এইচ আর – ৩৯ (কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় কার্যকর)
ক্যাটাগরি : কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, পাকিস্তান।
প্রস্তত প্রণালী : এইচআর মাসুদ/হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত।
ব্যবহার : এইচ আর – ৩৯ (কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
এইচ আর – ৩৯ কোষ্ঠকাঠিন্যও বর্ণনা :
ক/ এইচ আর – ৩৯ হল কোষ্ঠকাঠিন্যের সর্বোত্তম প্রতিকার হিসাবে কাজ করে।
খ/ সকল প্রকার কোষ্ঠকাঠিন্যে জন্য নির্দেশিত।
গ/ যকৃতের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কার্যকরী।
ঘ/ আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়ার কারণে শুষ্ক মল থেকে মুক্তি দেয়।
ঙ/ মলদ্বারে জ্বালাপোড়া সহ পাইলসের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
চ/ হেমোরয়েডের সাথে দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
এইচ আর – ৩৯ কোষ্ঠকাঠিন্যর ভূমিকা:
কোষ্ঠকাঠিন্য : কোষ্ঠকাঠিন্য হল পাচনতন্ত্রের একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তির শক্ত মল থাকে যা বের করা কঠিন হয়ে পরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ঘটে, কারণ কোলনে থাকা খাবার থেকে খুব বেশি জল শোষণ করার ফলে এ সমস্যা হয়ে থাকে ।
এইচ আর – ৩৯ কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় কারণ : যদি কোলন খুব বেশি পানি শোষণ করে তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। যদি কোলনের পেশীগুলি ধীরে ধীরে বা খারাপভাবে সংকুচিত হয় তবেই এটি ঘটতে পারে, যার ফলে মলটি খুব ধীরে ধীরে চলে যায় এবং শরীরে থেকে আরও জল হারায়।
এইচ আর – ৩৯ এগুলি কোষ্ঠকাঠিন্যের সবচেয়ে সাধারণ কারণ :
১/ খাদ্যে ফাইবারের অভাব থাকলে।
২/ শারীরিক অক্ষমতা হলে।
৩/ ওষুধ সবনে করণে।
৪/ দুধের কারণে।
৫/ বিরক্তিকর পেটের সমস্যা দেখা দিলে।
৬/ গর্ভাবস্থা রোগীদের কষ্ঠকাঠিন্য বেশি দেখা দেয়।
৭/ বার্ধক্য জীবনে।
৮/ রুটিনে পরিবর্তন করলে।
৯/ জোলাপ অতিরিক্ত ব্যবহার করলে।
১০/ পর্যাপ্ত পানি পান না করলে।
১১/ কোলন বা মলদ্বারের সমস্যা থাকলে।
এইচ আর – ৩৯ লক্ষণ ও উপসর্গ:
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ ও উপসর্গগুলির মধ্যে হল যেমন –
ক/ সপ্তাহে তিনটির কম মল ত্যাগ করলে।
খ/ গলদা বা শক্ত মল হলে।
গ/ মলত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হলে।
ঘ/ মনে হয় যেন মলদ্বারে কোনো কিছু বাধা আছে যা মলত্যাগে বাধা দেয়।
ঙ/ মলদ্বার সম্পূর্ণরূপে খালি করতে না পারা, মনে হয় মল রয়ে গেল ।
চ/ মলদ্বার সম্পর্ন খালি করতে সাহায্যের প্রয়োজন হয় যেমন – যেমন পেটে চাপ দেওয়ার জন্য হাত ব্যবহার করা এবং মলদ্বার থেকে মল অপসারণের জন্য অনেকে আঙুল ব্যবহার করেন। কোষ্ঠকাঠিন্য হল একটি দীর্ঘস্থায়ী হিসাবে বিবেচিত হয়। যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে দুই বা তার বেশি লক্ষণ থাকে তবে কমপক্ষে এই ভাবে তিন মাস ধরে চলতে থাকে।
এইচ আর – ৩৯ কোষ্ঠকাঠিন্যের ইঙ্গিত : কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় যখন মলত্যাগ কঠিন হয়ে পরে বা কম ঘন ঘন হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ হল কম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া, বারবার বারবার পায়খানায় যাওয়ার তাগিদ উপেক্ষা করা, পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করা এবং ব্যায়াম করার অভাব। বলা হয়ে থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক রোগের মূল কারণ। এইচ আর – ৩৯ ঔষধ সেবনে অবিলম্বে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
এইচ আর – ৩৯ ঔষধ সেবন বিধি : ২০ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। শিশুরা ৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। সুস্থ হলে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করুন। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।
বিশেষে দ্রষ্টব্য : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না এতে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। ঔষধ সেবনে পুর্বে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ। লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকলে, আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
বিশেষ সর্তকর্তা : গর্ভবতী মহিলারা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন সম্পন্ন নিষেধ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এইচ আর – ৩৯ ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা নাই।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ থেকে দুরে, শীতল ও শুস্ক স্থানে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।