ক্যানসার এর কারণ (Dr. ELL. G. JONES-M.D)
“হামিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য”
ডাঃ অরবিন্দ সরকার
আমেরিকার প্রখ্যাত ক্যানসার চিকিৎসক ডাঃ এলী.জি, জোনস এম.ডি. তার বিশ্বখাত পুস্তক Cancer it Causes, Symptoms and treatmint bfmj নামক পুস্তক ক্যানসার এর কারণ সম্পর্কে তিনি যা লিখেছেন তা তুলে দেওয়া হলো।
“ক্যানসার এর কারণ নিয়ে সুদীর্ঘ কাল থেকেই বহু ববেষণা চলছে, বহু টাকা খরচ হচ্ছে-গবেষণর জন্য হসপিটালে এবং ক্যানসার ইনষ্টিটিউটে। ঔষধ নানা প্রকার আবিস্কৃত হয়েছে নানা সময়ে বারে বারে ক্যানসার আরোগ্যর জন্য, কিন্ত রোগীরা মুত্যু মুখেই চলছে। তিনি বলছেন ইংল্যান্ডে ক্যাসরার মৃত্যুর সংখ্যা গত ৫০ বছর অপেক্ষা ৪.৫ ভাব বেশী। ইউনাইটেড স্টেটে ১৮৯০ খ্রষ্টাব্দে মৃত্যুর সংখ্যা ১৮৫৩৬, ১০০০ খ্রষ্টাব্দে ২৯২২২ এবং বর্তমান সময়ে বছরে ৫০ হাজার এর কম নয়। ৩২ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন এবং ১১ জন স্ত্রীলোদের মধ্যে ১ জন ক্যানসারে মারা যায় প্রতি বছর। ৩৫ বছর বয়সের পরে ১ জন পুরুষ ১৭ জন এবং একজন স্ত্রীলোক প্রতি ৯ জনে ক্যানসারে মারা যায়। (A paper before the philadeiphia Medical Society Sats be – Dr. John. John. A) এর ৩ ভাগ মরা য়ায় অপারেশনে। (আমার মতে পর্শ্চাত্য সভ্যতা যত বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নানা প্রকারের চিকিৎসার বা ঔষদের অপব্যবহার হচ্ছে যার ফলে ক্যানসার এর মৃত্যু সংখ্যা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই)।
বহু চিকিৎসক ক্যানসার বিষকে ধংস করার জন্য নানা শক্তিশালী বিষাক্ত ঔষধ প্রয়োগ করেন কিন্ত তারা এটা চিন্তা করে না এইসব বিষাক্ত ঔষধ জীবনী শক্তিকে অত্যান্ত দুর্বল করে ফেলে, ফলে ক্যানসার আরোগ্য করা সাধ্যের বাইরে চলে যায়।
সভ্য জগতে দ্রুত ক্যানসার রোগ বৃদ্ধির গুরুত্ব পূর্ন কাণ হিসেবে নিন্মবর্নিত অবস্থা সমুহকে ধরা যায় :-
(১) মানসিক উৎকণ্ঠা উদ্বিগ্নতা :- মানসিক উদ্বেগও উৎকণ্ঠা প্রভৃতি স্নায়ু মন্ডিলির কার্য প্রণালীকে দুর্বল করে, স্নায়ুবিক ক্রিয়া ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে থাকে এবং এই ভাবে ক্যানসার আক্রমনের পথ শুলে দেয়। সমস্ত দেশেই যেখানে উন্মাদ রোগী বৃদ্ধি দেখা যাবে সেখানে দেখা যাবে ক্যানসার এর দ্বিতীয় স্থান। চিকাগে শহরে যেখানে বিশ্বের মধ্যে উন্মাদ রোগীর দ্রুত বৃদ্ধি যেখানে ক্যানসারেরও দ্রুত বৃ্দ্ধি ঘটেছে।
(২) ভ্যাকসিনেশান বা টিকা প্রদান :- যে সব রাজ্যে বা দেশে জোর করে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রথা চালু আছে সেখানেই আপনি ক্যানসারের বৃদ্ধি দেখতে পাবেন।
(৩) মাংস আহার :- প্রচুর মাংস আহার ক্যানসার উৎপাদনের কারণ। ইংল্যান্ডে ক্যানসার এর মৃত্যু সংখ্যা ক্রমবৃদ্ধির পথে। পঞ্চাশ বছর আগে যা ছিল বর্তমানে তা অপেক্ষা ২.৫ গুন বেশী। প্রতিটি লোক বছরে গড়ে ১৩১ পাউন্ডের বেশী গো-মাংস ভক্ষণ করে। গো-মাংস, ভক্ষণ কারীদের ক্যানসার অধিক হয়। ২৫টি দেশে মাংস বেশী ব্যবহার হয় খাদ্য হিসাবে। এর মধ্যে ১২টি দেশে ক্যানসারের মৃত্যু সংখ্যা খুব বেশী, পাঁচটিতে মাঝা-মাঝি এবং ১টিতে কম। ১৮৭৫ খ্রষ্টাব্দে বোম্বেতে ক্যানসারের মৃত্যু সংখা ছিল দশ হাজারে ১ জন। ইংল্যান্ডে দশ হাজারে ৫৫ জন। ইজিপ্টে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে যারা রিরামিশাষী তাদরে মধ্যে ক্যানসার কখনও দেখা যায় না। গ্রান্ডট্রাপের মনষ্টারীতে সেখানে খাদ্যের সঙ্গে চা, কফি ও মাংস বর্জিত সেখানে ২৭ বছরেরর মধ্যে একটিও ক্যানসারের রোগী দেখা যায়নি।
(৪) চা ও কফি :- চা এবং কফি পাকস্থলীর আবরক ঝিল্লীতে দুর্বল করে, নার্ভাস সিষ্টেমকে ও দুর্বল করে। ফলে মানুষের দেহমধ্যে নানা প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। যে সব দেশে প্রচুর চা পান করে তাদের ৫ জনের মধ্যে ৩ জনের কোন প্রকারের ডিসপেপসিয়া ও গর হজম হয়, যা পরবর্তিকালে ক্যানসার হয়। আমেরিকা বাসীগণ নার্ভাস জাতিতে এবং হিস্টিরিকাল ব্যাক্তিতে পরিণত হচ্ছে এবং উন্মাদ রোগ ক্রমশঃ বাড়ছে। এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে যদি স্নায়ু শক্তি (Nerve power) স্বাভাবিক মান অপেক্ষা নীচে নেমে যায় তাহালে সেখানে ক্যানসার আক্রমনের বিপদ আসতে পারে (বর্তমানে আবিস্কারকদের মতে চা-ক্যানসার এর উপকার করে। প্রতিদিন চার কাপ চা খেলে হৃদপিন্ডের শক্তি বাড়বে এবং ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে)।
(৫) এলকোহল যুক্ত উত্তেজক পদার্থ :- মদের নেশায় প্রমত্ত অবস্থায় থাকা ক্যানসর আক্রমনের বিশেষ কারণ। যে সব দেশের অধিবাসীগণ প্রচুর মধ্যপান করেন সেখানে ক্যানসার বৃদ্ধির পথে। বিয়ার পানকারী শহর যাথা – মিউনিক, স্টাটগার্ড এবং কোপেন হেগেন ক্যানসার রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেশী। বিশ্বের মানুষ ভাল ভাবে বেচে থাকার পদ্ধতি সমুহকে অবশ্যই জানবে। সর্বক্ষেত্রে আচরে, ব্যবহারে আহারে বিহারে থাকবে সংযম, মধ্যপান এবং মদকতা বর্জন। বিশুদ্ধ জল ও বায়ূ মানুষকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে এবং নির্মল রক্তের সৃষ্টি করে।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।