এইচ আর – ৪৮ (কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর)
ক্যাটাগরি : কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, পাকিস্তান।
প্রস্তত প্রণালী : এইচআর মাসুদ/হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত।
ব্যবহার : এইচ আর – ৪৮ উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়।
এইচ আর – ৪৮ কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বর্ণনা :
ক/ এইচ আর – ৪৮ উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী।
খ/ যকৃত এবং পিত্তথলির প্রদাহে ব্যবহার করা হয়।
গ/ পিত্তথলির পাথর দ্রবীভূত করতে অত্যান্ত কার্যকর।
ঘ/ লিভারের অপ্রতুলতার কারণে হজমের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
ঙ/ এটি শরীরের স্বাভাবিক কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখে সাহায্য করে।
চ/ এটি ট্রাইগ্লিসারাইডের জমাট বাঁধা থেকে ধমনীকে রক্ষায় কাজ করে।
এইচ আর – ৪৮ কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা:
কোলেস্টেরল হল মোমযুক্ত চর্বি যা মানবদের শরীরের সমস্ত কোষে পাওয়া যায়। হরমোন, ভিটামিন ডি ও খাদ্য হজমে সাহায্য করে এমন পদার্থ তৈরির জন্য শরীরের কিছু কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয়। কোলেস্টেরল বিশেষ করে প্রাণীর উৎস থেকে পাওয়া যায়। খাবারে যেমন ডিমের কুসুম, মাংস এবং পানি থেকে পাওয়া যায়। যদি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হয় তা রক্তের অন্যান্য পদার্থের সাথে মিলিত হয়ে ফলক তৈরি করে। এটি প্লাক ধমনীর দেয়ালে লেগে থাকে। ফলকের এই গঠন এথেরোস্ক্লেরোসিস নামে পরিচিত। এটি করোনারি ধমনী রোগের দিকে পরিচালিত হয়, যেখানে করোনারি ধমনী সংকীর্ণ অথবা এমনকি অবরুদ্ধ হয়ে যায়। সাধারণত কোলেস্টেরল রক্তে লাইপোপ্রোটিন দ্বারা বাহিত হয়। লাইপোপ্রোটিন হল উচ্চ-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (HDL) এবং নিম্ন-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (LDL)। এইচডিএল মানেই উচ্চ-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন। এটিকে কখনও কখনও “ভাল” কোলেস্টেরল বলা হয়ে থাকে কারণ এটি শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে লিভারে কোলেস্টেরল বহন করে থাকে। লিভার শরীর থেকে কোলেস্টেরল বের করে দেয়। LDL মানেই হল লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন। এটিকে কখনও কখনও “খারাপ” কোলেস্টেরল বলা যায়। কারণ উচ্চ এলডিএল স্তর ধমনীতে প্লেক তৈরির দিকে সাধরণত পরিচালিত করে।
এইচ আর – ৪৮ কোলেস্টেরল মাত্রা কারণ :
ক/ উচ্চ কোলেস্টেরলের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনধারণ।
খ/ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন – খারাপ চর্বি খাওয়া এক প্রকার স্যাচুরেটেড ফ্যাট, দুগ্ধজাত পণ্য, কিছু মাংস, চকোলেট, বেকড পণ্য এবং গভীর ভাজা পোড়া। এমনকি প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া যায়। এছাড়া ও আরেকটি প্রকার হচ্ছে – ট্রান্স ফ্যাট, কিছু ভাজা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে। এই চর্বি খাওয়া এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পতে পারে।
খ/ প্রচুর বসা ও সামান্য ব্যায়াম সহ শারীরিক কার্যকলাপের অভাব। এটি সাধরণত এইচডিএল (ভাল) কোলেস্টেরল কমায়।
গ/ ধূমপান সাধারণত এইচডিএল কোলেস্টেরল কমায়, বিশেষ করে মহিলাদের। এটি এলডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়।
ঘ/ উচ্চ রক্তের কোলেস্টেরল বংশগত ভাবে হতে পারে। উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল এনজাইনা অথাৎ (হৃদরোগের কারণে বুকে ব্যথা), উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য সংবহনজনিত অসুস্থতা সহ অন্যান্য উপসর্গগুলির জন্য জীবনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
এইচ আর – ৪৮ কোলেস্টেরল মাত্রাা ইঙ্গিত :
কোলেস্টেরল একটি লিপিড যা লিভারে উৎপান্না হয়। কোলেস্টেরল শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে সব কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল বাড়ে যেমন – অত্যধিক চর্বি গ্রহণ, অস্বাস্থ্য পরিবেশে জীবনযাপন, অতিরিক্ত ওজন এবং ধূমপান উচ্চ কোলেস্টেরল স্তরের প্রধান কারণ। উচ্চ কোলেস্টেরল স্তরের এথেরোস্ক্লেরোসিস এর কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি, এনজাইনা এবং স্ট্রোকের মতো বিপদ হতে পারে। এইচ আর – ৪৮ উচ্চ কোলেস্টেরলের খারাপ প্রভাব কমিয়ে দেয় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
এইচ আর – ৪৮ ঔষধ সেবন বিধি : ২০ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। শিশুরা ৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। সুস্থ হলে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করুন। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।
বিশেষে দ্রষ্টব্য : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না এতে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। ঔষধ সেবনে পুর্বে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ। লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকলে, আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
বিশেষ সর্তকর্তা : গর্ভবতী মহিলারা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন সম্পন্ন নিষেধ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এইচ আর – ৪৮ ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা নাই।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ থেকে দুরে, শীতল ও শুস্ক স্থানে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।