শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

অ্যানরগাজামিয়ার কারণে সঙ্গিনীর শারীরিক চাহিদা কম

আরোগ্য হোমিও হল / ২০৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৪৫ অপরাহ্ন
সহবাস সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

অ্যানরগাজামিয়ার কারণে সঙ্গিনীর শারীরিক চাহিদা কম
আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম, এখানে আজ সঙ্গিনীর শারীরিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্চেন কী ভাবে সফল হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা কররো। চলেন কথা না বাড়িয়ে মুল আলোচনায় ।

সঙ্গিনীর সাথে মিলনের সমাপ্তি শেষে লুকিয়ে আছে প্রকৃত সুখ। কিন্তু সেই সুখ যদি না মেলে? অর্গাজম বা অতৃপ্তি থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বললেন গাইনোকলজিস্ট ডা. পল্লব গঙ্গোপাধ্যায়।

স্বামী-স্ত্রী মিলনের চরম মুহূর্তে পৌঁছেও অর্গাজম ঠিক মতো না হলে মিলন বা সঙ্গমের সুখ অতৃপ্ত থেকে যায় । রাতের পর রাত এ সমস্যায় অশান্ত হয় মন, তিক্ত হয় দাম্পত্য জীবন। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যৌন চাহিদা কম, অর্গাজমের সমস্যায় ভোগেন প্রায় ৪০ শতাংশ নারী। আমাদের দেশে বেশির ভাগ মহিলারা তাদের গোপন সমস্যা আড়াল করে রাখে। এই অতৃপ্তি সঙ্গম নিয়ে স্বামী- স্ত্রী আলোচনা করেন না অনেকে। বহু বছর সহবাস করার পরেও কারও কারও নানা কারণে অর্গাজমের অভিজ্ঞতাই নেই। শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি। তবে আগের চেয়ে ট্রেন্ড কিছুটা বদলেছে। মানসিক ট্যাবু ভেঙে আজকাল প্রায়ই এমন সমস্যা নিয়ে রোগী আসেন চিকিৎসকের কাছে। এই সমস্যা লুকিয়ে রাখা যাবে না। চিকিৎসা করলেই সঙ্গম শেষের যে অস্বস্তি সেটা আর থাকবে না ।

 অতৃপ্তি- অ্যানরগাজামিয়া :

মহিলাদের অর্গাজম নির্গত হয় যৌন সঙ্গমের শেষের দিকে। মিলন শেষে যে তরল ক্ষরণ নির্গত হয় তা শরীরকে রিল্যাক্স করে। স্ট্রেস মুক্ত করে। শরীর ও মন দুই-ই হালকা হয়। এই তৃপ্তি না পাওয়া, মহিলার অর্গাজম না হওয়ার সমস্যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে ‘অ্যানরগাজামিয়া’। এটা মহিলাদের সেক্সুয়াল ডিসফাংশন। কোন মহিলার যদি এই সমস্যা থাকলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। এ সমস্যার জন্য শরীরে কোনও গুরুতর অসুখ বাসা বাঁধবে না।

কারণ খুঁজে বের করুন :
ক/ অ্যানরগাজামিয়া সমস্যার পিছনে বহু কারণ থাকতে পারে। মানসিক চাপের কারণে যৌনতায় অনিচ্ছা, স্বামী-স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা-নৈকট্য কম থাকলে, তাঁর স্পর্শ পছন্দ না, আবার জোর করে মিলনে বাধ্য করা হলেও অর্গাজম ঠিক মতো হয় না।

খ/ এছাড়া মিলনের সময় স্বামীর দ্রুত বীর্যপাত হলে, যোনির ভিতরে যন্ত্রণা করলে এমন হতে পারে। সোজা কথায় বলা যেতে পারে, অর্গাজমের সুখ পেতে হলে মিলনকে আনন্দদায়ক করে তুলতে হবে।

গ/ ভ্যাজাইনিসমাস সমস্যাটি থাকলেও অ্যানরগাজামিয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মহিলার যোনির ভিতরে পেশিগুলি এতটাই সংকুচিত হয়ে টাইট থাকে যে সঙ্গীর পক্ষে ঠিকভাবে সঙ্গম করাই সম্ভব হয় না । মহিলার কাছেও সঙ্গম খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠে। সেই যন্ত্রণার আতঙ্ক থেকে তাঁর যৌন ইচ্ছা ক্রমে কমতে থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন সমস্যা থাকা স্ত্রী রতিসুখের চরম মুহূর্ত অর্গাজমের সাক্ষী হতে পারেন না।

ঘ/ এই ভ্যাজাইনিসমাসের সমস্যায় যৌনক্রীড়া সম্ভব হয় না, এর ফলে সন্তানধারণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখন এ ক্ষেত্রে মা হওয়ার জন্য আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিতে হতে পারে ।

ডিসফাংশনের চিকিৎসা :

১/ কোন মহিলার মানসিক চাপের জন্য বা পার্টনারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে অর্গাজম ঠিকমতো না হলে তা কাউন্সেলিং করে ঠিক করা যায়।

২/ স্বামী-স্ত্রী সহবাসের সময় ভালবাসার অনুভূতি থাকা খুব দরকার।

৩/ অর্গাজমের সুখ পেতে হলে আদর-সোহাগ-ফোরপ্লের প্রয়োজন পড়ে। তাড়াহুড়ো করলে অর্গাজম সুখ অধরা থেকে যায় ।

৪/ শুধুমাত্র অর্গাজম ঠিক মতো না হলে সে সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও এখন আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করুণ।

৫/ মানসিক কারণে বা আপনার পার্টনারের তাড়াহুড়োর জন্য যদি অর্গাজম না হলে তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। স্ট্রেস কমলে ও একটু সময় দিলেই এই সমস্যা কেটে যাবে।

৬/ ভ্যাজাইনিসমাসের চিকিৎসার জন্য কিছু লুব্রিকেন্ট জাতীয় জেল ব্যবহার করতে পারেন।

অর্গাজম ও সন্তানধারণ :
প্রথমেই আপনাকে বলে রাখি, অর্গাজম ডিসফাংশনের সঙ্গে বন্ধ্যাত্ব বা ইনফার্টিলিটির সম্পর্ক নেই। যে মহিলার যৌনক্রীড়ার সময় ঠিক ভাবে অর্গাজম হয় না, তাঁর সন্তানধারণে অসুবিধা হবে না তেমনই এই সমস্যার জন্য আইভিএফের সাহায্যে মা হওয়ার প্রয়োজনও পড়বে না।

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev