মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

মার্কুরিয়াস হাইড্রোজিরাম-Mercurius Hydragyrum

আরোগ্য হোমিও হল / ৭১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
ব্যারাইটা কার্ব-Baryta Carb
হোমিও বই

মার্কুরিয়াস হাইড্রোজিয়াম (Mercurius Hydragyrum)

চলতি নাম –  পারদ ধাতু (Quicksilver)

ডা: উইলিয়াম বরিক।

এই শক্তিশালী ঔষধটি দেহের প্রত্যেকটি যন্ত্র এবং প্রত্যেকটি টিসুকে অল্পাধিক আক্রমন করে। ইহা দুর কোষসমুহকে পীড়িত করিয়া তুলে, উহাদিগকে প্রদাহিত করে, পড়াইয়া ফেলে। ইহা রক্তকে বিশ্লিষ্ট করে এবং প্রবল রক্তশূন্যতা উৎপন্ন করে। হোমিওপ্যাথি মতে লক্ষণ সাদৃশ্যে প্রযুক্ত হইলে, এই ধ্বংসকর ঔষধি শক্তিই মানুষের জীবনকে বাঁচাইতে ও রক্ষা করিতে সক্ষম হয়।  অসিকাগ্রন্থিমণ্ডল এবং তৎসহ যাবতীয় শ্লৈম্মিক ঝিল্লী এবং গ্রন্থিসমুহ, দেহাভ্যন্তরস্থ যন্ত্রসমুহ, ও অস্থি প্রভৃতি আক্রান্ত হয়। পারদ কর্তৃক যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহা সিফিলিসের দ্বিতীয় অবস্থায় ইহার উপযোগিতা দেখা যায়, তখন জ্বরের সহিত পাণ্ডু রোগ ও রক্তহীনতা, বক্ষাস্থির পশ্চাতে গ্রন্থিসমুহে বাতজ বেদনা, মুখগহ্বর ও গলগহ্বরে ক্ষত চুল পড়িয়া যাওয়া, মুখ ও গলায় নানা প্রকার উদ্ভেদ প্রকাশ প্রভৃতি লক্ষণে এবং এই বিশেষ অবস্থায়, পারদ হোমিওপ্যাথি মধ্যে প্রয়োজ্য হয় এবং ২x শক্তির ঔষধ অত্যাশ্চর্য ক্রিয়া প্রকাশ করে। তরা পর পুর্বপুরুষ হইতে প্রাপ্ত শিফিলিস হইতে যে সমস্ত রোগ প্রকাশ পায়, তাহাও এই ঔষধের অধিকারে আসে যাথা – ফোস্কা, ফোঁড়া, নাসারোধ, পুঁয়ে যাওয়া মুখ মধ্যে প্রদাহ অথবা ধ্বংসকর প্রদাহ। সর্বাঙ্গে থর থর করিয়া কাঁপে। সামান্য পরিশ্রমে দুর্বলতা, দেহমধ্যে দপ্ দপ্ করা এবং কম্পন দেখা দেয়।  পারদের সকল লক্ষণই রাত্রিকালে, বিছানার গরমে, স্যাঁৎসেঁতে ঠাণ্ডা, বৃষ্টিবহুল আবহাওয়ায়, অধিকন্ত ঘর্ম নিঃসরণকালে বৃ্দ্ধি পায়। ঘর্ম ও বিশ্রামের সঙ্গে রোগলক্ষণ বৃদ্ধি পায়, তৎসহ যথেষ্ট দুর্বলতা, আবসাদ এবং কম্পন লক্ষণ থকে। ইহাকে “মনুষ্য থার্মোমিটার” বলা হয়, কারণ গ্রীস্ম ও শীত উভয়ই তাহার নিকট অসহ্য বোধ হয়। অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ স্ফীত, তৎসহ হাজিয়া যাওয়ার ন্যায় বেদনা, প্রচুর তেলের মত ঘর্ম নিঃসৃত হয় কিন্ত তাহাতে উপশম হয় না। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস, দৈহিক নিঃস্রাবসমুহ এবং শরীরে দুর্গন্ধ ছাড়ে। পুজ পাতলা, সবুজভ, দুর্গন্ধযুক্ত, রক্তে ছিট ছিটযুক্ত।

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

মন : প্রশ্নের উত্তর দিতে বিলম্ব করে। স্মৃতিশক্তি দুর্বল, ইচ্ছা শক্তি নষ্ট হইয়া যায়। জীবনে বিতৃষ্ণা, কাহাকেও বিশ্বাস করে না। মনে করে, তাহার বৃদ্ধি শক্তি লোপ পাইতেছে।

মস্তক : চিৎ হইয়া শুইলে মাথা ঘোরে। মনে হয় যেন, মাথার চারিদিকে ফিতা বাঁধা রহিয়াছে। মাথার এক পার্শ্বে ছিঁড়িয়া ফেলার ন্যায় বেদনা। মস্কক-ত্বকে টান টানভাব-যেন ব্যাণ্ডেজ করা হইয়াছে। সর্দিজ মাথাধরা, মস্ককে প্রবল উত্তাপ। মস্কক-ত্বকে হুল ফোটান, জ্বালাকর, দুর্গন্ধযুক্ত পীড়কা। চুল পড়িয়া যায়। অস্থিবৃদ্ধি তাহাতে টাটানি ব্যথা। মস্ককে টান টানভাব, ও তৈলাক্ত ঘর্ম।

আরও পড়ুন – মস্তক, মস্তিষ্ক এবং শিরত্বক (Head, Sensorium and Scalp)

চক্ষু : চক্ষুর পাতা লাল, পুরু ও স্ফীত। প্রচুর জ্বালাকর বিদাহী স্রাব। চক্ষুর সম্মুখে কাল কাল দাগ ভাসিতে থাকে। অগ্নির উত্তাপ লাগাইয়া পীড়া, ঢালাই ঘরের শ্রমিকদের পীড়া। সিফিলিস রোগজাত কনীনিকার অভ্যন্তরাংশে প্রদাহ, তৎসহ জ্বালাকর বেদনা। উপতারা প্রদাহ, তৎসহ অক্ষিগোলকের সম্মুখাংশে পুঁজ সঞ্চয়।

কর্ণ : ঘাঢ় হলুদবর্ণ স্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত ও রক্তাক্ত। কর্ণশূল, বিছানার গরমে বৃদ্ধি, রাত্রে বৃদ্ধি, খোঁচামারা বেদনা। কর্ণরন্ধ্রের বহিভাগে ফোঁড়া (ক্যালকেরিয়া পিক্রিক)।

নাসিকা : প্রবল হাঁচি। দিবালোকে হাঁচি। নাসারন্ধ্র হাজাকর ক্ষতযুক্ত। নাসিকার অস্থি স্ফীত। হরিদ্রাভ-সজুজবর্ণ দুর্গন্ধ পুঁজের ন্যায় স্রাব। সর্দি গৃহে বৃদ্ধি। নাসিকার অস্থিতে বেদনা ও স্ফীতি। অস্থিক্ষয়, অস্থিতে সবুজভাব দুর্গন্ধযুক্ত ক্ষত। রাত্রিকালে নাক দিয়া রক্তস্রাব। প্রচুর ক্ষতকর শ্লেম্মা নিঃসরণ। সর্দি, তৎসহ হাঁচি, টাটানি, হাজাকর, খোঁচামারা বেদনা, ভিজা আবহাওয়ায় বৃদ্ধি, প্রচুর তরল স্রাব

মুখমণ্ডল : ফ্যাকাসে মেটে বর্ণ, বিশ্রী এবং ফোলা ফোলা। মুখমণ্ডলের অস্থিতে বেদনা। মুখমণ্ডলে সিফিফিস রোগজাত পুঁজপুর্ণ পীড়কা।

আরও পড়ুন – মুখমণ্ডল (Face )

মুখগহ্বর : ঈষৎ মিষ্ট ধাতব স্বাদ। লালাস্রাব অতীব বধিত, রক্তাক্ত ও আঠা আঠা লালা। লালা দুর্গন্ধযুক্ত ও তামার মত স্বাদযুক্ত। জিহ্বা কাঁপে বলিয়া পরিস্কার কথা বলিতে পারে না। মাড়ি ফোঁপারা এবং সরিয়া যায়। সহজেই রক্ত পাত হয়। স্পর্শে এবং চিবাইবার কালে বেদনা। সমস্ত মুখগহ্বর আর্দ্র। দন্তের উপরিভাগ ক্ষরিয়া যায়। দাঁত লালগা, স্পর্শকাতর এবং লম্বা মনে হয়। জিহ্বার উপরিভাগে লম্বালম্বি গভীর দাগ। জিহ্বা ভারি, মোটা সরস লেপযুক্ত, হরিদ্রাবর্ণ থলথলে, দাঁতের ছাপযুক্ত, মনে হয় যেন পুড়িয়া গিযাছে, তৎসহ ক্ষত। মুখে দুর্গন্ধ ঐ দুর্গন্ধ সরা ঘরে ছড়াইয়া পড়ে। দন্তস্থলীর স্ফোটক, রাত্রে বৃদ্ধি। যথেষ্ট তৃষ্ণা কিন্ত মুখ সরস

গলগহ্বর : নীলাভ-লালবর্ণ স্ফীতি। অবিরত ঢোক গিলিতে থাকে। দুর্গন্ধযুক্ত গলক্ষত, দক্ষিণ দিকে অধিক। প্রত্যেকবার ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্ষত ও প্রদাহ দেখা দেয়। গিলিবার সময় কর্ণমধ্যে খোঁচামারা বেদনা অনুভুত হয়, তরল দ্রব্য নাক দিয়া বাহির হইয়া আসে। গলক্ষত, পুঁজ জন্মিাবার পর গিলিতে কষ্ট, গলমধ্যে টাটানি, ছড়িয়া যাওয়ার মত, জিড়িকমারা জ্বালাকর। সম্পুর্ণ স্বরলোপ। গলার মধ্যে জ্বালা, যেন গলার মধ্যে দিয়া উষ্ণ বাস্প উঠিতেছে।

পাকস্থলী : দুর্গন্ধযুক্ত উদ্গার। শীতল পানীয়ের জন্য প্রবল পিপাসা। দুর্বল জীর্ণশক্তি তৎসহ অবিরত ক্ষুধা বোধ। পাকস্থলী স্পর্শকাতর। হিক্কা এবং ভুক্তদ্রবোর উদ্গার উঠে। পুর্ণতা ও সঙ্কোচন বোধ।

উদরগহ্বর : ছুরি মারার ন্যায় বেদনা, তৎসহ শীত শীতবোধ। দক্ষিণ শিশ্নতলে রন্ধ্রকরণবৎ বেদনা। বেদনাসহ অস্বাভাবিক স্ফীতি। যকৃৎ বধিত, স্পর্শকাতর স্ফীত। কামলা রোগ। পিত্ত ক্ষরণের অল্পতা।

মল : সুজভাব, রক্তাক্ত পিচ্ছিল মল, রাত্রিকালে বৃদ্ধি, তৎসহ বেদনা ও কোঁথানি। মনে হয় যেন বাহ্য আর শেষ হইতেছে না। শীত শীত বোধসহ মল নিঃসরণ। পাকাশয়ে অস্বস্থি, কাটিয়া ফেলার ন্যায় শূলব্যথা এবং কোঁথানি। সাদা ধুসরাভ মল।

মুত্র : পুনঃপুনঃ মুত্রবেগ। মুত্রপথে সবুজ স্রাব। মুত্রক্রিয়ার প্রাবন্তে মুত্রপথে জ্বালা। মুত্র কাল, অল্প পরিমাণ, রক্তাক্ত ও অণ্ডলালাময়।

পুং-জননেন্দ্রিয় : ফুস্কুড়ি, ক্ষত এবং কোমল উপদংশ ক্ষত। জননেন্দ্রিয় শীতল। লিঙ্গমুণ্ড-ত্বকে উত্তেজনা ও চুলকানি। রাত্রিকালে শুক্রপাত, উহাতে রক্তের ছিট।

আরও  পড়ুন – সিফিলিস রোগে হোমিওপ্যাথি ঔষধ

স্ত্রী-জননেন্দ্রিয় : উদরগহ্বরে বেদনাসহ প্রচুর রজঃস্রাব। প্রদরস্রাব, ক্ষতকর, সবুজাভ এবং রক্তাক্ত। জননেন্দ্রিয়ে ছড়িয়া যাওয়ার ন্যায় অনুভুতি। ডিম্বাকোষে হুল ফোটান বেদনা (এপিস)  চুলকানি ও জ্বালা, মুত্রত্যাগের পর বৃদ্ধি, ঠাণ্ডা জলে ধৌত করিরে উপশম। প্রাতঃকালীন বমি বমিভাব, তৎসহ প্রচুর লালাস্রাব। স্তনদ্বয় বেদনাযুক্ত এবং ঋতুকালে দুগ্ধে পুর্ণ।

শ্বাসযন্ত্র : গলমধ্য হইতে বক্ষান্থি পর্যন্ত টাটানি ব্যথা। দক্ষিণ পার্শ্বে চাপিয়া শুইতে পারে না (বাম পার্শ্বে – লাইকো)। কাশি, হরিদ্রাভ শ্লেম্মা, পুঁজমিশ্রিত গয়ের। জোড়া জোড়া কাশি, রাত্রে বৃদ্ধি, বিছানার গরমে বৃদ্ধি। সর্দি, তৎসহ শীত শীত ভাব, হাওয়াকে ভয় করে। দক্ষিণ ফুসফুসের নিন্মতর অংশ হইতে পৃষ্ঠ পর্যন্ত খোঁচামারা বেদনা। হুপিং কাশির সহিত নাসিকা হইতে রক্তপাত (আর্নিকা)। কাশি ধুমপানে বাড়ে।

পৃষ্ঠদেশ : পৃষ্ঠের নিন্মাংশে ছড়িয়া যাওয়ার ন্যায় বেদনা, বিশেষতঃ যখন বাসিয়া থাকে। মেরুদণ্ডের সর্বনিন্ম অস্থিতে ছিঁড়িয়া ফেলার ন্যায় বেদনা, উদরে চাপ দিলে উপশম।

হস্ত-পদাদি : অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দুর্বলতা। অস্থিবেদনা ও অঙ্গপ্রত্যাঙ্গে বেদনা, রাত্রিকালে বৃদ্ধি। রোগীর ঠাণ্ডা অসহ্য বোধ হয়। তেলের মত ঘর্ম। শাখাসমুহ কাঁপে, বিশেষতঃ হস্তদ্বয়, কম্পনশীল পক্ষাঘাত। সন্ধিস্থানে ছুরি মারার ন্যায় বেদনা। রাত্রে পদদ্বয়ে চটচটে শীতল ঘর্ম, পদ ও জঙ্ঘাদ্বয়ের শোথবৎ স্ফীতি।

চর্ম : প্রায় সর্বদাই ভিজা থাকে। চর্মের সর্বক্ষণব্যাপী শুস্কতা থাকিলে মাকুরিয়াস ব্যবহার্য নহে। অত্যান্ত গন্ধযুক্ত আঠা আঠা ঘর্ম, রাত্রে বৃদ্ধি। সাধারণতঃ অবাধে ঘর্ম হয়, কিন্ত রোগী উহাতে উপশম পায় না। ফোস্কার মত ও পুঁজময় উদ্ভেদ। ক্ষত, এবড়ো থেবড়ো, ধারগুলি অসম। প্রধান পুঁজবটীর চারিদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পীড়কা। চুলকানি, বিছানার গরমে বৃদ্ধি। দুগ্ধ-পীড়কা, তহার উপর হরিদ্রাভ-বাদামিবর্ণ মামড়ি প্রচুর পুঁজ সঞ্চয়। ঠাণ্ডা লাগিলেই গ্রন্থিগুলি ফুলিয়া উঠে। বাঘী, একশিরা (ক্লিমেটিস, হামামে, পালস)।

আরও পড়ুন – বায়ো-কম্বিনেশন ২০ (চর্ম, ত্বক, ব্রণ, হারপিস)

জ্বর : সাধারণতঃ পাকাশয় ও পিত্তবিকৃতিহেতু জ্বর, তৎসহ প্রচুর রাত্রিকালীন ঘর্ম ও দুর্বলতা। জ্বর মৃদৃ প্রকৃতির এবং দীর্ঘদিনস্থায়ী। একবার উৃত্তাপ পরক্ষণেই কম্প। হরিদ্রাভ ঘর্ম। পচুর ঘর্ম কিন্ত উহাতে উপশম হয় না শির শির করার ন্যায় শীত, সন্ধ্যাকালে ও রাত্রে অধিক। দেহের এক এক স্থানে এক এক সময়ে উৃত্তাপ বোধ।

উপচয়, উপশম : বৃদ্ধি – রাত্রকালে, স্যাঁৎসেঁতে আবহাওয়ায়, দক্ষিণ পার্শ্বে শয়নে, ঘর্মে উষ্ণ গৃহে, উষ্ণ বিছানায়।

সম্বন্ধ : তুলনীয় – ক্যাপারিস ক্যারিয়াকসিয়া (বহুমুত্র, গ্রন্থিবোধ, আমযুক্ত উদরাময়, উনফ্লুয়েঞ্জা)। ইপিলেবিয়াম – উইলোবার্ব (পুরাতন উদরাময়, তৎসহ  কোঁথানি ও আম নিঃসরণ, লালাস্রাব, গিলিতে কষ্ট, শরীরের ক্ষীণতা, দুর্বলতা, শিশু-কলেরা)। ক্যালি হাইড্র (শক্তি উপদংশজ ক্ষত)। মার্ক এসট (রক্তসঞ্চয়সহ কঠিনতা, আক্রান্ত অংশে শুস্কতা ও উত্তাপ। চক্ষু প্রদাহিত, জ্বালা ও চুলকানি। সরসতার অভাব। গলমধ্য শুস্ক কথা বলিতে কষ্ট। বক্ষাস্থির নীচে চাপ বোধ, মুত্রপথে ক্ষত, মধু চক্রাকার অনুংযিকা, ক্ষতের ধারগুলি বেদনাযুক্ত)। মার্কুরিয়াস আরটাস (সিফিলিস এবং সিলিলিসজাত ক্ষত। মস্তিস্কের অর্বুদ, নাসিকা ও অস্থির উপদংশজ ক্ষত পুতিনসা , অণ্ডকোষের স্ফীত)। মার্কুরিয়াস ফসফরিকাস (সিফিলিস রোগজাত স্নায়বিক রোগসমুহ, অস্থিবৃদ্ধি)। মার্কৃরিয়াস প্রেসিপিটেটাস রুবার (রাত্রে শয়নকালে শ্বাসরোধের ভাব, লাফাইয়া উঠিতে বাধ্য হয়। উহাতে উপশম। গণোরিয়া, মুত্রনলী একটা শক্ত দড়ির মত মনে হয়, উপদংশজ ক্ষত, বাঘী, পোড়া নারাঙ্গা, শ্লেম্মার পর্দা, একজিমা, তৎসহ অবদারণ ও ফাটা ফাটা, ক্ষৌর কণ্ডুয়ন, অক্ষিপুট-প্রদাহ , ব্যহ্যিক ও অভ্যান্তরিক উভয় ভাবে বাবহার্য, মাথায় সীসার মত ভারি বোধ, তৎসহ কর্ণে পুঁজ)। মার্কুরিয়াস ট্যানিকাস (পাকাশয় অন্ত্রের পীড়াযুক্ত ব্যাক্তির সিফিলিসজাত চর্মরোগ, অথবা যে সকল ব্যাক্তি সাধারণ পাদরদ-প্রস্ততিণ্ডলিকে সহ্য করিতে পারে না)। ইরিথ্রিনাস – দক্ষিণ আমেরিকার রেড মুলেট ফিস (মরামাস, সিফিলিস, বক্ষের উপর লাল লাল পীড়কা), লোলিয়াম টিমিউলেন্টাম (হস্ত পদদ্বয়ের কম্পন)। হেঞ্চেরা – এলাম রুপ (পাকাশয় অন্ত্র-প্রদাহ, বমি বমিভাব,পিত্ত এবং ফেনাময় শ্লেম্মা বমন,মলজলবৎ, প্রচুর পিচ্ছিল, কোঁথানি, বাহ্য আর শেষ হইতে চায় না,

মাত্রা : মুল অরিষ্ঠ ২ হইতে ১০ ফোঁটা।

তুলনীয় : মেজের, ফস, সিফিলি, ক্যালি মিউর, ইথিয়প্স।

দোষঘ্ন : হিপার, অরম মেজের।

অনুপুরক : ব্যাডিয়াগা।

মাত্রা : ২য় হইতে ৩০শ শক্তি।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev