রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ

আরোগ্য হোমিও হল / ১৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৫১ অপরাহ্ন
সূচীপত্র
সূচীপত্র

শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ

হোমিওপ্যাথিক মানুসিক রোগ ও যৌন চিকিৎসা

ডা: জে. এন. পাত্র

ডি. এম. এস  (কলকাতা ) ও

ডা: আর. এন. চন্দ্র

এম, ডি হোমিও প্রাপ্তন চিকিৎসক কলকাতা।

 

শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ

অধিকাংশ পীড়ার সঙ্গে কিছু-না-কিছু মানসিক লক্ষণ থাকে তবে সব সময় তা বোঝা যায় না। কিছু কিছু পীড়া-লক্ষণ আছে যেগুলির সঙ্গে মানসিক লক্ষণ পরোক্ষভাবে জড়িত। লক্ষণানুসারে ওষুধ সেবন করালে পীড়ার সঙ্গে মানসিক লক্ষণও দূরীভূত হবে।

(১) সমস্যা : থেমে থেমে রক্ত নির্গত হয়।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন স্যাবাইনা ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(২) সমস্যা : ক্ষমতাহীনতা অথচ স্ত্রী সংসর্গের প্রবল ইচ্ছা।

সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্যালিক্স নায়গ্রা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৩) সমস্যা : দু’ চোখ বন্ধ করলেই ঘাম হয়।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্যাম্বুকাস ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৪) সমস্যা : চিনিকে তেতো বোধ হয়।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন স্যাঙ্গুনেরিয়া-ক্যানাডেনসিস ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৫) সমস্যা : আগে বা সময়ে নয়—প্রস্রাব শেষ হলেই মূত্ৰনলীতে জ্বালা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সার্সাপ্যারিলা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

আরও পড়ুন –  অ্যাডাল-১৯ (মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি)

(৬) সমস্যা : এক ঋতুকাল থেকে পরবর্তী ঋতুকাল পর্যন্ত অনবরত জলের মতো রক্ত নির্গত হয়।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সিকেলি-কর ৬ বা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৭) সমস্যা : অস্বাভাবিক ক্ষুধা, শরীর সব সময় জ্বালা করে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সিকেলি-কর ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৮) সমস্যা : গা বরফের মতো ঠাণ্ডা, কিন্তু গায়ে একেবারেই আবরণ রাখতে পারে না।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সিকেলি-কর ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৯) সমস্যা : সামান্য মাত্র শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করলে দুর্বল হয়ে পড়ে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সেলিনিয়ম ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১০) সমস্যা : ঋতুস্রাব আরম্ভ হলে কাশির উপশম, ঋতুস্রাব বন্ধ হলে কাশির বৃদ্ধি ।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সিনিসিও ৪। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১১) সমস্যা : পেটে প্রসববেদনার মতো বেদনা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সিপিয়া ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১২) সমস্যা : শিশু প্রথম ঘুমেই বিছানায় প্রস্রাব করে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সিপিয়া ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১৩) সমস্যা : অত্যন্ত বিষণ্ণ, কথায় কথায় চোখে জল আসে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সিপিয়া ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।

(১৪) সমস্যা : ঋতুর সময় পায়ের হাড়ে কনকন করে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সিপিয়া ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

আরও পড়ুন –  আর ১০৯ (যৌন এবং স্নায়বিক ক্লান্তি)

(১৫) সমস্যা : শিশুর পেট মোটা ও শক্ত, পা সরু, বিলম্বে হাঁটতে শেখে, শরীর অনুপাতে মাথাটা বড়।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সাইলিসিয়া ২০০। প্রত্যহ প্রাতে সেব্য।

(১৬) সমস্যা ঃ একগুঁয়ে শিশু, সব সময় কাঁদে, তাকে কোনোভাবেই শান্ত করা যায় না।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সাইলিসিয়া ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১৭) সমস্যা : শিশুর পেট ভরা থাকলেও খাবার জন্য হাঁ হাঁ করে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্ট্যাফিসেগ্রিয়া ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(১৮) সমস্যা : শিশুর খিটখিটে মেজাজ, তার হাতে কোনো জিনিস দিলে সে তা ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করতে দিন স্ট্যাফিসেগ্রিয়া ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য ।

(১৯) সমস্যা : রাত্রে বিছানায় শুলে ভয়ানক কাশির বৃদ্ধি, রোগী ঘুমাতে পারে না। প্রথমে কাশি শুষ্ক থাকে, পরে তা সরল হয়। রোগীর অস্থিরতা থাকে।

সমাধান : এমন সমস্যায় সেবন করতে দিন স্টিকটা পালমোনারিস ৩০। প্রত্যহ ৩ বার, প্রাতে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(২০) সমস্যা : রোগী পাগলের মতো প্রলাপ বকে, অস্থিরতা প্রকাশ করে।

সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করাতে হবে স্ট্যামোনিয়াম ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য ।

(২১) সমস্যা : আটা, ময়দা, আলু, কপি প্রভৃতি সহ্য হয় না—পেটে বায়ু জমে, পেট কামড়ায়।

সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করতে দিন ম্যাগ্নেসিয়া-কার্ব ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য ।

(২২) সমস্যা : জিভ শুষ্ক, চোখের কোণে কালি পড়ে।

সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করতে দিন ফেরম-প্রিক্রিক ২০০। প্রত্যহ প্রাতে সেব্য।.

আরও পড়ুন –  র‌্যাক্স নং- ২৪ (মানসিক দূর্বলতা)

(২৩) সমস্যা : ভয়ানক খিদে, কিন্তু ২/১ গ্রাস খেলেই পেট পূর্ণ হয়ে ওঠে।

সমাধান : এই সমস্যার সেবন করতে দিন সালফার ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(২৪) সমস্যা : অণ্ডকোষ ফোলে, গরম ও শক্ত হয়।

সমাধান : এই সমস্যার সেবন করতে দিন ব্রোমিয়ম ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য।

(২৫) সমস্যা : ভূত-প্রেত বা মৃত মানুষের স্বপ্ন দেখে। নিদ্রিত অবস্থায় শ্বাসবন্ধের উপক্রম হয় ও উঠে পড়ে।

সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করাতে হবে এমন-কার্ব ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য ।

(২৬) সমস্যা : ঘুমোতে ঘুমোতে চিৎকার করে ওঠে, থরথর করে কাঁপে, জ্ঞান থাকে না।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ক্যালি-ব্রোম ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(২৭) সমস্যা : কুমারী স্ত্রীলোক কামোন্মাদিনী হয়।

সমাধান : এই সমস্যার সেবন করাতে হবে প্ল্যাটিনা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(২৮) সমস্যা : উন্মত্ততা ও মানসিক বিকৃতি। স্ত্রীলোকদের সূতিকা-উন্মত্ততা।

সমাধান : এই সমস্যায় সেবন করাতে হবে ক্যালি ফস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(২৯) সমস্যা : রোগী মনে করে কেউ তাকে বিষ খাওয়াবে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যালি-ব্রোম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।

(৩০) সমস্যা : লজ্জাশীলা রমণী—হঠাৎ মুখরা হয়, গালি দেয়, অশ্লীল কথা বলে, কামোন্মাদ অবস্থা প্রকাশ করে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন স্ট্র্যামোনিয়াম ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(৩১) সমস্যা : স্ত্রীলোক কামোন্মাদিনী হয়, প্রবল সঙ্গম-ইচ্ছা।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ক্যান্থারিস ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য ।

আরও পড়ুন –  সায়াটিকা ও পক্ষাঘাত জনিত মানসিক লক্ষণ

(৩২) সমস্যা : পেটের মধ্যে কোনো জীব নড়াচড়া করছে মনে করে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে থুজা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে নেব্য। 

(৩৩) সমস্যা : সকালে বিছানা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে। মানসিক চঞ্চলতা থাকে।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এমন-কার্ব ৬। প্রত্যহ ৩ বার- সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।

(৩৪) সমস্যা : রোগী কিছুই মনে রাখতে পারে না। অস্থির, ভীতু, নিজেকেও বিশ্বাস করতে পারে না।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ক্যালকেরিয়া-সিলিকা ৩০। প্রত্যহ প্রাতে ও রাত্রে সেব্য।

(৩৫) সমস্যা : পীড়ার গতি ডানদিক থেকে বাঁদিকে।

সমাধান : এ ক্ষেত্রে গ্রাফাইটিস উপকারী। শক্তি ও মাত্রা পীড়ার তারতম্য অনুযায়ী।

(৩৬) সমস্যা : ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, রাত্রে ৫।৭ বার উঠতে হয়।

সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে চিমাফিলা ৪। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।

(৩৭) সমস্যা : হঠাৎ প্রস্রাবের বেগ, আসে—মুহূর্তকালও বেগ ধারণ করতে পারে না।

সমাধান : এমন সমস্যায় সেবন করাতে হবে পেট্রোসেলিনিয়াম ৬। প্রত্যহ ২ বার সেব্য।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev