বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

এইচ আর – ৬৪ (চোখের ছানি চিকিৎসায় কার্যকর)

আরোগ্য হোমিও হল / ৯৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:৫৭ অপরাহ্ন
এইচ আর - ৬৪ (চোখের ছানি চিকিৎসায় কার্যকর)

এইচ আর – ৬৪ (চোখের ছানি চিকিৎসায় কার্যকর)

ক্যাটাগরি : কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, পাকিস্তান।

প্রস্তত প্রণালী : এইচআর মাসুদ/হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত।

ব্যবহার : এইচ আর – ৬৪ চোখের ছানি চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

এইচ আর – ৬৪ বর্ণনা :

ক/ এইচ আর – ঔষধ ৬৪ ছানি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

খ/ ছানিজনিত কারণে লেন্সের ক্লাউডিং এ ব্যবহার হয়।

গ/ চোখের জ্বালা ও প্রদাহ কমায়তে সাহায্য করে।

ঘ/ চোখের পেশীর দুর্বলতায় কার্যকরী।

ঙ/ ছানি প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।

এইচ আর – ৬৪ চোখের ছানি ভূমিকা :

চোখে ছানি : টিস্যু ভাঙ্গন এবং প্রোটিন জমাট বাঁধার ফলে চোখের লেন্সের ক্লাউডিং বা স্বচ্ছতা নষ্ট হয়ে যায়। লেন্স বেশির ভাগই পানি ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। প্রোটিনটি যা একটি সুনির্দিষ্ট উপায়ে সাজানো হয়েছে চোখের লেন্সটিকে পরিষ্কার রাখে এবং এর মধ্য দিয়ে আলো চলাচল করে । বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সী লোকেদের দৃষ্টি হারানোর সবচেয়ে বেশি দেখা যায় যা এটা সাধারণ কারণ।

চোখে ছানির প্রকারভেদ :

১/ সাবক্যাপসুলার ছানি : লেন্সের পিছনে ঘটে বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে বা স্টেরয়েড ওষুধ বেশি মাত্রায় গ্রহণ করেন তাদের সাবক্যাপসুলার ছানি হওয়ার ঝুঁকি বেশি।।

২/ নিউক্লিয়ার ক্যাটারাক্ট : লেন্সের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে নিউক্লিয়াস গভীরে গঠন করে থাকে। নিউক্লিয়ার ছানি সাধারণত বার্ধক্যে জীবনে হয়ে থাকে।

৩/ কর্টিকাল ক্যাটারাক্ট : সাদা, কীলকের মতো অস্পষ্টতা দেখা দ্বারা চিহ্নিত করা হয় যা লেন্সের পরিধি থেকে শুরু হয় এবং একটি স্পোকের মতো ফ্যাশনে কেন্দ্রে চলে যায়।

চোখে ছানির কারণ :

ক/ অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ ব্যবহার।

খ/ ডায়াবেটিস রোগ।

গ/ উচ্চ রক্তচাপ রোগ।

ঘ/ স্থূলতা বা মেদ পুর্ণদেহ।

ঙ/ ধূমপান করা।

চ/ কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধের দীর্ঘদিন ব্যবহার।

ছ/ পূর্বে চোখের সার্জারি হয়েছে।

জ/ হরমন প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা করেছে।

ঝ/ বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল সেবন।

ঞ/ উচ্চ মায়োপিয়া।

ট/ পারিবারিক ইতিহাস বা বংশীয় এধরণে রোগ আত্রান্ত হয়ে থাকলে।

চোখে ছানির লক্ষণ :
ছানি সাধারণত ধীরে ধীরে গঠন করে এবং লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় যেমন –

১/ দৃষ্টি মেঘলা, ঝাপসা, কুয়াশাচ্ছন্ন বা ফিল্মি মতো দেখা।

২/ নিকটদৃষ্টি বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়।

৩/ রাতে গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়।

৪/ আক্রান্ত চোখে দ্বিগুণ দৃষ্টি দেখে।

৫/ চশমা নিয়ে সমস্যা।

চোখে ছানির ইঙ্গিত: চোখে ছানি হলো চোখের ভিতরের লেন্সের মেঘলা এলাকা যা সাধারণত পরিষ্কার থাকে, ছানি বয়সের সাথে সম্পর্কিত, জন্মগত, ডায়াবেটিস, প্রদাহজনক এবং আঘাত করণে হতে পারে। ছানি টিস্যু নরমভাবে দ্রবীভূত করা এবং তাদের শরীরে শোষণ করে যা অপটিক স্নায়ুকে সর্বোত্তম ভাবে কাজ করার জন্য উদ্দীপিত করে। ইন্ট্রাওকুলার চাপকে স্বাভাবিক করে। আরও অপটিক স্নায়ুর অবক্ষয় রোধ প্রতিরোধ করে।

চোখে ছানির  ফার্মাকোলজি:
এইচ আর – ৬৪ চোখে ছানি পড়া প্রতিরোধ করে ছানি দ্রবীভূত করে। চোখের প্রাকৃতিক লেন্স মেঘলা হয়ে গেলে চোখে ছানি পড়ে, যাহার ফলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়। এইচ আর – ৬৪ ঔষধ সেবনে চোখের টিস্যুতে সঞ্চালন বাড়ায়, স্বাভাবিক বিপাককে সাহায্য করে। ছানির এই অবস্থার বিরুদ্ধে একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা এবং র‌্যাডিক্যাল ক্ষতির কারণে ছানির আরও বিকাশ রোধ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ছানি গঠনকে ধীর করে দিতে পারে এবং প্রোটিজ ইনহিবিটরগুলি লেন্স প্রোটিনের ভাঙ্গন রোধ করে। তাদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব ছাড়াও, অ্যান্থোসায়ানিনগুলি ডিএনএকে স্থিতিশীল করে, অ্যাডিপোসাইট জিনের অভিব্যক্তি পরিবর্তন করে, ইনসুলিন নিঃসরণ এবং সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং অ্যান্টিঅ্যাপোপ্টোটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব রয়েছে।

এইচ আর – ৬৪ ঔষধ সেবন বিধি : ২০ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। শিশুরা ৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।

বিশেষে দ্রষ্টব্য : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না এতে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। ঔষধ সেবনে পুর্বে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ। লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকলে, আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

বিশেষ সর্তকর্তা : গর্ভবতী মহিলারা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন সম্পন্ন নিষেধ।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এইচ আর – ৬৪ ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা নাই।

ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ থেকে দুরে, শীতল ও শুস্ক স্থানে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev