ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X)
Baryta Iodatum (3X-6X)

ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X)  ঔষধের ক্রিয়া : ইনডুরেটেড গ্রন্থি, বিশেষ করে টনসিল এবং স্তন পীড়ায় কার্যকর।
ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X) ঔষধের ব্যবহার : ইনডুরেটেড গ্রন্থি, বিশেষ করে টনসিল এবং স্তন, মাড়ি, ফোলা, স্বাদ খারাপ, তিক্ত টক, দাঁতে পোকা ও ছিঁড়ে যাওয়া ব্যথায় কার্যকরী।

ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X) ঔষধের লক্ষণ : বিশেষ করে গ্রন্থি বৃদ্ধি।

ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X) ঔষধের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ : স্তব্ধ বিকাশ, গ্রন্থি সংক্রান্ত সমস্যা, WBC অর্থাৎ শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি, লিউকোসাইটোসিস, কপালে ব্যথা, ডান পাশ, সন্ধ্যা, চোখের উপরে, occiput, মাথার দিক, চোখ এবং ঢাকনার লালভাব, ঢাকনা ফোলা, দৃষ্টি ক্ষীণ, ডিপ্লোপিয়া; flickering; কুয়াশাচ্ছন্ন; স্ফুলিঙ্গ; দুর্বলতা ইত্যাদিতে কাজ করে।

ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X)) ঔষধ সেবন বিধি : ট্যাবলেটগুলি মুখে রাখুন এবং তাদের জিহ্বার নীচে দ্রবীভূত করতে দিন। প্রাপ্তবয়স্করা ও কিশোর-কিশোরীরা (১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী) ২টি ট্যাবলেট, প্রতিদিন সাকাল- রাত (দুইবার) অথবা রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুণ। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক থেকে দুই বার সেবন করতে হবে। লক্ষণগুলির উন্নতির সাথে সাথে ডোজ কম করুন। যদি ঔষধ সেবন করেও উপশম না হয় তবে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।

ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X) ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : অ্যালোপ্যাথি অথবা আয়ুর্বেদিক বা অন্যান্য ঔষধ থাকলেও হোমিওপ্যাথিক ট্যাবলেটগুলি সেবন করা নিরাপদ। হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি অন্যান্য ওষুধের ক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে না। এটি নিরাপদ এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X) ঔষধের সতর্কতা : আপনি যখন ওষুধ খান তখন খাবারের ১৫ মিনিট আগে বা ১৫ মিনিটের পরে ঔষধ খাওয়া উত্তম।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X) ঔষধ গর্ভবতী বা বুকের দুধ বাচ্চা থাকলে ঔষধ খাওয়ার আগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে পরামর্শে সেবন করুন। তবে যে কোন ঔষধ নিজে খাওয়া ঠিক নয়। এতে করে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। সব সময় একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ।

বাধা নিষেধ : ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X) ওষুধ খাওয়ার সময় তামাক খাওয়া বা অ্যালকোহল পান করা ঠিক নয়।

ব্যারাইটা আয়োডাম (৩X-৬X)  ঔষধ সংরক্ষণ : আলো-বাতাস, সুগন্ধ-দগন্ধ থেকে দুরে শীতল ও শুস্কস্থানে, শিশুদের নাগাল এর বাইরে রাখুন।

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।