খাদ্য পরিপাক (Metabolism)
“হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য”
ডাঃ অরবিন্দ সরকার
খাদ্য পরিপাক (Metabolism) Metabolism :- The chemical changes of living metter in the body দেহ মধ্যে সজীব উপদানের রাসায়নিক পরিবর্তন বিপাক। বিপাকের বিঘ্ন ঘটার জন্য ক্যানসার হয় ।
এবার Maurice Finkel Bsc. Msc MED. N. D Fresh hope in cancer, A review of natural methods for prevention, treatment and control of cancer পুস্তক থেকে মূল্যবান তথ্য এখানেতুলে ধরছি। ইনি একজন আমেরিকান Natural Therapist বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করছেন। তাঁর শিক্ষা ও ডিগ্রী Biology, Chemistry, Science education and naturopathy বিষয়ে ।
১৫ বৎসর পূর্বে তিনি পুষ্টি এবং তার সহযোগী স্বাস্থ্য ও রোগ বিষয়ে শিক্ষায় ও গবেষণায় আগ্রহী হন এবং এই সময় বহু গ্রন্থকারের পুষ্টিতত্ত্ব এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখার স্বাভাবিক প্রণালী বিষয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। তিনি বহু চিকিৎসকের যথাসর্ব ডাঃ Max. Gerson Kristine Nalfi, Willium Kelly, Maud Fere, E.H. Smal page. Walter Erner, Josef Jussels, Robert, C. Moerman MD. Bicher Ben er M.D, Wong-Hon,sun MD, Irwin stone, Hans Nieper MD, Alec forbis MADMFRCP.
আরও পড়ুন – ব্রেস্ট বা স্তন টিউমারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
প্রভৃতি খ্যাতনামা চিকিৎসক যারা ক্যানসার নিয়ে বিশেষ গবেষণা করছেন তাদের মতামত তুলে ধরছেন। এই চিকিৎসকগন যদিও কেউ হ্যানিম্যান পন্থী নন তবুও এঁদের গবেষণালব্দ মতামত ক্যানসার রোগীর ও চিকিৎসকের কিছু সাহায্য করবে। তিনি বলেছেন এটা সুনির্দিষ্টভাবেই বলা যায় যে, ক্যানসার আরোগ্যের ক্ষেত্রে বিংশ শতাব্দীর চিকিৎসা ব্যবস্থা (এলোপ্যাথি) প্রচন্ডভাবে ব্যর্থ যদিও বর্তমানের চিকিৎসকগণ আরও বেশী শিক্ষাপ্রাপ্ত এবং অনেক বেশী সুযোগপ্রাপ্ত আগের দিনের অপেক্ষায়। কিন্তু সর্বপরি ক্যানসার রোগের বৃদ্ধির হার ক্রমাগতভাবে শীর্ষগামী । আমেরিকায় কত অকল্পনীয় অর্থ ব্যয় হচ্ছে ক্যানসার রিসার্চের জন্য এবং বহু বছর গত হলো কিন্তু ক্যানসার আরোগ্যের কোন আশা সঞ্চারিতহয়নি। এবং অর্থোত মেডিসিনের চিকিৎসায় ক্রমাগত ব্যর্থতাই এসেছে।
আমেরিকার যে সব চিকিৎসকগণ ক্যানসার চিকিৎসায় পুষ্টি বিধানের চিকিৎসা কারণ তিনি বরং কিছুটা ভালফল পান। কতিপয় চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসায় আগ্রহ দেখিয়েছেন। B17 হলো Lactrile। কতগুলি ক্ষেত্রে কার্যকরী বলে আমি জানি এবং এও জানি অনেক ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়নি কারণ B17 টিউমার সেল সমূহকে আক্রমণ করে কিন্তু দেহের রাসায়নিক বিক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে পারে না, যা প্রথমেই টিউমার সৃষ্টির বা উৎপত্তির কারণ সৃষ্টি করে। টিউমারটি সারিয়ে দিলেও রোগী সারে না কারণ দেহের মেটাবলিজম এতই পরিবর্তিত হয়ে যায় যে রোগীকে বেশীদিন বাঁচতে দেয় না। ক্যানসার জয় করার একমাত্র পন্থাহলো দেহের রাসায়নিক ক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে তোলা, তাহলেই টিউমার স্থায়ী হবেনা। যে কোন চিকিৎসা পদ্ধতি একে অবহেলা করবে সেটা অবশ্যই ব্যর্থ হবে এবং জোর করে চিকিৎসা চালালে মেটাবলিজম ক্রিয়া বিশৃঙ্খলা ঘটাবে, অবশেষে দেহের প্রকৃতিক প্রতিরোধ শক্তিকে হীনতর করবে এবং টিউমারের বৃদ্ধি ঘটাবে ।
আমরা দেখেছি সাজারী, রেডিয়েশন, টক্সিক কেমোথেরাপী এবং অন্যান্য এলোপ্যাথিক ঔষধ ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যর্থ হচ্ছে। এই সমস্ত চিকিৎসা অনেক আশা দিয়েছে কিন্তু এই আশা শীঘ্রই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে এবং প্রতিবছর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। বহু চিকিৎসক, সার্জনসমূহ, প্যাথলজিষ্ট, রেডিওলজিষ্ট অথবা নার্সসমূহ থাকা সত্ত্বেও ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বাড়তির দিকে।
আরও পড়ুন – এইচ আর – ৫৩ (থাইরয়েডের চিকিৎসায় কার্যকর)
আমরা প্রতিনিয়ত যে সব খাদ্য গ্রহন করছি চাল, গম, শাক-সব্জি ইত্যাদি গাছে রাসায়নিক সার প্রয়োগ এবং রোগ পোকা ধ্বংসকারক ঔষধ প্রয়োগের প্রতিক্রিয়া খাদ্যশস্যে ও শাকসবজিতে অবশ্যই বর্তমান থাকে, যে গরুর দুধ খাচ্ছি তারাও তো ঐ বিষাক্ত ঘাস ও খড় খাচ্ছে। তাই দুধও বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে। যদিও এই বিষ দ্রুত ক্রিয়াশীল নয়।
এ্যালুমিনিয়ামের বাসন একটি অন্যতম ক্ষতিকারক বিষয়। এছাড়া Radiactive Wastes from atomic energy বা পারমাণবিক বিস্ফোরণজাত তেজস্ক্রিয় পদার্থ নদ- নদীর জল, কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থে কলুষিত। প্রচুর পরিমাণে মটরযান থেকে নিসৃত বিষাক্ত গ্যাস, সীসা, কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস এগুলি দেহের প্রচন্ড ক্ষতি সাধন করে এবং T.B Cancer প্রভৃতি রোগ সৃষ্টির হেতু স্বরূপ।
তাই তিনি বলেছেন “ The answer to the cancer problem lies in its prevention. If one can keep the food materials as free of toxins as is possible as well as our sources afair and water, than we might all escape this scourage” Dr. Max Gerson :- এর মত হলো সার্জারীতে অনেক সময় কাজ হয় কিন্তু যেখানে টিউমার দেহের ভাইটাল পয়েন্ট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে সার্জারীর দ্বারা আরোগ্য সম্ভব নয়। আর চিকিৎসকের চিন্তার বিষয় হলো Radiation দেবে অথবা Chemo therapy দেবে অথবা দুটোই কিংবা কোনটাই নয় ।
The main reason is that both radiation chemotherapy are very destructive to the body and probably not very successful, অর্থাৎ দুটোই দেহের পক্ষে ধ্বংসকারী এবং সুফল দায়ক নয়।
Dr. Max, Gerson মূলত : বাদ্য ও বায়ুদূষনের উপরই জোর দিয়েছেন, তিনি বাঙ্গছেন পিতার যদি সুস্থ থাকে সবল থাকে এবং জীবনী শক্তি যদি সতেজ থাকে তাহলে বহু রোগই প্রতিরোধ করতে পারে। আগের যুগে মানুষ যখন কলমূল খেয়ে জীবন ধারণ করতো তখন রোগ কম হতো। লিভার কম জোরী হলে অনেক রোগাক্রমণের প্রবণতা বাড়ে একথা তিনি খুব জোর দিয়ে বলেছেন। তিনি টাটকা রুপ শাকসব্জি বাবার উপর জোর দিয়েছেন খুব বেশী। তিনি Radiation treatment এর উপর বিশেষ সাবধান করে দিয়েছেন। রক্তে লক্ষণীয়ভাবে Lymphocytes এর পরিমাণ কমে যাওয়া ক্ষতিকর।
Lymphocytes are the killer of cancer cells after their protective envelops has been removed by Pancreatic digestive enymes. পিঙ্কোসাইট এবং এনজাইম ক্যানসার সেল মেরে ফেলার জন্য ক্রিয়াশীল। তাই স্বভাবতঃই ক্যানসার রোগীদের মধ্যে Lymphocyts এবং Pancreatic enzyme দুটোরই বিশেষ জ্ঞান হতে দেখা যায়। সুতরাং Pancreatic এবং Lymphocyts যাতে বাড়ান যায় বা স্বাভাবিক করা যায় সেটাই হবে চিকিৎসা।
আরও পড়ুন – ফাইটোলাক্কা বেরি ৩x
বিপাকীয় পরিবর্তনে ক্যানসার :- ভাইরাস মানুষের ক্যানসার সৃষ্টিতে কতখানি বাকি পরিমাণ দায়ী সেটা আলোচনার আগে R.N.A., D.N.A. এবং Ribsome কোষের ভিতর কিভাবে প্রোটিন এবং আমিষ সংশ্লেষণ করে তা অনুধাবণ করার চেষ্টা করা যাক। কোষের ভিতর ক্রোমোজোনে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট যে আর, এনএ, স্থানান্তরিত হয়। (Specific transfer R.N.A.) তার অণুর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে অ্যামাইনো এসিড (Amino Acid) সমূহ কার্যকর হয় ও আমিষ (Protein) সংশ্লেষণ করে। এই অ্যামাইনো এসিডগুলো তখন আবার যোগ দেয় রাইবোসোম (Ribosm) আর.এন.এ সমন্বিত একটি দ্বিতীয় অণুতে এবং এইভাবে একটি প্রোটিন শৃঙ্খল রচনা করে। আর এক ধরণের আর.এন.এ. আছে যার নাম দূত আর.এন.এ. ( Messenger R.N.A) এর স্বাতন্ত্র্যদায়ক কাঠামো নির্ণীত হয় কোষের মধ্যে যে ডি.এন.এ. তাই দিয়ে। এই ধরনের ডি.এন.এ. যখন রাইবোজোম গুলির সঙ্গে যুক্ত হয়, তখনই সে নির্নয় করে, কোন ধরনের প্রোটিন সংশ্লেষিত হবে। কোষের ভিতর ভাইরাস ঢুকে পড়লে এই জটিল কার্যধারা ভুল পথে চালিত হতে পারে ক্রোমোজোমের পুর্নবিন্যাস ঘটতে পারে এবং তাদের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে এর ফলে এক ধরনের লিউকিমিয়া (Chronic Granulocytic Leukaemea) হতে পারে। ক্যানসার কি ভাইরাস সংক্রামণ থেকে হতে পারে? এই নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে।
থাইরয়েডের ত্রুটি :- থাইরয়েড গ্লান্ডের কর্মক্ষমতা নিম্নমানের হলে স্নেহ পদার্থের বিপাক ঠিকমত হয় না। ফলে রক্তে কোলেষ্ট্রল এবং ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে যখন বিষধর্মী বা দূষিত (Toxic) পদার্থ থাকে তখন রক্তের সেই অবস্থাকে বলে (Toxicmia)। আর Toxicmia’র সঙ্গে যখন আবার অতিরিক্ত কোলেষ্ট্ররল এবং স্নেহ পদার্থ (লিপিড) থাকে তখন তাকে বলা হয় Lipo-toxicmia. থাইরয়েড এর কর্মক্ষমতা নিম্নমানের হয় খাদ্যগত আয়োডিন অথবা বি-১ ভিটামিনের অভাবে। অতিরিক্ত শর্করা খেলেও বি-১ এর অভাব ঘটতে পারে। এ অবস্থাটিও Cancer হওয়ার জন্য সহায়তা কর।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।