কারমিনা (Carmina Syrup) পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক, বায়ুনাশক ও হজমকারক ঔষধ।
প্রস্তুত প্রণালী : হামর্দদ।
কার্যকারিতা : বমি ও বমিভাব রোধক, হজমকারক, বায়ুনাশক ও রুচিবর্ধক ঔষধ।
ঔষধ ব্যবহার : অম্লাধিক্য, পেট ফাঁপা, বায়ুজনিত পেট ব্যথা, বদহজম, ক্ষুধামান্দ্য, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাকস্থলীর দুর্বলতা, লিভারের দুর্বলতা, বমি ও বমিভাব, চুকা ঢেকুর, বুক জ্বালা-পোড়াইত্যাদি ।
ঔষধের বর্ণনা : কারমিনা সিরাপটি সাধারণত পাকস্থলীর দুর্বলতা, লিভারের দুর্বলতা, হজমের দুর্বলতা, অম্লাধিক্য, পেট ফাঁপা, বায়ুজনিত পেট ব্যথা, অরুচি, চুকা ঢেকুর, বমিভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় কার্যকরী। কারমিনা হজমের যাবতীয় গোলযোগ ও রোগ ব্যাধি দূর করার কাজে বিশেষভাবে কার্যকরী। কারমিনা লিভারের বিপাকীয় কার্যক্রম অত্যন্ত সুন্দরভাবে সংশোধন করে। কারমিনা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং লিভার ও পাকস্থলীর কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রের ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে।
উপাদান: সিরাপ: প্রতি ৫ মিলি সিরাপে আছে (জলীয় নির্যাস আকারে):
(1) Piper nigrum (গোলমরিচ) ১৫০ মিগ্রা।
(2) Citrus aurantifolia (লেবু) ১০০ মিগ্রা।
(3) Trachyspermum ammi (জৈন) ১০০ মিগ্রা।
(4) Cinnamomum zeylanicum (দারচিনি) ৫০ মিগ্রা।
(5) Emblica officinalis (আমলকী) ৫০ মিগ্রা।
(6) Terminalia chebula (হরীতকী) ৩৮ মিগ্রা।
(7) Terminalia bellirica (বহেড়া) ৩৮ মিগ্রা,।
(8) Zingiber officinale (শুষ্ক আদা) ১০ মিগ্রা।
(9) Sea salt (সামুদ্রিক লবণ) ৮ মিগ্রা এবং অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত।
ট্যাবলেট: প্রতি ট্যাবলেটে আছে-
(1) Piper nigrum (গোলমরিচ) ৬০ মিগ্রা।
(2) Citrus aurantifolia (লেবু) ৪০ মিগ্রা।
(3) Trachyspermum ammi (জৈন) ৪০ মিগ্রা।
(4) Cinnamomum zeylanicum (দারচিনি) ২০ মিগ্রা।
(5) Emblica officinalis (আমলকী) ২০ মিগ্রা।
(6) Terminalia chebula (হরীতকী) ১৫ মিগ্রা।
(7) Terminalia bellirica (বহেড়া) ১৫ মিগ্রা।
(8) Zingiber officinale (শুষ্ক আদা) ৪ মিগ্রা।
(9) Sea sal (সামুদ্রিক লবণ) ১৬ মিগ্রা এবং অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত।
ঔষধ সেবনবিধি :
সিরাপ: প্রাপ্ত বয়স্ক: ২ চা চামচ (১০ মিলি) দৈনিক ২ থেকে ৩ বার সেব্য।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক: ১/২ থেকে ১ চা চামচ (২.৫-৫ মিলি) দৈনিক ২ থেকে ৩ বার সেব্য অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
ট্যাবলেট: প্রাপ্ত বয়স্ক: ১-২ ট্যাবলেট; অপ্রাপ্ত বয়স্ক: ১/২-১ ট্যাবলেট দৈনিক ২ থেকে ৩ বার সেব্য অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
অম্লাধিক্য: ২ চা চামচ (১০ মিলি)/২ ট্যাবলেট আহারের পূর্বে দৈনিক ২ বার সেব্য।
পেট ফাঁপা ও বুক জ্বালা-পোড়া: ২ চা চামচ (১০ মিলি)/২ ট্যাবলেট আহারের পর সেব্য।
পেট ব্যথা: ২ চা চামচ (১০ মিলি)/২ ট্যাবলেট ঈষদুষ্ণ পানিসহ সেব্য।
ব্যথা না কমলে ১ ঘন্টা পর পুনরায় ২ চা চামচ (১০ মিলি)/২ ট্যাবলেট সেব্য।
তীব্র বদহজম: ২ চা চামচ (১০ মিলি)/২ ট্যাবলেট পানিসহ সেব্য।
দীর্ঘমেয়াদী বদহজম: ১-২ চা চামচ (৫-১০ মিলি)/১ ট্যাবলেট আহারের পূর্বে এবং পরে সেব্য।
ক্ষুধামান্দ্য: নাস্তার পর ১-২ চা চামচ (৫-১০ মিলি)/১ ট্যাবলেট নাস্তা ও দু’বেলা আহারের পূর্বে সেব্য।
কোষ্ঠকাঠিন্য: ২ চা চামচ (১০ মিলি)/২ ট্যাবলেট রাতে শয়নের পূর্বে ঈষদ্ষ্ণু পানিসহ সেব্য।
পাকস্থলী ও লিভারের দুর্বলতা: ২ চা চামচ (১০ মিলি)/২ ট্যাবলেট আহারের পূর্বে দৈনিক ২ বার সেব্য।
বমি ও বমিভাব: ১ চা চামচ (৫ মিলি)/১ ট্যাবলেট সেব্য।
(বিঃ দ্রঃ বমি ও বমিভাব এর ক্ষেত্রে ট্যাবলেট চুষে চুষে খেতে হবে)।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।।
বিশেষ সতর্কতা : শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
সংরক্ষণ : আলো-বাতাস থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
পরিবেশনা : সিরাপ: এম্বার বোতলে ৪৫০ মিলি, ২২৫ মিলি ও ১০০ মিলি সিরাপ।
ট্যাবলেট : স্বচ্ছ বোতলে ৬০টি ট্যাবলেট।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।