ক্যানসারের হোমিও চিকিৎসা
হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য
ডাঃ অরবিন্দ সরকার
ক্যানসার চিকিৎসা ক্ষেত্রে চিকিৎসককে ৩টি অবস্থার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে এবং এই তিনটি অবস্থার জন্য রোগ লক্ষণ সংগ্রহ পদ্ধতি তদুনাযায়ী করতে হবে। আমি এই ৩টি অবস্থার Case taking সম্বন্ধে কিছু আলোকপাত করছি ।
(১) ক্যানসার মায়াজম :- বংশগতভাবে প্রাপ্ত হয়ে যে সমস্ত শিশু জন্ম গ্রহণ করেছে এবং নানা প্রকার অস্বাভাবিক লক্ষণ সমূহ শিশু কাল থেকে প্রকাশ পাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে শিশুর মানসিক লক্ষণ, সার্বদৈহিক লক্ষণ, স্থানীয় লক্ষণ (Lacol symptoms), শিশুর কোন অস্বাভাবিক চিহ্ন বর্তমান বা প্রকাশমান আছে কিনা ? শিশুর
বংশ ইতিহাস, নিদ্রা, শয়ন ভঙ্গি, শীত ও গ্রীষ্ম কাতরতা, স্নানে ইচ্ছা-অনিচ্ছা, স্নানের ঠান্ডায়, ঠান্ডা হাওয়ায় উপশম অথবা বৃদ্ধি কোন কোন খাদ্যে খুবই আকাঙ্খা অথবা অরুচি। মল, মূত্র, ঘর্ম, বমন ইত্যাদির কোন অস্বাভাবিকতা আছে কিনা এগুলি রোগী লক্ষণ লিপিবদ্ধ করার সময় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে । এই শিশুর শিশুকাল থেকেই তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সদৃশ হয় এমন একটি এ্যান্টিমায়াজমেটিক ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। শিশুকাল থেকেই যদি তার ধাতুগত (Constitutional remedy) ঔষধ এবং গভীর ক্রিয়াশীল ধাতু দোষঘ্ন ঔষধ নির্বাচনপূর্বক চিকিৎসা করা যায় তা হলে সেই শিশু ভবিষ্যতে আর কখনও ক্যানসারে তো নয়ই কোন কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে না। যদি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নির্দেশ সমূহ সমগ্র জীবন ধরে পালন করে চলেন। অন্যথায় শিশুকালে ধাতুগত চিকিৎসা করলেও পরবর্তী জীবনে যদি ব্যাভিচারে লিপ্ত হয় বা স্বাভাবিক রোগকে অসদৃশ পন্থায় চিকিৎসায় চাপা দিতে থাকে তাহলে তার পরবর্তী জীবন যে সুখদায়ক হবে না সেকথা বলাই বাহুল্য ।
ধাতুগত চিকিৎসার মাঝে যদি কোন অচির রোগ দেখা দেয় তখন চিকিৎসককে ঐ অচির রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে পুনরায় ধাতুগত চিকিৎসা প্রদান করিতে হইবে ।
(২) যুবক অবস্থায় বংশগতভাবে ক্যানসার মায়াজমের প্রাপ্ত হয়ে অনেক কষ্টকর উপসর্গে যখন ভূগতে থাকেন তখনও চিকিৎসককে ঐ একই পদ্ধতিতে লক্ষণ সংগ্রহ করতে হবে। তবে শিশুকালে তার ধাতু দোষ যত তারাতারী বা সহজে অপসারিত করা যায় একটু বেশীবয়সে সেটা ততটা সহজে করা যায় না । এই অবস্থায় যদি রোগী চিকিৎসকের সঙ্গে সহযোগীতা করেন এবং মূল্যবান যন্ত্রের যান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে তাহলে সুদীর্ঘদিন চিকিৎসা করলেই এই অবস্থাতেও রোগিকে আরোগ্য করা অবশ্যই Case taking বা লক্ষণ সংগ্রহ কাজটিই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষণ সপ্তাহ কাজটি নির্দিষ্ট লক্ষণ পদ্ধতি অনুযায়ীই করতে হবে। এই দ্বিতীয় অবস্থায় ক্যানসার ধর্মী লক্ষণ সমূহ যুবক ও জটিল আকারে দেখা গেলেও এই অবস্থায় এখনও দেহের অভ্যন্তরে বা বাইরে ক্যানসারের প্রকাশ ঘটেনাই বা প্রকাশ রূপটি দেখা দেয় নাই।
(৩) ক্যানসার রূপটি দেখা দিয়েছে বা প্রকাশ পেয়েছে তা দেহের অভ্যন্তরে কোন যন্ত্রেই হোক বা বাহিরের কোন অঙ্গে প্রকাশিত হোক। এই অবস্থাটির চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, ক্যানসার এর শ্রেণীতেন, যন্ত্রভেন এবং জীবনীশক্তির অবস্থাভেদে এর আরোগ্য সম্ভাবনা অনেকখানি নির্ভর করে। এই অবস্থায় রোগীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগত লক্ষণ প্রায় সময় চাপা পরে, স্থানীয় জ্বালা যন্ত্রনা ইত্যাদিই তখন প্রকাশমান থাকে। যদি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত লক্ষণ পাওয়া যায় তাহলে প্রথমেই গভীর ক্রিয়াশীল উচ্চ ও উচ্চতর শক্তির ঔষধ ব্যবহার না করে ৩০, ২০০ শক্তির মধ্যেই শক্তিকে সীমাবদ্ধ করে চিকিৎসা করাই নিরাপদ অথবা পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তির নিম্ন থেকে ক্রমোর্দ্ধ শক্তিতে চিকিৎসা করা বাঞ্চনীয়।
আর যখন কোন নির্বাচনযোগ্য লক্ষণ পাওয়া যাবে না তখন রোগীর বাল্যকাল থেকে ইতিহাস সংগ্রহ করে এবং কি কি রোগে ভুগছে সেই সেই রোগের অবস্থায় তৎকালীন লক্ষণ অনুযায়ী কি কি ঔষধ প্রয়োগ করলে সেই অবস্থাটি আরোগ্য করা যেত সেদিকে নজর দিতে হবে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেখানে বর্তমানে
কোন নির্বাচন যোগ্য লক্ষণ পাওয় যায় না। সেখানে ঐ প্রথায় চিকিৎসা করাটাই বিধেয় এটা ডাঃ কেন্টের মত। সাধারণতঃ রোগটির যখন Grjoss Pathological Change বা সার্বিকভাবে দৈহিক টিস্যু সমুহে বা মুল্যবান যন্ত্র সমুহের পরিবর্তন আসে তখন যদি ঔষধ প্রয়োগ যোগ্য লক্ষণ উপস্থিত না থাকে তবে ঐভাবে যান্ত্রিক পরিবর্তন যখন আসে তখন যে ঔষধ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে সেগুলির তালিকা আমারা রেপাররী সমুহে দেখতে পাই।
ক্যানসারের প্রকাশ মান অবস্থায় যখন আমরা রোগীকে পাই তখন কিন্ত সেটি সেখানে প্রকাশ পয়েছে সেই স্থানেরই ক্যানসার রোগ নয়, তখন ক্যানসার বিষ সমগ্র দেহের রক্তে কোষ সমুহে, নিউক্লিয়াস, ক্রোমোমজ, ডিিএন.এ প্রভৃতির মধ্যে সংক্রমিত হয়ে পড়ে তাই সমগ্র দেহাভ্যন্তর থেকে ক্যানসার বিষকে ধব্বংস করতে না পারলে নির্মল আরোগ্যদান সম্ভব নয়। ক্যানসার চিকসা নিয়ে হেমিও চিকিৎসকগণ সূদীর্ঘকাল গবেষণা ও পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বহু ঔষধ আবিস্কার করেছেন যাহা রোগের লক্ষণ অনুযায়ী প্রদান করে রোগীকে আরোগ্য করতে হবে।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।