এইচ আর – ২১ (মাসিক সমস্যায় কার্যকর)
ক্যাটাগরি : কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, পাকিস্তান।
প্রস্তত প্রণালী : এইচআর মাসুদ/হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত।
ব্যবহার : এইচ আর – ২১ (FEMINA) মাসিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
এইচ আর – ২১ মাসিক সমস্যার বর্ণনা :
ক/ এইচ আর – ২১ মহিলাদের মাসিক সমস্যা এবং সংশ্লিষ্ট জটিলতার জন্য ভাল ঔষধ।
খ/ পেটে ক্র্যাম্প সহ বেদনাদায়ক মাসিকের ক্ষেত্রে কার্যকরী।
গ/ খুব তাড়াতাড়ি ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে খুব কার্যকরী প্রায়ই গাঢ় বা স্ট্রিং স্রাব ইত্যাদি।
ঘ/ জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের কারণে স্বল্প মাসিকে ব্যবহার করা হয়।
ঙ/ মাসিক চক্র এবং মহিলা হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে ।
চ/ এছাড়াও লিবিডো, স্নায়বিক দুর্বলতা এবং খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদিতে কার্যকর।
এইচ আর – ২১ মাসিক সমস্যায়র ভূমিকা :
মাসিক চক্র হল একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক ব্যপার যা মহিলাদের প্রজনন ব্যবস্থায় ঘটে যা গর্ভাবস্থাকে সম্ভব করে তোলে। মাসিক চক্রটি oocytes উৎপাদনের জন্য এবং গর্ভাবস্থার জন্য বা জরায়ুর প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন। সাধারণত হরমোনের উত্থান এবং পতনের কারণে মাসিক চক্র ঘটে।
ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এবং রক্তের প্রবাহ বেশি হলে ঋতুস্রাবের প্রথম বা দুই দিনে বেশিরভাগ মহিলাই কিছু লক্ষণ অনুভব করেন।
এইচ আর – ২১ মাসিকের কিছু স্বাভাবিক শারীরিক লক্ষণ :
১/ পেটের বাধা।
২/ কোমল স্তন ব্যথা।
৩/ পেশী aches।
৪/ মাথাব্যথা।
৫/ ব্রণ।
৬/ সংযোগে ব্যথা।
৭/ নিম্ন ফিরে ব্যথা।
৮/ ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য।
এইচ আর – ২১ মাসিক রোগের প্রকারভেদ :
পিরিয়ডের আগে বা চলাকালীন সময়ে এক বা একাধিক উপসর্গ যদি সমস্যা সৃষ্টি করে, তাহলে নারীদের “মাসিক চক্রের ব্যাধি” হতে পারে।
তা নিন্মে দেওয়া হলো :
ক/ অস্বাভাবিক জরায়ু রক্তপাত (AUB), যাহার মধ্যে ভারী মাসিক রক্তপাত হওয়া, মাসিকের রক্তপাত না হওয়া (অ্যামেনোরিয়া) অথবা পিরিয়ডের মধ্যে রক্তপাত (অনিয়মিত মাসিক রক্তপাত) অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
খ/ ডিসমেনোরিয়া বা বেদনাদায়ক মাসিক।
গ/ প্রিম্যানস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম (PMS)|
ঘ/ মাসিকের আগে ডিসফোনিক ডিসঅর্ডার (PMDD)|
এইচ আর – ২১ মাসিক রোগের ইঙ্গিত :
মেনার্চে স্বাভাবিক ব্যপার। হরমোনের ব্যাধি প্যাথলজিকাল বা শারীরবৃত্তীয় হতে পারে। হরমোনজনিত ব্যাধির কারণে মহিলারা যে সমস্যাগুলির মুখোমুখি হন তা হল ডিসমেনোরিয়া, অস্বাভাবিক জরায়ু থেকে রক্তপাত, প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম, মেনোরেজিয়া, পলিমেনোরিয়া, মেট্রোরেজিয়া, ইন্টারমেনস্ট্রুয়াল ব্লিডিং, ইত্যাদি। এইচ আর – ২১ ঔষধ স্বাভাবিক মাসিক প্রবাহকে নিয়মিত করতে সমস্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এইচ আর – ২১ ঔষধ সেবন বিধি : ২০ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। শিশুরা ৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। সুস্থ হলে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করুন। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।
বিশেষে দ্রষ্টব্য : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না এতে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। ঔষধ সেবনে পুর্বে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ। লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকলে, আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
বিশেষ সর্তকর্তা : গর্ভবতী মহিলারা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন সম্পন্ন নিষেধ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এইচ আর – ২১ ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা নাই।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ থেকে দুরে, শীতল ও শুস্ক স্থানে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।