Adel -78 (Eczema, Psoriasis, Bladder, Abscess)।
অ্যাডেল নং – ৭৮ (একজিমা, সোরিয়াসিস, মূত্রাশয়, ফোড়া)।
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো অ্যাডাল নং -৭৮ (একজিমা, সোরিয়াসিস, মূত্রাশয়, ফোড়া) কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি মলম নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
প্রস্তুত প্রণালী : জার্মান হোমিওপ্যাথি কম্বিনেশন মলম।
আরও পড়ুন – বায়ো-কম্বিনেশন ২০ (চর্ম, ত্বক, ব্রণ, হারপিস)
ব্যবহার : অ্যাডাল -৭৮ ডার্কাট জিআইজি মলম : সাধারণ চর্মরোগের জন্য ব্যবহার হয় যা এজজিমা, সোরিয়াসিস, নিউরোডার্মাটাটিস, পিম্পলস (ব্রণ ভালগারিস), বায়: সন্ধিকালে ফুসকুড়ি, ফোঁড়া, হারপিস, পোকামাকড়রে কামড় ইন্টারট্রিগো ও ইউরটিকেরিয়া ব্যবহার করা হয়।
অ্যাডাল -৭৮ ডার্কাট জিআইজি মলম এর বিশেষ লক্ষণ : সোরিয়াসিস, ব্রণ (ব্রণ ভালগারিস), একজিমা, ছত্রাক এবং অন্যান্য চর্মরোগের জন্য ব্যাবহার করা হয়।
অ্যাডাল -৭৮ ডার্কাট জিআইজি মলম এর উপকারতিা :
ব্রণ, সোরিয়াসিস, একজিমা, আমবাত, ফুসকুড়ি, হার্পিস জোস্টার ইচিং ডার্মাটাইটিস, ইমপেটিগো, পোকামাকড়রে মামড়, কার্বঙ্কেল ও ফুরাঙ্কালস, কিছু ত্বকের ব্যাধি এটি অভ্যন্তরীণ নেশার কারণে হতে পারে যা শরীরকে আচ্ছন্ন করে দেয়। উদাহরণ স্বরুপ, পিউবেসন্ট ব্রণ আংশিকভাবে অন্ত্র ও ইউরোজিক্যাল ট্র্যাক্টেও মাধ্যমে বিপাক এবং বিষাক্ত পদার্থ নিমূল করতে শরীরের অক্ষমতার কারণেই ঘটে। এছাড়াও অপাচ্য খাদ্য কণা বা ব্যাকটেরিয়াকে রক্ত প্রদাহে প্রবেশ করতে সক্ষম করে, যার ফলে লিভার, কিডনি, ত্বক এবং অন্যান্য মলতাগকারী অঙ্গগুলি সিস্টেমিক নেশা সৃষ্টি করে। অফবষ-৭৮ মলম ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণ, লিম্ফ্যাটিক প্রদাহ সফলভাবে এই অবস্থার চিকিৎসা করতে পারে।
অ্যাডাল -৭৮ ডার্কাট জিআইজি কম্বিনেশন মলম এর মিশ্রণ :
(ক) ক্রিয়োজোটাম 6x (kreosotum 6x)।
(খ) ইউফোরবিয়া রেসিফাইনেরা 4x (Euphobia resinifera 4x)।
(গ) হাইড্রাস্টিস ক্যানাডেনসিস 3x (Hydrastis Canadensis 3x)।
(ঘ) বেলিস পেরেনিস 8x (Bellis perennis 8x)।
(ঙ) রাস টক্সিকোডেন্ড্রন 8x (Rhus Toxicodendron 8x)।
(চ) সেম্পারভিভাম টেক্টোরাম 3x (Semperbihm tectourum 3x)।
(ছ) ভায়োলা ট্রাইকালার 2x (Viola tricolor 2x)।
(জ) ভিনকা মাইনর 3x (Vinca Minoor 3x)।
অ্যাডাল -৭৮ ডার্কাট জিআইজি মলম এর কার্যকারিতা :
(১) ক্রিয়োজোটাম (Kreosotum) : আলসার ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। এটি পুঁজ (পুঁজযুক্ত ত্বকে ছোট ফোস্কা অথবা পিম্পল) এটি ক্ষতগুলির জন্য জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে।
(২) ইউফোরবিয়া রেসিফাইনেরা (Euphobia resinifera) : ত্বকের প্রদাহ এবং ফুলা, ত্বকের লালভাব বা বিস্ফোরণের মতো বৎুংরঢ়বষং ফোলা, লাল, চুলকানি এবং কামড়ানো প্রকৃতির দেখা যায়।
(৩) হাইড্রাস্টিস ক্যানাডেনসিস (Hydrastis Canadensis) : অস্বাস্থ্যকর ত্বক, চিকেন পক্স, স্মল পক্স এবং অন্যান্য বিভিন্ন খারাপ ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
(৪) বেলিস পেরেনিস (Bellis perennis) : স্ফীত ত্বকের এক্সসুডেট কোষের ভর এবং তরল বের হয়ে গেছে, ইরিসিপেলস, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে বারবার হওয়া রোগ, ত্বকে বড় লাল দাগ দ্বারা চিহ্নিত হয় এবং জ্বলন্ত এবং বেদনাদায়ক ব্রণ এর চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
(৫) রাস টক্সিকোডেন্ড্রন (Rhus toxidendron) : সবচেয়ে সাধারণ ত্বকের রোগ erysipels, হারপিস যেমন – হার্পিস ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট ভাইরাসজনিত রোগ যা ত্বককে প্রভাবিত করে ফুসফুস, ব্যাকটেরিয়া এবং পুঁজ প্রদাহজনক অবস্থার চিকিৎসায় কার্যকর।
(৬) সেম্পারভিভাম টেক্টোরাম (Sempervivum tectorum) : erysipels অবস্থা, আহত ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। এটি হারপিস জোস্টার (হার্পিস ভাইরাস যা দাদ এবং চিকেনপক্স সৃষ্টি করে) এর জন্য ভাল প্রতিকার হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও স্ক্রোফুলাস একজিমা, ক্রাস্টা ল্যাকটিয়া এবং ইমপেটিগো এফ্লোরেস-সেন্সের বিরুদ্ধে কাজ করে, যাতে সমস্ত উপাদান একসাথে এমনকি দীর্ঘস্থায়ী চর্মরোগ নিরাময় করে।
(৭) ভায়োলা ট্রাইকালার (Viola tricolor) : স্ক্রোফুলাস (ব্যাকটেরিয়ার মতো টিবি সম্পর্কিত স্ক্রোফুলা সম্পর্কিত) একজিমা, ইমপেটিগো (ছোঁয়াচে ব্যাকটেরিয়া ত্বকের সংক্রমণ যা পুঁজ এবং হলুদ খসখসে ঘা ইত্যাদিতে কার্যকর।
(৮) ভিনকা মাইনর (Vinca Minoor) : পুড়ে যাওয়া ও চুলকানি পুস্টুলস, ভেজা একজিমা ইত্যাদিতে অত্যান্ত কার্যকরী। স্থানীয় ভাবে ঘুষন, বা একটি ব্যান্ডেজ বা ড্রেসিং ব্যবহার করে প্রয়োগ করুন।
অ্যাডাল নং -৭৮ ডার্কাট জিআইজি মলম এর প্রস্তাবিত ডোজের ব্যবহার : স্থানীয়ভাবে ঘষুন, বা ব্যান্ডেজ অথবা ড্রেসিং ব্যবহার করে দিনে তিনবার প্রয়োগ করুন। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : নেই।
সর্তবলী : হোমিওপ্যাথি বায়ো কম্বেনেশন ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি কওে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার করিবেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন।এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।