বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

ভিরেট্রাম এলবাম-Veratrum

আরোগ্য হোমিও হল / ২১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন
ব্যাসিলাস বোটুলিনাম (Becillus Botulinum)
হোমিও বই

ভিরেট্রাম এলবাম (Veratrum)

চলতি নাম – হোয়াইট হেলিবোর (White Hellebore)

ডা: উইলিয়াম বরিক।

পতন অবস্থায় পুর্ন প্রকাশ – অত্যান্ত শীতলতা, নীল হইয়া যাওয়া এবং দুর্বলতা – এই ঔষধের লক্ষণ। শস্ত্রকিয়ার পরবতী মানসিক সঙ্ঘাতহেতু কপালে শীতল ঘর্ম, মুখমণ্ডলের বিবর্ণতা এবং দ্রুত অথচ ক্ষীণ নাড়ী। কপালে শীতল ঘর্মের লক্ষণটি সর্বপ্রকার রোগেই দেখা যাইবে। ভেদবমন এবং হাতে-পায়ে খিলধরা। প্রবল যন্ত্রাদ্রক এবং বমন ডিয়েট্রামের চরিত্রগত লক্ষণ। অস্ত্রোপাচারের ফলে মানসিক সঙ্ঘাত। শরীরের যাবতীয় শ্লৈম্মিক ঝিল্লীর অধ্যাধিক শুস্কতা। বিষ্ঠা ভক্ষণের প্রবৃত্তি। প্রবল উন্মত্ততা, আবার কখনও নিস্তব্ধতা এবং কথা না বলা।

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

মন : বিষাদভাব, তৎসহ গভীর নিদ্রা এবং নিত্তেন্মাদ। বোকার মত বসিয়া থাকে, কিছুই লক্ষ্য করে না। বিষন্নভাবে উদাসীন হইয়া থাকে। মাঝে মাঝে দুর্গান্ত হইয়া উঠে, চিৎকার করে, অভিসম্পাত দেয়। সুতিকা ক্ষেত্রে উন্মত্ততা। বাড়ী হইতে লক্ষ্যহীনভবে বাহির হইয়া ঘুরিয়া বেড়ায়। আশু কোন বিপদ আসিতেছে – এরুপ আশঙ্কা করে। জিনিসপত্র কাটিবার ও ছিঁড়িবার প্রবৃত্তিসহ উন্মাদ (ট্যারেন্টুলা)। বেদনার আক্রমণকালে উন্মাদরে মত প্রলাপ বকিতে থাকে। রাত্রিকালে চিৎকার করে এবং অভিসম্পাত দেয়।

মস্তক : মুখ কোঁচকাইয়া যায়। কপালে শীতল ঘর্মমনে হয় যেন মস্কক-শীর্ষে এক চাংড়া বরফ চাপান আছে। শিরঃপীড়া, তৎসহ বমি বমিভাব, বমন, উদরাময় ও মুখের বিষর্ণতা। ঘাড় এত দুর্বল যে মাথা তুলিতে পারে না।

আরও পড়ুন – চর্মপীড়া ও মানসিক লক্ষণ

চক্ষু : চক্ষুদ্বয় কাল গোলাকার রেখায় পরিবেষ্টিত। একদৃষ্টে উপর দিকে চাহিযা থাকে। চক্ষুতে দীপ্তি থাকে না। লালবর্ণ, চক্ষু হইতে জল পড়ে। চক্ষুর পাতা দুইটি শুস্ক ও ভারি।

মুখমণ্ডল : কোটারাগত মুখশ্রী। নাকের ডগা ও মুখমণ্ডল বরফের ন্যায় শীতল। নাক অত্যান্ত সুচাগ্র হইয়া যায়। গণ্ডদেশ, শঙ্খাস্থি ও চক্ষুতে ছিন্নকর বেদনা। মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে, নীলবর্ণ, শীতল ও অবসন্ন।

মুখগহ্বর : জিহ্বা বিবর্ণ, শীতল, পিপারমিন্ট লাগানর ন্যায় ঠাণ্ডা বোধ করে। জিহ্বার মধ্যভাগ শুস্ক, জল পানে উপশম হয় না। লবণাক্ত লালাস্রাব। দন্তশূল, দাঁতগুলি ভারি বোধ হয়, যেন  সীসক দ্বারা পুর্ণ করা হইয়াছে।

পাকস্থলী : রাক্ষুসে ক্ষুধা। শীতল জলের পিপাসা, কিন্ত গলাধঃকরণ মাত্রই বমি হইয়া যায়। গরম খাদ্য অপ্রবৃত্তি। হিক্কা প্রবল বমন ও গা বমি বমি, জল পান করিলে বা সমান্য নড়াচড়া করিলে বৃদ্ধি। ফল, রসাল ও শীতল জিনিস,বরফ, লবণ প্রভৃতি খাওয়ার স্পৃহা। পাকস্থলীগহ্বরে যাতনা। বমনের পর অত্যান্ত দুর্বলতা। পুরাতন খাদ্য বমন রোগসহ পাকাশয়ের উত্তেজনা।

উদরগহ্বর : খালি খালি ও নিমগ্নতা বোধ। পাকস্থলী ও তলপেটে ঠাণ্ডার অনুভুতি। মলত্যাগের পূর্বে উদরগহ্বর বেদনা। খিলধরা, তলপেট ও পদদ্বয় শক্ত হইয়া যায়। মনে হয় যেন, অন্ত্র বাহির হইয়া পড়িবে (নাক্স)। উদরে চাপ সহ্য হয় না, তীব্র শূলবেদনাসহ স্ফীত।

আরও পড়ন –  এইচ আর – ৩৯ (কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় কার্যকর)

সরলান্ত্র : সরলান্ত্রের নিস্ক্রিয়তাহেতু কোষ্ঠবদ্ধতা, তৎসহ উত্তাপ ও শিরঃপীড়া। শিশুদিগের কোষ্ঠবদ্ধতা, অত্যান্ত ঠাণ্ডার জন্য কোষ্ঠবদ্ধতা। মল বৃহৎ কোঁথ দিতে দিতে রোগী অবসন্ন হইয়া পড়ে এবং শীতল ঘর্ম দেখা দেয়। উদরাময় – অত্যান্ত বেদনাদায়ক, জলবৎ, প্রচুর মল, বেগে নির্গত হয় এবং তৎপর অত্যান্ত অবসন্ন হইয়া পড়ে। উদরাময়িক কলেরা ও সাঙ্ঘাতিক কলেররা, যখন বাহ্য ও বমন একসঙ্গে দেখা দেয়।

শ্বাসযন্ত্র : মোটা, ক্ষীণ স্বর। বক্ষে ঘড়্ ঘড়্ শব্দ। বায়ুনলীতে প্রচুর শ্লোম্মা সঞ্চয়, কাশিয়া তুলিয়া ফেলিতে পারে না। কর্কশ ঘড়্ ঘড় শব্দ। বৃদ্ধিদিগের পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস (হিপোজানিন)। পাকাশয় হইতে উঙ্খিত উচ্চ শব্দে ঘেউ ঘেউ করা কাশি, তৎপর বায়ু উদ্গার, গরম ঘরে বৃদ্ধি। শূন্যগর্ভ কাশি, তৎসহ গলনলীর নিন্মদিকে সুড়সুড়ি, মুখমণ্ডল নীলবর্ণ। কিছু পান করিলে, বিশেষতঃ ঠাণ্ডা জল পান করিলে কাশির উদ্রক হয়। কাশিতে কাশিতে দুই-এক ফোঁটা মুত্র বাহির হইয়া পড়ে। শীতল বাতাস হইতে গরম ঘরে প্রবেশ করিলৈ কাশির আবেগ দেখা দেয় (ব্রায়ো)।

হৃৎপিণ্ড : উৎকণ্ঠাসহ বুক ধড়ফড়ানি, বাহির হইতে স্পন্দনের শব্দ শোনা যায়। নাড়ী অনিয়মিত এবং ক্ষীণ। তামাক চিবান অভ্যাস হইতে হৃৎপীড়া। যকৃৎ রোগগ্রাস্ত দুর্বল ব্যাক্তিদের বিরামশীল হৃৎক্রিয়া। ইহা হোমিওপ্যাথি মতে একটি উৎকৃষ্টি হৃৎপিণ্ড-উত্তেজক ঔষধ (ডা: জে, এস মিচেল)।

স্ত্রী-জননেন্দ্রিয় : নিয়মিত সময়ের বহু পূর্বে ঋতু প্রকাশ, স্রাব প্রচুর এবং অবসাদকর। কষ্টকরজঃ, তৎসহ সর্বাঙ্গীণ শীতলাতা, ভেদ ও ঠাণ্ডা ঘর্ম। সমান্য পরিশ্রমেই রোগিণীর মুর্ছার মত হয়। ঋতু প্রকাশের পুর্বে কামোন্মাদ।

আরও পড়ুন – শ্বেতপ্রদর বা সাদাস্রাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

হস্ত-পদাদি : সন্ধিসমুহে বেদনা ও কোমলতা। সায়েটিকা, বিদ্যুৎবৎ বেদনা। পায়ের ডিমে খিলধারা। বাহুর অস্থির স্নায়ুশূল, বাহুদ্বয় স্ফীত শীতল ও অবশ বোধ হয়।

চর্ম : নীল, ঠাণ্ডা, আঠা আঠা স্থিতিস্থাপকাতা গুণশূন্য চর্ম, মৃতের মত শীতল। শীতল ঘর্ম। হস্ত ও পদের চর্ম কোঁকড়াইয়া যায়।

জ্বর : অত্যান্ত শীতলতাসহ কম্পন ও পিপাসা।

উপচয, উপশম : বৃদ্ধি – রাত্রে, ভিজা ঠাণ্ডা অঅবহাওয়ায়।

উপশম : চলাফেরায় এবং উত্তাপে।

সম্বন্ধ : তুলনীয় – ভিরেট্রিনাম – স্যাবডিলা বীজের সারাংশ (বিদ্যুৎবৎ বেদনা, পেশীসমুহে তড়িতাথঘাতবৎ, থর থর করিয়া কম্পন)। কোলাস টেরিপেনা (পায়ের ডিমে খিলধরা), ক্যাম্ফর, কুপ্রাম, আর্স- কুপ্রাম  আর্স (পর্যায়শীল ঠাণ্ডা, আঠাল ঘর্ম), নাসিসাম পেয়েটিকাস (পাকাশয়-অন্ত্র প্রদাহ, তৎসহ উদরে কামড়ানি ও কর্তনবৎ বেদনা। মুর্ছাভাব, কম্পন, হস্তপদাদির শীতলতা, ক্ষুদ্র ও অসম নাড়ী), ট্রাইকোসেন্থিস (উদরাময় যকৃতে বেদনা, প্রত্যেকবার মলত্যাগের পর ঘুম ঘুমভাব), এগারিক এমেটিক (মাথা ঘোরা, বরফের ন্যায় শীতল জল পানের ইচ্ছা, পাকাশয়ে জ্বালাকর বেদনা), এগারি ফেল্পোইডিস (কলেরা, পাকস্থলীতে খিলধরা, হস্ত-পদাদির শীতলতা, মুত্ররোধ)। ভিরেট্রিন (রক্তবহা নলীসমুহের প্রসারণ বধিত, ইহা বধিত অবস্থা শিথিল করে এবং চর্ম, মুত্রগ্রন্থি এবংযকৃৎ দ্বারা বিষাক্ত পদার্থসমুহ বাহির করিয়া দেয)।

মাত্রা : ১ম হইতে ৩০শ শক্তি। উদরাময়ে ৬ষ্ঠ শক্তির নীচে ব্যবহার করিবে না।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev