রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

প্যাথলজিষ্টদের মত অনুযায়ী

আরোগ্য হোমিও হল / ১৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৪০ অপরাহ্ন
হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য
ক্যানসার বইয়ের সূচি পত্র

প্যাথলজিষ্টদের মত অনুযায়ী

“হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য”

ডাঃ অরবিন্দ সরকার

প্যাথলজিষ্টদের মত অনুযায়ী মানুষের মধ্যে কার্সিনোমার কারন সমূহ এরূপ :-
(ক) পূর্বাহ্নেই কারন সৃষ্টি হবার প্রবনতা, বয়স, লিঙ্গ ইত্যাদি ।
(ক) জ্বীন বা বংশানুগত উপাদান সমূহ- বংশানুক্রমিক ।
(গ) বংশানুগত নয় এমন কারন সমূহ ।

১। মানবদেহে পূর্বাহ্নেই কারন সৃষ্টি হবার প্রবণতাঃ বয়স :- সব বয়সেই হতে পারে সার্কোমা সাধারণতঃ পূর্ণ বয়স্কের প্রথম দিকে দেখা যায়। এবং কার্সিনোমা প্রায় শেষ বয়সেই হয়ে থাকে, কিন্তু এই সাধারন নিয়মেরও অনেক ব্যতিক্রম আছে। কার্সিনোমা হবার প্রবনতা বয়স বৃদ্ধির বিশেষ করে জীবনের অবক্ষয়ের কালে দেখা যায়। কিডনী, ওভারী অথবা অন্ডকোষেও কার্সিনোমা বাল্যকালেও দেখা গেছে- যদিও ক্যানসারকে বৃদ্ধ বয়সের রোগ হিসাবে চিন্তা করা যায় ।

লিঙ্গ :- ক্যানসার সাধারণতঃ পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীলোকের একটু বেশী হয়। স্ত্রীলোকের স্তনের ও জরায়ুর ক্যানসার বেশী হতে দেখা যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্টেট, নিন্মঠোঁট, মুখাভ্যন্তর, অন্ননালী ও পাকস্থলীতে ইত্যাদিতে বেশী হতে দেখা যায় । ধূমপান অভ্যাস হেতু ব্রঙ্কোজেনিক কার্সিনোমার আক্রমণ প্রবনতা ঘটায় ।

১। জ্বীন বা বংশানুগত উপাদান সমূহ বংশ ইতিহাস : বংশগত কারণকে একটি অবশ্যম্ভাবী কারন ধরা হয়। বংশে ক্যানসার থাকলে সেই বংশের বংশধর গনের ক্যানসার হবার প্রবনতা দেখা যায়। ক্যনসার গৃহস্থের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ঐ পরিবারের প্রত্যেকটি বংশধরের প্রত্যেকের ক্যানসার রোগে মৃত্যু ঘটে যদি সেই ব্যক্তি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন ।

আরও পড়ুন – এন – ২৭ (কিডনীর পাথরের ড্রপস)

Genetic factors – Heridity. There are not seen in human beings, expcept heriditary Predisposition. Heriditary is a predisposing of suscepteblity on which other causes are superimposed. There are reparts of Cancer families in whom, cancer appears in each generation and everymember would die of the same disease if he lives long enough (A Text book of Pathology by N.c Dey Bsc. MDD. Bact.)

এখানে উল্লেখ্য যে, N.C. Dey মশাই এর প্যাথলজি থেকে প্যাথলজি সংক্রান্ত তথ্য সংগৃহীত আছে। যাই হোক বংশগতভাবে রোগ প্রাপ্তীর কথা আমরা আরো জানতে পারি যাঁরা Genetic theory গবেষণা করেছেন তাঁদের গবেষণা থেকে। এগুলি আমরা বংশগত সুত্রে প্রাপ্ত হই পিতা-মাতার কাছ থেকে ক্রোমোজোম, ডি.এন.এ., আর.এন.এ. এবং জীন ও বংশানু সূত্র ধরে। রোগাক্রান্ত বা ঐ রোগ প্রবণতাযুক্ত ক্রোমোজোম এবং জীনসমূহ নিয়েই জন্মগ্রহন করে বলেই জন্মগত ভাবে রোগ প্রবনতা থাকে ।

৩। বংশানুগত নয় এমন কারণ সমূহ :-
ক) রাসায়নিক বহুগতি কেন্দ্রিক, হাইড্রো কার্বন+১৪৫৪৬ ডিবেনজেস থ্রাসিন । এজো-কম্পাউন্ডস-স্কার্লেট রেড প্যারাডি মেথাইল- এমাইনো এজোবেনজাইন(রাটারইওলো)। ন্যাপথাইলা- ২ ন্যাপথাইলা মাইন এবং অন্যান্য সমূহ। আর্সেনিক।
(খ) শারীরিক উত্তাপ, সূর্যতাপ, অতি বেগুনি রশ্মি বা আলো, তেজস্ক্রিয় পদার্থ সমূহ, রঞ্জন রশ্মি আঘাতজনিত পুরাতন অবস্থাতে উত্তেজনা ।
(গ) অন্যান্য কারন সমূহ- কোষ সমূহ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন – কেন্ট ৬৭ (হার্নিয়া রোগে কার্যকর)

১। রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া :- আলকাতরা, প্যারাফিন শ্লেটের মত নরম পাথর নিয়ে যারা কাজ করে, চিমনী পরিষ্কারক এ ধরনের লোকদের চর্মের ক্যানসার হতে দেখা যায়। আলকাতরা জাতীয় বস্তু থেকে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ায় এক প্রকার রঞ্জক পদার্থের দ্বারা সুতা রং করার কাজে নিযুক্ত এবং একপ্রকার মিশ্র সুতা কাটার ফলে যারা সূতার কাজ করে তাদের মূত্র থলিতে ক্যানসার হবার সম্ভাবনা থাকে। কীট নাশক দ্রব্য D.D.T. ক্যানসার সৃষ্টির সাহায্য করে প্রেট্রোলিয়াম, এক্সরে, তেজস্ক্রিয় বস্তু, ক্রোমিয়াম আর্সেনিক এ্যাসবেসটাস যারা প্রভৃতি নিয়ে কাজ
করেন তাদের ক্যানসার হতে পারে। ।

২। শারীরিক বিধানগত :- এটা লক্ষ্য করা গেছে যে, উত্তাপ, সূর্যতাপ এবং বহু প্রকারের তাপ বিচ্ছুরণের ঘনিষ্ট সংস্পর্শে থাকে যারা তাদের চর্মের ক্যানসার হতে দেখা যায়। ধূমপায়ীর ঠোঁটের, মুখের, গলার ও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। লিউকিমিয়া নামক রক্তের ক্যানসার প্রায় দেখা যায় রেডিও গ্রাফারদের মধ্যে। হিরোশিমা-নাগাসিকিতে তেজস্ক্রিয় আক্রান্ত ব্যক্তি সমূহ এখনও লিউকিমিয়াতে ভূগছেন। রেডিও একটিভ ইউরেনিয়াম থেকে ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। রেডিও এ্যাকটিভ বস্তু সার্কোমা তৈরী করতে পারে।

আরও পড়ুন – ডিম্বাশয় ক্যানসার

৩। অন্যান্য কারণ সমূহ – দৈহিক আঘাত জনিত কারণে ক্যানসার হতে পারে। অবশ্য আঘাত মাত্রই ক্যানসার হবে একথা আদৌ ঠিক নয়, অনেক ক্ষেত্রে আঘাত থেকে টিউমারে পরিণত হতে পারে এবং আভ্যন্তরীণ ক্যানসার প্রবণতা থাকলে সে টিউমারই ক্যানসারে পরিনত হতে পারে। ক্রনিক ইরিটেশন বা স্থায়ী উত্তেজনা ক্যানসার উৎপাদনের সহায়ক হয় । ইরিটেশন হেতু প্রদাহের সৃষ্টি হয় যা ক্যানসার নয় কিন্তু দীর্ঘকাল টিস্যু সমূহের ধ্বংস সাধন, সেল সমূহের সর্বদাই স্থান পরিবর্তন ইত্যাদির দ্বারা তাদের বি-বৃদ্ধি দাবী করে এবং বহু সংখ্যক সেল সৃষ্টির দ্বারা প্রসারন ঘটায়। এটি দীর্ঘ স্থায়ী হলে গ্রোথ আয়ত্তের কৌশল পরিবর্তিত হয়ে নিওপ্লাসিয়া সৃষ্টি করে। এই প্রকারের বিকৃতি মুখের, জিহ্বার এবং পাকস্থলির ক্ষত সৃষ্টি করে যা ক্যানসার পরিনত হতে পারে ।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev