এইচ আর – ৬৫ (রক্ত সঞ্চালনের চিকিৎসায় কার্যকর)
ক্যাটাগরি : কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, পাকিস্তান।
প্রস্তত প্রণালী : এইচআর মাসুদ/হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত।
ব্যবহার : এইচ আর – ৬৫ প্রতিবন্ধী রক্ত সঞ্চালনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
কার্যকারিতা : এইচ আর ৬৫ ঔষধ সেবনে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, অক্সিজেন বৃদ্ধি করে, কোষগুলিতে খাদ্য সরবরাহ করে, টিস্যু দ্বারা উৎপন্ন বর্জ্য হ্রাস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। রক্তাল্পতা, ঠাণ্ডা, অসাড়তা, পেটিচিয়া, মর্টিফেকশন এবং গ্যাংগ্রিন তৈরি করে। দুর্বলতা, দুশ্চিন্তা, ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা অত্যধিক হতে পারে।
এইচ আর – ৬৫ ঔষধের বর্ণনা :
ক/ এইচ আর – ৬৫ ভাল রক্ত সঞ্চালনের সাহায্য করে।
খ/ পেরিফেরাল ভাস্কুলার ব্যাঘাতে ব্যবহার করা হয়।
গ/ বৃদ্ধ বয়সে হাতের অসাড়তার জন্য অত্যান্ত কার্যকর।
ঘ/ হাড় এবং পেশী দুর্বলতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
ঙ/ মাংসপেশির ক্র্যাম্পের জন্য অত্যান্ত উপকারী।
চ/ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
এইচ আর – ৬৫ ঔষধের ভূমিকা :
দুর্বল রক্ত সঞ্চালন: রক্ত প্রবাহের অপর্যাপ্ততা ফলে শরীরের একটি নির্দিষ্ট জাগায় অপর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহের ফলে সেই জায়গায় খুব কম অক্সিজেন সরবরাহ করে । এই অবস্থা যা হাইপোক্সিয়া নামে পরিচিত।
এইচ আর – ৬৫ প্রতিবন্ধী সঞ্চালনের কারণ :
১/ পেরিফেরাল ধমনী রোগ।
২/ রক্ত জমাট বাঁধে।
৩/ ভ্যারিকোজ শিরা।
৪/ ডায়াবেটিস রোগ।
৫/ স্থূলতা দেহ।
৬/ রায়নাউড রোগ।
এইচ আর – ৬৫ দুর্বল সঞ্চালনের সাধারণ লক্ষণ :
ক/ ঝনঝন করে।
খ/ অসাড়তা।
গ/ পেশী বাধা।
ঘ/ ব্যথা।
ঙ/ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কাঁপানো বা হুল ফোটানো ব্যথা।
চ/ পায়ে ঠান্ডা লাগার অনুভূতি।
ছ/ পা বা পায়ে দুর্বল ক্ষত নিরাময় করে।
এইচ আর – ৬৫ দুর্বল সঞ্চালনের ইঙ্গিত :
প্রতিবন্ধী সঞ্চালন সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ, ঠাণ্ডা পা ও পায়ের আঙ্গুল ঠাণ্ডা, বিশেষ করে হাত-পা অসাড় বোধ করে, ক্লান্ত বোধ, দুর্বলতা ভাব, অনেক সময় শরীরে শক্তির কম পায়।
১/ কিছু চুল পড়ে, খারাপ রক্ত প্রবাহের কারণে হতে পারে।
২/ নিয়মিত মাথা ঘোরে।
৩/ ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
৪/ ফোলাভাব এবং জল ধরে রাখে।
৫/ রক্তনালী বা ভেরিকোজ শিরাগুলিতে পিণ্ড।
৬ মাথাব্যথা, ক্র্যাম্পিং, শ্বাসকষ্ট, দুর্বল রক্ত প্রবাহ স্মৃতিশক্তিকে প্রভাবিত করে।
এইচ আর – ৬৫ ঔষধ সেবন বিধি : ২০ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। শিশুরা ৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।
বিশেষে দ্রষ্টব্য : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না এতে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। ঔষধ সেবনে পুর্বে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ। লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকলে, আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
বিশেষ সর্তকর্তা : গর্ভবতী মহিলারা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন সম্পন্ন নিষেধ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এইচ আর – ৬৫ ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা নাই।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ থেকে দুরে, শীতল ও শুস্ক স্থানে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।