অনিয়মিত মাসিকের হওয়ার পাঁচটি কারণ
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের অনিয়মিত মাসিকের হওয়ার পাঁচটি কারণ কী? তা নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর নিয়মিত মাসিক হওয়াটা সুস্থতার লক্ষণ। কিন্তু কখনো কখনো ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে পড়তে পারে। এর পেছনে রয়েছে নানান কারণ। যদি কখনো মাসিক অনিয়মিত হয়, তবে বুঝবেন শরীরের কোথাও কোনো না কোনো সমস্যা হচ্ছে। গর্ভবতী না হয়েও যদি মাসিক অনিয়মিত হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুণ।
জেনে নিন মাসিক অনিয়মিত হওয়ার পাঁচটি কারণ-
প্রেগন্যান্সি বা স্তন্যদান : যারা নিয়মিত যৌন মিলনের সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাদের মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়লেই অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানো উচিত। গর্ভাবস্থা ছাড়াও যে সব মায়েরা স্তন্যদান করছেন, তাদেরও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার কারণে যদি আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে, তা হলে রোগিণীর সাধারণত মাথা ঘোরা, গা গোলানো, ক্লান্তি এরকম কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম : যে মহিলা কখনো যৌন মিলন হয়নি, তাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ এই রোগ। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের আরো কিছু উপসর্গ অবশ্য থাকে। যেমন – ওজন বেড়ে যাওয়া, মুখসহ শরীরের নানা জায়গায় অবাঞ্ছিত লোম গজানো, ছেলেদের মতো টাক পড়া বা তার আভাস দেখলেই এখনই সতর্ক হতে হবে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলে রক্তপাত অনিয়মিত হয়ে যায়, তেমনই আবার যখন হয় তখন এত বেশি ব্লিডিং হয় যে রক্তশূন্যতার আশঙ্কাও থাকে।
থাইরয়েডের সমস্যা : থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ওভারঅ্যাকটিভ হলে যতটা সমস্যা, আন্ডারঅ্যাকটিভ হলেও তেমনই ততোটা সমস্যা হয়। থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বাড়লে ঋতুস্রাবের পরিমাণ ক্রমশ কমে আসবে। বাড়বে অ্যাংজাইটি, ভয় পাওয়া, হৃদস্পন্দনের হার।
এন্ডোমেট্রিওসিস : খুব যন্ত্রণাদায়ক পিরিয়ড বা মাসিক, যৌন মিলনের সময় এবং শেষে ব্যথা হওয়া, মলত্যাগের সময়েও তীব্র ব্যথা অনুভব হওয়া, সেই সঙ্গে অতি স্রাব অথবা একেবারে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই কারণ এগুলোই এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ।
হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ব্যবহার : হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি , থাইরয়েডের ওষুধ, অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট, ব্যথা কমানোর ওষুধ গ্রহণ, মৃগীরোগের ওষুধ গ্রহণেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। তবে এই সমস্যা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।