হামদর্দ ও আর এস – Hamdard O R S খাওয়ার স্যালাইন
ক্যাটাগরি : ডায়রিয়া ও আমাশয় উপশমকারক, হামদর্দ ঔষধ।
ঔষধের বিবরণ দেখুন
হামদর্দ ও আর এস (Hamdard O R S )
খাওয়ার স্যালাইন
প্রস্তুত প্রণালী : হামদর্দ ও আর এস গ্লুকোজসহ ওরাল রিহাইড্রেশন সল্টের সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হয়ে।
ব্যবহার : তীব্র ডায়রিয়াজনিত পানিস্বল্পতা, ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা, কলেরা, বমি বমি-ভাব ও বমি, খাদ্যে বিষক্রিয়া ইত্যাদি।
হামদর্দ ও আর এস (Hamdard O R S) খাওয়ার স্যালাইনের কার্যকারিতা : এটি ডায়রিয়া, কলেরা বা যে কোন ধরণের পাতলা পায়খানাজনিত পানি স্বল্পতা ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যতা নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
উপাদান: প্রতি স্যাচেটে আছে :
(1) Sodium Chloride (নমক তাআম) ১.৩০ গ্রাম।
(2) Sodium Citrate (নমক তুরশ) ১.৪৫ গ্রাম।
(3) Potassium Chloride (নুত্রূন) ০.৭৫ গ্রাম।
(4) Ges Dextrose/Sucrose (চিনি) ৬.৭৫ গ্রাম।
খাওয়ার স্যালাইন প্রস্তুতের নিয়ম : ৫০০ মিলি বা ২ পোয়া খাবার পানির সাথে হামদর্দ ও আর এস ১টি স্যাচেটের সবটুকু মিশ্রণ পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার স্যালাইন তৈরি করতে হবে।
খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর নিয়মাবলী নিন্মে দেওয়া হল :
২ বছর পর্যন্ত : প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চা চামচ হামদর্দ ও আর এস মেশানো পানীয় পান করতে হবে।
২-১০ বছর পর্যন্ত: প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর আধা গ্লাস হতে ১ গ্লাস হামদর্দ ও আর এস মেশানো পানীয় পান করতে হবে।
১০ বছরের উর্ধ্বে: প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১ থেকে ২ গ্লাস হামদর্দ ও আর এস মেশানো পানীয় পান করতে হবে।
পরামর্শ : যতক্ষন পর্যন্ত পাতলা পায়খানা ভালো না হয় ততক্ষন পর্যন্ত উপরোক্ত নিয়মে স্যালাইনটি খাওয়াতে হবে। ওরাল স্যালাইন চলাকালীন সময়ে শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের দুগ্ধপান বা বড়দের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক খাবার বন্ধ করা যাবে না। স্যালাইন গরম পানির সাথে মিশানো যাবে না অথবা মিশ্রিত দ্রবণটিকে গরম করা যাবে না। ১২ ঘন্টা পর প্রস্তুতকৃত স্যালাইনটি ফেলে দিন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
বিশেষ সতর্কতা : শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
সংরক্ষণ : আলো-বাতাস থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
পরিবেশনা : প্রতি বাক্সে ২০টি স্যাচেট ওরাল স্যালাইন বিদ্যমান।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।