শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

ক্যানসার কি?

আরোগ্য হোমিও হল / ১৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:৪৮ অপরাহ্ন
হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য
ক্যানসার বইয়ের সূচি পত্র

ক্যানসার কি?

“হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য”

ডাঃ অরবিন্দ সরকার

 

হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য গ্রন্থের বিষয় বস্তু সেই ভয়াবহ করাল ব্যাধি ক্যানসার নিয়েই। যদিও অন্যকোন প্যাথিতে, ক্যানসার প্রতিরোধ করবার মত কোন শক্তি নেই এবং প্রতিবিধানেও কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু হোমিও প্যাথি চিকিৎসার দ্বারা প্রতিরোধ, প্রতিবিধান ধাতুদোষ সংশোধন এমন কি মৃত্যূ পথ যাত্রী রোগীর যন্ত্রনা বিহীন মৃত্যু দেওয়া সম্ভব। আমি পুস্তকের প্রথমেই ক্যানসার রোগের প্যাথলজি সম্মন্ধে সংক্ষিপ্ত ভবে কিছু জানাবার চেষ্টা করছি ।

 

প্যাথলজী জানা এই জন্যেই প্রয়োজন যে, যে শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে তার অবস্থা, শক্তি, আক্রমনের ব্যাপকতা, গতি বা দ্রুততা, কোন শ্রেণী, কতখানি ক্ষতিকর, কি প্রকার এবং লক্ষণ ও চিহ্ন সমূহ দ্বারা তাদের অন্যরোগ থেকে পৃথক করার জ্ঞান অর্জন করা যায় এবং রোগীপক্ষকে রোগ নির্নয় এবং বিষয়টি((Diagonsis) জানানো যায় এবং তাদের সতর্ক করা যায়। চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী করলে প্যাথলজীতে জ্ঞানার্জনের কথা ডাঃ হ্যানিম্যান, ডাঃ কেন্ট, ডাঃ ফেরিংটন উল্লেখ করেছেন।

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

প্রথমেই আমরা আসছি টিউমারে কথায়, যাকে ক্যানসার রোগের একটি প্রাথমিক অবস্থা বলে ধরা হয়। এই টিউমার আবার দুই প্রকার যাথা :-

(১) বিনাইন বা নির্দোশ প্রকৃতির বা সাধারণ টিউমার।

(২) ম্যালিগন্যান্ট বা দুষ্ট টিউমার।

এগুলির আকার প্রকার চরিত্র ইত্যাদি থেকে এ দুইটিকে পৃথক করা হয়ে থাকে। এ দুইটিকে টাইপিকাল এবং এ্যাটাইপিকাল টিউমার বলা হয়ে থাকে, তাদের (Histological) জীবদেহের তন্ত্র বিষয়ক এবং (Cytological) জীব কোষ নিয়ে কাজ এর চরিত্র অনুযায়ী ।

 

১। বিনাইন টিউমার (Benign Tumorus) – A tumour proper a mass of cells, tissues or organs resembling normally present arranged typically (Powell white) একটা যথাযথ স্ফীতি বলতে বুঝায়, যে স্থানের স্ফীতি সাধারণতঃ সেখানকার অনুরূপ কোষ কলা বা যন্ত্রের পুঞ্জের নিয়মিত স্তুপ। উহা জীবন কে বিপর্যস্ত করেনা এবং কোনরুপ অসুস্থতা অথবা পরমায়ু কমিয়ে দেবার কারণ সৃষ্টি করে না। এরা খুবই ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায় এবং একটি নির্দিষ্ট অবস্থায় পৌঁছে স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে। এ ক্ষতিকর টিউমারের মত স্থানান্তরিত হয় না। খারাপ অবস্থার দিক যেমন ক্ষত সৃষ্টি, পচনকারী অবস্থা এর কমই আসে যেটা ম্যালিগন্যান্টের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায়। জীবদেহের তন্তুবিদ্যা বিষয়ক বিচারে নির্দোষ টিউমার ও অনেক সয়ম ক্ষতি হতে পারে, দ্রুত বৃদ্ধির দ্বারা। তাই টিউমার হলে সতর্কতা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ তাদের সুনির্দিষ্টভাবে পৃথকীকরনের, সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করনেরও কোন সীমা রেখা নেই ।

আরও পড়ুন –  ক্যানসার ছড়াবার উপায়

 

২) ম্যালিগন্যান্ট বা দুষ্ট টিউমার (Malignant Tumorus ) : –  Dr. Powell white এর মতে টিউমার এর সংজ্ঞা নির্ধারন করছেন- একটা যথাযথ স্ফীতি বলতে বোঝায়, যে স্থানের স্ফীতি সাধারণতঃ সেখানকার অনুরূপ কোষ, কলা বা যন্ত্রের পুঞ্জের গ্রুপ কিন্তু অনিয়মিতভাবে বিন্যস্ত একটি যন্ত্রের উপরে ঐ যন্ত্রের বিনিময় যন্ত্রটিকে নিঃশেষিত করে সংখ্যায় বেড়ে উঠে। কিন্তু ঐ ধরনের বৃদ্ধি কোষ কাজে লাগার উপযোগী নয় ।

A tumour proper is a mass of cell, tissues or organs resembling those normally present but arranged atypiclly. It grows at the expense of the organ without at the same time subsurving any useful function.

এর পর ডাঃ উইলিস (Willis) নির্ধারিত টিউমারের সংজ্ঞা হলো :- একটা স্ফীতি বলতে বুঝায় অস্বাভাবিক কলাপুঞ্জ, কোন উদ্দীপনার মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ঐ উদ্দিপনা বন্ধ হয়ে গেলেও আগের মতই সীমাহিন ভাবে বাড়তে থাকে(A tumour is an abnormal mass of tissue, the growth of which exceeds and is uncordinated with that of the normal tissues, and presents in the same excessive manner after cissatin of the stimuli which evoked the changes).

দুষ্ট টিউমার-কে এভাবেও বলা যেতে পারে এভাবে বলা যেতে পারে এরা দ্রুত  বৃদ্ধিপায়, যুবই ক্ষতিকর এর মধ্যে তরল, শক্ত পদার্থ বঞ্চিত হ পরিব্যাপ্ত হয় সুস্থ টিস্যুসমূহে প্রসারিত হয় এবং সর্বদাই সাধ্যের ক্ষতিকারক এবং দূরবর্তী যন্ত্র সমূহকে আক্রমন ও ক্ষতিসাধন করে মৃত্যু ঘটায়। সাধারণ ম্যালিগন্যান্টি টিউমার সমূহ হলো- সার্কোমা (Sarcoma) কার্সিনোমা (Carsinoma) এবং মালিগন্যান্ট মেলানোমা সমূহ।

আরও পড়ুন –  ক্যানসার এর কারণ

 

ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এর সংজ্ঞা- এভাবেও দেওয়া যাইতে পারে যেমন –

(১) ম্যালিগন্যান্ট টিউমার তাদেরই বলা হয় যেগুলি অপ্রতিহত গতিতে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় এবং ক্রমশ ইনফিলট্রেশন বা তরল পদার্থ সঞ্চিত পদ্ধতির দ্বারা বৃদ্ধি পেতে থাকে, পরিব্যাপ্ত হয় এবং পার্শ্ববর্তী টিস্যুসমূহকে আক্রমন করে, এগুলি একটি নির্দিষ্ট সীমায় আবদ্ধ থাকেনা এবং পার্শ্ববর্তী টিস্যুসমূহের মধ্যে একে সীমাবদ্ধ করা যায় না।

৩) ম্যালিগন্যান্ট গ্রোথের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হলো আক্রান্ত স্থান থেকে দূরবর্তী স্থান সমূহে স্থানান্তরিত হওয়া।

৪) এই স্থানীয় টিউমার সমূহকে তুলে ফেললেও পুনরায় সেইখানে এবং পার্শ্ববর্তী স্থানে প্রায় পুনরায় উৎপন্ন হতে

৫) এগুলির অবনতির দিকে অত্যন্ত প্রবনতা দেখা যায়-যখন বিনাইন গ্রোথের সংগে বা নির্দোশ বৃদ্ধির সঙ্গে তুলনা করা হয়, প্রায় এনিমিয়া এবং ক্যাকেকসিয়া(Cachexia) আসে বিশেষত কার্সিনোমাতে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে কোষগুলি নিরন্তন সংখ্যায় বাড়তে থাকে নিরর্থকভাবে। এই বৃদ্ধি শরীরের কোন কাজেই লাগেনা। যে উদ্দিপনার ফলে এই ধরনের টিউমার সৃষ্টি হয় প্রানীর বিবর্তনের ইতিহাস তার কোন মূল্যনেই। অদ্ভুত এবং আশ্চার্য এই যে এই ধরনের অসম বৃদ্ধি বেশীর ভাগই হয় কিন্তু পরিনত বয়সে, যখন প্রজনন ক্ষমতা লুপ্ত হয় বা হ্রাস পায় ।

এই বৃদ্ধি সাধারন বৃদ্ধি (hyper plasis) নয়, নববৃদ্ধি (neoplase) টিউমারকে সেই জন্য নিওপ্লাজম (neoplasm) ও সাধারন কোন উত্তেজনায় কোন কোষের যে সাধারন বৃদ্ধি তার সঙ্গে টিউমার কোষের এর বৃদ্ধির তফাৎ আছে ।

আরও পড়ুন –  ব্রেস্ট বা স্তন টিউমারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

নিম্নে নববৃদ্ধি (নিওপ্লাসিয়া) ও সাধারণ বৃদ্ধি হাইপার প্লাসিয়া পার্থক্য দেখানো হলো :-

হাইপার প্লাসিয়া                                                                           নিওপ্লাসিয়া

(১) স্বাভাবিক উদ্দীপনা বেশী                        (১)  টিউমার সাধারনতঃ আপনা হতেই আবির্ভূত হয়।

মাত্রায় প্রয়োগ করলে সাধারন                          যদি কোন উদ্দীপনার ফলে টিউমার হয়,

বৃদ্ধি হয় যেমন- “ফোড়া”                                 তাহলে ধরে নিতে হবে সে উদ্দীপনা অস্বাভাবিক যেমন-

                                                                   পারমানবিক রশ্মি, ভাইরাস, কৃমি, ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক দ্রব্যাদি।

 

(২) যতখানি উদ্দীপনা সেই                           ( ২) একবার টিউমার সৃষ্টি হলে উদ্দীপনা

অনুপাতে বৃদ্ধি পায় ।                                            না থাকলেও এগিয়ে যায়।

 

৩) উদ্দীপনা সরিয়ে নিলে  কমে।                 ৩) উদ্দীপনা সরিয়ে নিলেও কোন ফল হয় না, বেড়েই চলে।

 

বায়ো কম্বিনেশন ২৫ (অম্লতা, পেট ফাঁপা ও বদহজম)

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev