পিরিয়ডের ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মহিলাদের পিরিয়ড বা মাসিকের সময় পিরিয়ডের ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা ক্ষতি তা নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
পিরিয়ড বা মাসিকের দিনগুলোতে নানা বয়সী নারীই ব্যথায় ভুগে থাকেন। চিকিৎসায় গড়িমসির পাশাপাশি শারীরিক যন্ত্রণা থেকে স্বস্তি পেতে এ সময় চট করে ওষুধ সেবন অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন অনেক মহিলা। এতে সাময়িক কিছু উপশম হলেও দীর্ঘদিন ধরে এভাবে ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে মহিলার স্বাস্থ্য জটিলতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।ভুক্তভোগী নারীরা বলছেন, নাপা ও প্যারাসিট্যামলের মতো ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করে পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যথা থেকে উপশম পেতে চেষ্টা করেন তারা। আবার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলেও ব্যথা কমাতে সুফল পাননি, এমন কথাও বলেছেন অনেক নারী।গর্ভধারণে সমস্যার পাশাপাশি আরো নানা স্বাস্থ্য সমস্যার কথা বিভিন্ন বয়সী ও পেশার নারীরাও জানিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে। প্রথম মাসিক শুরুর পর থেকেই পেটে ব্যথা হয়ে আসছে বলে জানালেন বেসরকারি চাকরিজীবী এক নারী নাইমা ইসলাম। ব্যথা অসহনীয় মনে হলেই এই দিনগুলো পার করেছেন প্যারাসিটামল অথবা এ ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করেই। ঢাকার বাসিন্দা বিবাহিত নাইমা এখনও পিরিয়ড বা মাসিকের দিনে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন।
৩৫ বছর বয়সী ঔই নারী বলেন,“এমনও হয়েছে যে, প্রচণ্ড ব্যথা সামলাতে ওষুধ খেয়ে প্রায় অবচেতন হয়ে পড়ে থাকতে হয়েছে। আমি ঘুমিয়ে থাকছি, কোনো জ্ঞান থাকে না।” পেটে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে বিয়ের পর ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেও চিকিৎসা চলাকালে জরায়ুতে সিস্ট ধরা পড়ে। নাইমা বলেন, বিয়ের আগে পিরিয়ড বা মাসিকের দিনে পেটে তীব্র ব্যথা হলেও সে সময় কোনো চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়নি। “বিয়ের পর গাইনি চিকিৎসক দেখিয়ে জানতে পারলাম জরায়ুতে সিস্ট রয়েছে। সেটার ” সিস্টের চিকিৎসা করালেও পিরিয়ডে ব্যথা থেকে এখনও মুক্তি মেলেনি তার। আর এই সমস্যা থাকার কারণে গর্ভধারণও হচ্ছে না বলে জানালেন নাইমা। দেশে চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি বিদেশেও গ্রহণ করেছেন নাইমা এই স্বাস্থ্য সমস্যার উপশমের জন্য। তিনি কোন মতেই, “কনসিভ করতে পারছি না। ইন্ডিয়াতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েও কিন্তু কোনো সুফল পাইনি। “দেশে-বিদেশে কম চিকিৎসা তো করলাম না। কিন্তু পিরিয়ড বা মাসিকের সময় পেটে ব্যথাও কমেনি। এখন বাচ্চার আশা ছেড়েই দিয়েছি। মা হওয়ার সৌভাগ্য হয়ত আমার নেই।”
এদিকে প্রথম পিরিয়ড বা মাসিক শুরু হওয়ার দেড় বছর পর থেকে প্রতি মাসেই তলপেটের ব্যথাতে ভুগছেন শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহিনুর সুলতানা (১৭)। মাসিকের তারিখের ৩ থেকে ৪ দিন আগে থেকেই শরীরে “তীব্র ব্যথা শুরু হয়, তখনই আমি বুঝি পিরিয়ড বা মাসিক হবে। যেদিন পিরিয়ড শুরু হয়, সেদিন সারাদিনই ব্যথা থাকে। পরদিন ঠিক হয়ে যায়।” কিছুদিন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে ‘বেশ ভালো ছিলেন। ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ ‘নো স্পা’ সেবন করেছেন তিনি। তবে এতে তেমন সুফল মেলেনি বলে জানালেন শিক্ষার্থী শাহিনুর। “চিকিৎসক আমাকে বলে দিয়েছিল, খুব বেশি খারাপ অবস্থা হলে এটা খেতে হবে। আর যদি ব্যথা সহ্য করতে পারি, তাহলে খাবার প্রয়োজন নেই। পেইনকিলার সব সময় খেতে হয় না।”
নাম প্রকাশ না করে ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, মাসিক বা পিরিয়ডের সময় শরীরের নিচের অংশে ব্যথার পাশাপাশি বমি, পাতলা পায়খানার সমস্যায় ভুগতে হয় তাকে।তিনি বলেন, “মাসিক শুরুর তিন দিন খুব ব্যথা হত। এই তিনদিন আমি কলেজে যেতে পারতাম না। সমস্যাটা শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর গাইনি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। চিকিৎসকের পরামর্শে “এরপর ব্যথা হলে দিনে তিনটা করে ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু ওষুধের রিঅ্যাকশন চলে গেলেই আবার ব্যথা শুরু হয়ে যায়।” পরে ভেষজ ওষুধ খেয়ে বমি ও পাতলা পায়খানা কমেছে বলে জানান তিনি।
“আগে তিনদিন প্রচণ্ড ব্যথা হতো, ভেষজ চিকিৎসার পর এখন মাসিক বা পিরিয়োড শুরু পর চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ব্যথা খুব বেশি হয়। পরে আবার কমে যায়। বমি মাঝে মাঝে হয়।” এসময় মেজাজ খুব খিটখিটে হয়ে যায়। ২৪ বছর বয়সী এই নারী বলেন, “পিরিয়ড বা মাসিক শুরুর সাতদিন আগে থেকেই শরীর ব্যথা করে, তখন কিছুই ভালো লাগে না।”
এক সময় মাসিকের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে স্কুল থেকে বাসায় চলে আসতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পর থেকে ব্যথা কিছুটা কমতে থাকে।
ব্যথা কমাতে নাপা বা নাপা এক্সট্রা ওষুধ সেবন করেন বলে এই নারী।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রেবেকা বলেন, বিয়ে ও সন্তান হওয়ার পর মাসিকের ব্যথায় আর ভুগতে হচ্ছে না তাকে। পিরিয়ডে যন্ত্রণা হওয়ার দিনগুলো নিয়ে ৩২ বছরের এই নারী বলেন, “ব্যথা দিনকে দিন বাড়ছিল। ক্লাস নাইন থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত প্রচণ্ড ব্যথা হতো। “নাপা অথবা প্যারাসিটামলেও ব্যথা না কমায় তিন থেকে চারবার সাপোজিটরি নিতে হয়েছে। বিয়ের পরে অবশ্য ব্যাথা অনেকটাই কমে গেছে। আর বাচ্চা হওয়ার পরে এখন তেমন ব্যথা হয় না।” ব্যথানাশক ওষুধে ‘না’, প্রয়োজন চিকিৎসা মাসিকের সময়ের তলপেট ও আশেপাশে ব্যথা অনুভূত হওয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ডিসমেনোরিয়া বলা হয়। ডিসমেনোরিয়া বা এই মাসিকের ব্যথা দুই ধরনের হয়ে থাকে, প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া এবং সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. নূর সাঈদা বলেন, “সব কিশোরী মহিলাদেরই যে ব্যথাটা হয়, সেটা স্বাভাবিক। এটা ফিজিওলজিক্যাল অথবা শারীরিক ব্যথা। এটাকে আমরা প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া বলা হয়।” পিরিয়ড বা মাসিকের প্রথম দুই দিনের মধ্যেই সাধারণত এ ধরনের ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। অধিকাংশ মহিলার বেলায় বিয়ের পরে প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া থাকে না বলে জানান চিকিৎসক।
সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া হলে যে কয়েকদিন পিরিয়ড বা মাসিকের রক্তক্ষরণ চলে সে কয়দিনই প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জরায়ুর প্রদাহসহ অন্যান্য সমস্যার কারণেও এই অসহনীয় যন্ত্রণা হতে পারে। নূর সাঈদা বলেন, “সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া প্যাথোলজিক্যাল। তার কোনো রোগ থাকলে তখন এটা হয়। “ জরায়ুর বিভিন্ন ধরনের রোগ থাকতে পারে। ওভারির কোনো সমস্যা থাকলে এ ধরণের ব্যথা হয়। আমাদের কাছে রোগীনি আসলে আমরা সর্বপ্রথম দেখি এটা ফিজিওলজিক্যাল না কি প্যাথোলজিক্যাল। সেইভাবে চিকিৎসা করি প্রদান আমরা।”
প্রথম মাসিক হওয়ার পর ঔই নারী শরীরের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া পর্যন্ত অনেকেই ব্যথা অনুভূত হয় বলে জানান গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হালিমা আক্তার হ্যাপী।
তিনি বলেন, “নতুন একটা বিষয় শরীরে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এটা হয়। খাপ খাইয়ে নেওয়া গেলেই এটা ঠিক হয়ে যায়।
“কিন্তু ব্যথাটা যদি তীব্র হয় তা হলে আমরা সেটার কারণটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে কোনো কারণ ছাড়ায় বয়সের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যায়।”
যদি বিবাহিত নারীর মাসিকের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয় তা হলে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, “বিবাহিত জীবনে কোনো নারীর পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যথা হলে আমরা প্যাথোলজির চিন্তা করি। নিশ্চয়ই তার কোনো সমস্যা আছে। তখন তার সে রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকি। এর মধ্যে তার পিরিয়ডটা শরীরের সাথে অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে। সে এখুন কনজুগাল লাইফ লিড করছে, এতে তার ব্যথাটা আনেক কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার পরেও যদি না কমলে তাকে আমরা আলট্রাসনোগ্রাম কারার পরামর্শ দিয়ে থাকি।”
হালিমা আক্তার হ্যাপী বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যদি টিউমার জাতীয় কিছু থেকে থাকে সে কারণে ব্যথা হয়ে থাকে। চকলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিস ও এডিনোমায়োসিস হলেও ব্যথা হয়ে থাকে। এই সমস্যা গুলো সাধারণত ২৫ বছরের পরেই হয়। ওইসব সমস্যা হলে অনেক তীব্র ব্যাথা হয়।” চিকিৎসা না করিয়ে পিরিয়ডে ব্যথা উপশমে ওষুধ সেবনে ‘খুবই ক্ষতিকর’ বলে মন্তব্য করেন এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, “তখন যদি আপনার সমস্যাটা চিহ্নিত না করে তাকে ওষুধ দেওয়া হয়, তবে তার জন্য সেটা অবশ্যই খারাপ। তাহলে তার রোগটাই জানা হল না। সে ক্ষেত্রে বাচ্চা কনসিভ হতেও সমস্যা হয়।”
ঋতুবতী মহিলাদের ‘না জেনে ওষুধ সেবন না করার পরামর্শ দিলেন হালিমা আক্তার হ্যাপী। কিশোরী মেয়েদের ওষুধ না দিয়ে ওষুধের বিকল্প হিসেবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ব্যায়াম, ঘরের কাজ করা, ইয়োগা করার ওপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ হালিমা আক্তার হ্যাপীর পরামর্শ, “এই সময়ে যেহেতু হরমোন নিঃসরণ হয়, তাই ইয়োগা বা ব্যায়াম করার ফলে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করবে। হরমোন নিঃসরণে যখন আর বাধা পাবে না তখনই ব্যথাটা না হওয়া সম্ভবনা।” “তেলজাতীয় খাবার খাওয়া বর্জন করতে হবে। ওজন বেশি থাকলে কমাতে হবে।” ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস বলেন, “মাসিকের ব্যথা বা ডিসমেনোরিয়া বেশিক্ষণ না থাকলে তখন কিছুটা সহ্য করে স্বাভাবিক কাজকর্ম মনোযোগ দিতে হবে, বেশি করে পানি পান করতে হবে, পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, হাইজিন মেইনটেইন করার কথা বলি আমরা।”
সতর্ক করে চিকিৎসক বলেন, “ওষুধ খাওয়ার অভ্যস্তটা তৈরি হলে তখন রোগীনি ওষুধ খাবেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ডিসমেনোরিয়া বড় কোনো রোগ নয়। ”ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ‘সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ’ জানিয়ে শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস বলেন, “আমরা সাধারণত মাসিকের সময় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে বলি। “তবে যে কোনো ব্যথার জন্য পেইনকিলার নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। দীর্ঘদিন পেইনকিলার খেলে কিডনিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।”
পিরিয়ডের ব্যথায় ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা: নূর সাঈদা বলেন, ”প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ায় সাধারণত মাসে দুই-একদিন ব্যাথা হয়। ব্যথাটা যদি আপনি সহ্য করতে পারেন তবে ওষুধ খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। “যদি প্রাইমারি ডিসম্যানোরিয়ার ব্যাথায় কোন মেয়ে কষ্ট পায়, সেক্ষেত্রে আমরা প্যারাসিটামল বা ন্যাপ্রোসিন জাতীয় ওষুধ সেবনে পরামর্শ দিয়ে থাকি।” পিরিয়ড বা মাসিক ব্যথায় না বুঝে ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে তিনি বলেন, “যেগুলো ফিজিওলজিক্যাল সমস্যা সেক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধ খেলেই হবে না। তাকে অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে। “প্যাথোলজিক্যাল সমস্যা হলে সে ক্ষেত্রে পেইনকিলার মাসে পাঁচ থেকে ছয়দিন খেয়েই সেক্ষেত্রে কিডনির সমস্যাও হতে পারে। সুত্র- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।