শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

মধু -HONEY 

আরোগ্য হোমিও হল / ১৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:৪৮ অপরাহ্ন
মধু -HONEY 
মধু -HONEY 

মধু –HONEY 

মধু

পুষ্টিমান :

মধুতে উচ্চ মাত্রার পুষ্টিমান বিদ্যমান। এক কেজি মধু, ৬.৫০ লিটার দুধ অথবা ৭.৫০ কেজি পনির অথবা ১.৬৫ কেজি মাংস অথবা ৪০টি সমান সাইজের কমলা অথবা ৫০টি ডিমের পুষ্টিমানের সমান। এক কেজি মধু ৩২৫০ ক্যালরি শক্তি সরবরাহ করে। মধুর এ উচ্চ শক্তির ক্যালরি কেবল সাধারণ সুগারের ন্যায় যা রূপান্তর ব্যতীত সরাসরি অস্ত্র থেকে রক্তে সংযোজিত হয়।

খনিজ উপাদান ও ভিটামিন :

রাসায়নিক পরীক্ষায় জানা যায় যে, মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও ভিটামিন মধুতে রয়েছে। বিস্ময়কর প্রাকৃতিক উপাদান মধুর প্রধান উপকরণ হলো সুগার। যার ভিতরে লেভিউপোজ ৩৯% ডেক্সট্রোজ ৩১%, ম্যালটোজ ৯%, গ্লুকোজ ১% এবং সুক্রোজ সামান্য পরিমাণে থাকে। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এনজাইম ২% এবং মানবদেহের কোষ-কলা, অঙ্গ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপাদান থাকে। এ এনজাইমগুলি হলো ডায়াস্টেজ, ইনভার্টেজ, সেকারোজ, ক্যাটালেক্স, পার- অক্সিডেস, লাইপেজ। এনজাইমগুলি বিভিন্ন ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রণ, ক্লোরিন, সালফার, ফসফরাস, আয়োডিন লবণের সাথে যুক্ত থাকে। কিছু উপকরণে রেডিয়ামের ন্যায় ধাতব উপাদানও থাকে। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এতে এ্যালুমিনিয়াম, বোরন, ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, টিন, জিংক ও জৈব এসিড (যেমন- ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং অক্সালিক এসিড), কতিপয় ভিটামিন, প্রোটিন, হরমোন, এসিটাইল কোলিন, এন্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস্, সাইটোষ্ট্যাটিকস্ এবং পানি (১৭.৭%) ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান আছে। ভিটামিন যেমন-ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে এবং ক্যারোটিন বা ভিটামিন-এ ইত্যাদি বিদ্যমান ।

আরও পড়ুন ত্রিফলা চূর্ণ-Trifala Churna কোষ্ঠকাঠিন্য, হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও চোখের জন্য উপকারী

পাকস্থলী ও অন্ত্রের রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্লাধিক্য, মুখের প্রদাহ, চোখের রোগ, চোখের পাতায় প্রদাহ, কর্ণিয়ার ক্ষত, কর্ণিয়ার অস্বচ্ছতা, স্নায়ুরোগ, পক্ষাঘাৎ, মুখের পক্ষাঘাৎ ও মৃগীরোগ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস, রক্ত প্রবাহের অবরুদ্ধতা জনিত হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকের রোগ, সংক্রমনজনিত ক্ষত, ত্বকের এলার্জি এবং বিভিন্ন প্রকার উচ্চ রঞ্জকতা ইত্যাদিতে মধু উপকারী। মধু সর্দি, কাশি, টাইফয়েড, জ্বর, নিউমোনিয়া ও আমাশয়ে উপকারী।

আরও পড়ুন – চ্যবনপ্রাশ (CHYABANPRASH) আয়ুর্বেদিক শক্তিবর্ধক

আধুনিক ফার্মাকোলজিক্যাল গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মধু হৃদ পেশীর কার্যক্রম বৃদ্ধি করে রক্তনালী প্রসারণের  মাধ্যমে  রক্ত সঞ্চালনের সহায়তা করে এবং পেশীর কার্যক্রম স্বভাবিক করে রোগ প্রতিরেধ করে। ভিটামি-বি ক্মপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু স্নায়ু এবং মস্তিস্কের  কলা সুদৃঢ় করে। মধু এক প্রকার ঔষধ, যার পচন নিবারক (এন্টিসেপটিক), কোলেষ্টরল বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া রিবোধী ধর্ম আছে। এক গবেষণায় জানায় যায় যে, নিউমোনিয়া (Pneumococci) টাইফয়েড ( Salmonella typhi) এবং আমাশয়ের (E. Histolytica/Wcoli)  জন্য দায়ী জীবাণৃ মধু দ্বারা যথাক্রমে ৪ দিন, ৪৮ ঘন্টা এবং ১০ ঘন্টায় ধ্বংস হয়।

মধু সেবন বিধি : ১/২ চা-চমচ দিনে অথবা চিকিৎসকের পরার্শমত সেব্য।

পরিবেশনা : এম্বরা বোতলে ৪০ মিলি ও ৮০ মিলি।

 


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev