে চুলকায়—ঠান্ডায় বৃদ্ধি, খোঁস-পাঁচড়া—চুলকানি থাকে।
ঔষধ : রিউমেক্স ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪৬) কাপড় খুললেই চুলকানি—আঁশের মতো শঙ্ক উঠে, পুরাতন একজিমা ।
ঔষধ : ক্যালি-আর্স ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪৭) মলদ্বার কুটকুট করে ও চুলকায়।
ঔষধ : স্যাবাডিলা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪৮) মুখের কোণ ফাটে ও ঘা হয়; মুখে ফুস্কুড়ি, অত্যক্ত বেদনা—পাকে।
ঔষধ : ইনডিয়ম ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪৮) মাথায় ও মুখে শুষ্ক একজিমা—মামড়ি পড়ে।
ঔষধ : স্ট্যাফিসেগ্রিয়া ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪৯) রসপূর্ণ একজিমা—রস লেগে নতুন উদ্ভেদ বের হয়—মামড়ি পড়ে—ভয়ানক চুলকার।
ঔষধ : স্ট্যাফিসেগ্রিয়া ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)
(৫০) চর্মপাড়া—চুলকালে খুব আরাম বোধ হয় ও তারপর জ্বালা করে।
ঔষধ : সালফার ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৫১) চর্মপীড়—চুলকানির বৃদ্ধি ঘটে রাত্রে, গরমে ও স্নান করলে।
ঔষধ : সালফার ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৫২) গায়ে কাঁটার মতো উদ্ভেদ।
ঔষধ : স্যাবাডিলা ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৫৩) স্ত্রী-জননেন্দ্রিয়ে ছোট ছোট ফুস্কুড়ি ভয়ানক চুলকায়।
ঔষধ : সিপিয়া ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৫৪) দাদ ও অন্যান্য চর্মপীড়ায় অত্যন্ত চুলকানি।
টেলিউরিয়ম ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।