স্পার্টিরাম স্কোপেরিয়াম-সিষ্টিসাস স্কোপেরিয়াস (Spartium Scoprium-Cystisus Scoyarius)
চলতি নাম – ব্রুম (Broom)
ডা: ইউলিয়াম বরিক।
স্পার্টিরাম সাফফেট হৃৎপিণ্ডের শক্তি বৃদ্ধি করে, হৃদস্পন্দন কমায় এবং রক্তচাপ কমাইয়া আনে। ইহা ভিরেট্রাম ও ডিবিটেলিসের শুভক্রিয়ার ক্রমোন্নতি করে অথচ কোনরুপ অবাঞ্চিত ফল দেয়া দেয় না (হিন্সডেল)।
স্পার্টি’ন সালফেট ( ব্রুমের উপক্ষার ) পরীক্ষাকালে, পরীক্ষাকারীদের হাৎপিণ্ডের প্রসারণ ও সঙ্কোচন ক্রিয়া কমাইয়া দিয়াছিল। হাত্স্পন্দন পরীক্ষা- কারী যন্ত্রে দেখা গিয়াছিল যে, রক্তচাপ কমিয়া গিয়াছে। ইহা হাৎবেষ্টের উপর বিষক্রিয়া করিয়া হৃৎপিণ্ডকে অবসন্ন করে এবং ফুসফুস পাকাশয়িক স্নায়ুর উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এইজন্য রক্তচাপ কমিয়া যায়, নাড়ীর গতি হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। ইহা হাৎপিণ্ডের আকুঞ্চন দুর্বলীভূত করে। মূত্রের পরিমাণ বধিত হয়। সুতরাং মূত্র বৃদ্ধিকারক গুণ থাকায় ইহা শোথ রোগে উপযোগী।
অণ্ডলালা মূত্র। শ্বাসক্রিয়া একবার প্রবল আবার পরক্ষণেই ধীরগতি। পেট কামড়ানি ও বিভিন্ন জীবাণুজ রোগের পরবর্তী অনিয়মিত হাৎক্রিয়া। নিম্ন রক্ত-চাপ। হাৎপিণ্ডের অতি প্রসারণ ও ধমনীসমূহের স্থলত্বে উপশমের জন্য স্থলমাত্রায় ব্যবহার্য। মর্ফিয়া সেবন অভ্যাস ত্যাগ করার পর, হৃৎক্রিয়ার সংরক্ষণের জন্য ১/১০ হইতে ১/৪ গ্রেন ইঞ্জেকশন বিশেষ উপযোগী। হাৎপেশী, বিশেষতঃ স্নায়ুসমূহ আক্রান্ত হইলে স্পার্টিয়াম প্রধানতঃ সূচিত হয়। ইহার ক্রিয়া দ্রুত এবং ঐ ক্রিয়া তিন হইতে চার দিন স্থায়ী হয়। পরিপাক ক্রিয়ার ব্যাঘাত করে না। মূত্রগ্রন্থি-প্ৰদাহ ।
হৃৎপিণ্ড — অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে হৃৎরোগ। হাশূল। অনিয়মিত হাৎক্রিয়া। বায়ুসঞ্চয় প্রভৃতি হেতু বাধাপ্রাপ্ত হাৎক্রিয়া ; স্নায়বিক ও হিষ্টিরিয়া- গ্রস্ত ব্যক্তির দুর্বল হৎক্রিয়া। হৃদাবরকের অপকর্ষ। হাৎপিণ্ডের সঙ্কোচন- প্রসারণজনিত ক্ষয়ের আংশিক পূরণ। নিম্ন রক্ত-চাপ। জলসঞ্চয়ের ক্ষেত্রে, রোগী শুইতে না পারিলে ২ গ্রেন মাত্রায় স্প্যার্টিন ব্যবহার্য। ইহাতে রোগী যথেষ্ট আরাম পায়। মন্ত্রগ্রন্থির উপর বিশেষ ক্রিয়া থাকায় উহাদের সাহায্যে হাৎপিণ্ডের যাতনাকর অবস্থার কারণ উপশমিত ও বিদূরিত হয় ।
পাকস্থলী–পাকাশয়-অন্ত্রে অত্যন্ত বায়ুসঞ্চয়, তৎসহ মানসিক অবসাদ।
মূত্রযন্ত্র — মুত্রপ্রণালী ও বাহ্য জননেন্দ্রিয়ে জ্বালা। প্রচুর মূত্র নিঃসরণ।
মাত্রা — হোমিওপ্যাথি মত নিরুদ্ধ ব্যবহার (উপরোক্ত প্রকারের প্রশমক ঔষধ) :–আভ্যন্তরিকভাবে ১ বা ২ গ্রেন ঔষধ সেবন করিলে উহা মন্ত্রগ্রন্থির উপর বিশেষ ক্রিয়া করে এবং ফলে হৃৎপিণ্ডের উপরের চাপ উপশমিত হয়। ইহা নিরাপদ এবং দ্রুত ক্রিয়াশীল ঔষধ। ইঞ্জেকশন করিলে মাত্রা ১/৪ গ্রেন অপেক্ষা কম নহে। ২ গ্রেন মাত্রায় দিনে ৩ বার সেবন করান নিরাপদ ব্যবস্থা (হিন্সডেল)।
হোমিওপ্যাথি মতে :–১ম হইতে ৩য় বিচর্ণ।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।