ঋতুস্রাব কালীন ৪ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের ঋতুস্রাব কালীন ৪ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত তা নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
ঋতুস্রাব সব প্রাপ্তবয়স্ক নারীর এটি একটি স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এ সময় অনেক রক্তক্ষয় হওয়ার কারণে নারীর শরীরে আয়রনের অভাব তৈরি হতে পারে। ঋতুস্রাবের সময়ে মহিলাদের খাওয়া দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখতে হবে, যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এসব খাবার সম্পর্কে :
(ক) পালং শাক : পালং শাকে কম ক্যালরি হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এ ছাড়া এতে ভিটামিন সি পাওয়া যায় অনেক। পালং শাক শরীরের যে কোনো রকমের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(খ) ছোলা : ছোলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এটি একটি শক্তির উৎস। ছোলা পানিতে ভিজিয়ে কাঁচাও খেতে পারেন। আর রান্না করে পেঁয়াজ-শসা দিয়ে মেখেও খেতে পারেন।
(গ) দই-চিড়া : চিড়ায় ভিটামিন বি১, আয়রন, ফাইবার ছাড়াও আরও এতে রয়েছে অনেক খনিজ রয়েছে। ঋতুস্রাবের সময়ে যে সব নারীর পেটে যন্ত্রণা বেশি হয়, সে সব নারী দই-চিড়া খেতে পারেন। এ খাবার প্রশান্তি এনে দেবে।
(ঘ) গুড় : চিনির চেয়ে গুড় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর থাকার। গুড়ে বেশ আয়রনও রয়েছে, যা আমাদের মানবদেহে প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ছাড়াও চা-কফি-শরবত-লাচ্চিতেও চিনির বদলে গুড়ের ব্যবহার করতে পারেন।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।