অনিয়মিত ঋতুস্রাব কেন হয়, কী করবেন?
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব কেন হয়, কী করবেন তা নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
মহিলাদের নিয়মিত ও সময়মতো পিরিয়ড (মাসিক) হওয়াটাই স্বাভাবিক। এটি একটি প্রাকৃতিক নিয়মে হয়ে থাকে। অনিয়মিত মাসিক মহিলার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। অনিয়মিত মাসিক বা একেবারেই মাসিক বন্ধ হওয়া মূলত পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের (POS) জন্য হয়ে থাকে। তবে আরো অনেক কারণ আছে, যার জন্য পিরিয়ড বা মাসিক নিয়মিত হয় না। এই সমস্যা হলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক কী?
প্রতি চন্দ্রমাস পর পর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মহিলাদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ জরায়ু থেকে যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। এ মাসিক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। আর যে সব মহিলাদের এই মাসিক ঋতুচক্র প্রতি মাসে হয় না অথবা দুই মাস আবার কখনও চার মাস পর পর হয়, তখন তাকে অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড বলে। এই অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড এই ভাবে চলতে থাকলে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
মাসিক বা পিরিয়ড অনিয়মিত কেন হয়?
অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড বা একেবারেই মাসিক বন্ধ হওয়া পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের (POS) জন্য হয়ে থাকে। তবে আরও অনেক কারণ রয়েছে, যার জন্য মাসিক বা পিরিয়ড নিয়মিত হয় না। যেমন – অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা, ক্যাফেইন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা যেমন – অতিরিক্ত কফি পান করা, স্ট্রেস নেওয়া, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা, অপরিচ্ছন্ন থাকা, মদ্যপান বা ধূমপান করা ইত্যাদি।
টিনেজার অথবা মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পেছনের কারণটি হলো হরমোন। আর লম্বা সময় স্ট্রেসে থাকলে অনেকেরই পিরিয়ড বা মাসিক দেরিতে হতে পারে। এ সময়ে একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন, কিন্তু তিনি জানতেন না। এটাকে মিসক্যারিজ বা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। এ ঘটনায় সাধারণ পিরিয়ড বা মাসিকের তুলনায় কিছু দিন পর বেশি রক্তপাত হতে পারে, যাকে অনেকেই দেরিতে মাসিক হওয়া বলে ধরে নেওয়া হয়। ওজন কম হলে সময়মতো পিরিয়ড বা মাসিক নাও হতে পারে। অথবা কিছু দিন বন্ধও থাকতে পারে। জরায়ুতে টিউমার ধরনের এক ধরনের বৃদ্ধি হলো ফাইব্রয়েডস। এগুলো পিরিয়ডের স্বাভাবিক মাসিক চক্রকে বাধা সৃষ্টি করতে পারে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা। যেমন – পিল, প্যাঁচ, ইনজেকশন, আইইউডি। এগুলো যদি আপনি ব্যবহার করেন তবে পিরিয়ড দেরিতে হওয়া বা পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক।মনোনিউক্লিওসিস, ঠাণ্ডা, সর্দি, গলার ইনফেকশন- এ ধরনের সমস্যার কারণে পিরিয়ড বা মাসিক দেরিতে হতে পারে। তবে বড় কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন – থাইরয়েডের সমস্যা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের কারণেও পিরিয়ড বা মাসিক দেরিতে হতে দেখা যায়।
এ ধরণে সমস্যায় কী করবেন?
একজন নারীর নিয়মিত মাসিক হলে শরীরের হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকে। তবে অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এ বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক: গাইনি কনসালট্যান্ট,সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।